আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
248 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (59 points)
edited by
(১)আমার পায়ে যদি একজিমা চর্মরোগ থাকে এবং পায়ে ময়লা লাগলে যদি তা প্রচুর চেষ্টা করেও তোলা সম্ভব না হয় তাহলে ওযু বা ফরজ গোসল করার সময় পায়ে পানি পৌছানোর উপায় কী?ময়লার উপর দিয়ে মাসাহ করলে হবে কী? (২)কোন ওয়াক্তের নামাযের জামায়াতের সময় হয়ে গেলে প্রস্রাব-পায়খানা চেপে রেখে জামায়াতে শরিক হয়ে নামায পড়া যাবে কী?                                                                               (৩)আমি আযানের সময় কুকুরের বা কুকুরদের শব্দ করা শুনতে পাই।কুকুর বা কুকুরেরা কেন এই শব্দ করে?তারাও কী আযানের উত্তর দেয়?                                                                       (৪)আমার যদি ফাজর এবং যুহর ওয়াক্তের নামায কারা হয়ে যায় এবং আছর ওয়াক্তে যদি জামায়াতের সময় হয়ে যায় তাহলে জামাআতে আছর ওয়াক্তের নামায পড়ার পর কাযাগুলো আদায় করতে পারব কী?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনাকে পা ধৌত করতে হবে।এবং পায়ের মধ্যে পায়ের সমস্ত রগ রেশায় যেপানি ঢোকছে,সে দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। হ্যা যদি পানি লাগলে ক্ষতি হওয়ার অাশংকা থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় পাকে ধৌত না করে শুধুমাত মাসেহ করার অনুমোদন থাকবে 


(২)
নামাযের খুশুখু নষ্ট হয়, এপর্যায়ের প্রস্রাব পায়খানার বেগ থাকলে, এমতাবস্থায় প্রস্রাব পায়খানাকে চেপে রেখে নামায পড়া মাকরুহ।নতুবা মাকরুহ হবে না।

(৩)
কুকুর শয়তানকে দেখে ঘেউ ঘেউ করে,সুতরাং তখন আল্লাহ কাছে শয়তান থেকে পানাহ চাহিতে হইবে।
(৪)
আপনি যদি সাহেবে তারতীব হন,তথা সারা জীবনে এখন পর্যন্তও ছয় রা'কাতের বেশী নামায কাযা না  হয়ে থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় আপনার উপর ছুটে যাওয়া ওয়াক্তের নামায কা'যা করা ওয়াজিব হবে।ছুটে যাওয়া নামাযকে আদায় না করলে বর্তমান নামাযই আদায় হবে না।
তবে যদি কারো ছয় ওয়াক্তের চেয়ে বেশী নামায কা'যা থাকে,তাহলে উনার উপর পূর্বের নামায প্রথমে পড়া ওয়াজিব নয়।তবে সময়-সুযোগ থাকলে অবশ্যই পড়ে নেয়া উত্তম হবে।

অর্থাৎ
বালিগ হওয়ার পর যার জীবনে ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কা'যা হয়নি,সেই ব্যক্তিই সাহেবে তারতীব। সুতরাং কেউ যদি টানা কয়েক বছর নামায না পড়ে তাকে,এবং পরবর্তীতে নিয়মিত নামায পড়া শুরু করে, এবং তখন ১/২ ওয়াক্ত নামায কা'যা হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তি সাহেবে তারতীব হবে না।কেননা ঐ ব্যক্তির অধীনে বা জিম্মায় অসংখ্যাত  নামায কা'যা রয়েছে।তাই ঐ ব্যক্তিকে সাহেবে তারতীব বলা যাবে না।সাহেবে তারতীব হওয়ার জন্য ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কাযা হতে পারবে না বা জিম্মায় থাকতে পারবে না।

যদি কারো অনেক নামায কা'যা থাকে,এবং ঐ ব্যক্তি কা'যা আদায় করতে করতে ছয় ওয়াক্তের কম নামায তার জিম্মায় বাকী থাকে,তাহলে কি সে সাহেবে তারতীব হবে?
এ সম্পর্কে দু ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায়, বিশুদ্ধ কথা হল,ঐ ব্যক্তিও সাহেবে তারতীব হিসেবে গণ্য হবে।

সাহেবে তারতীব ব্যক্তির জন্য তারতীব রক্ষা করা ওয়াজিব।অর্থাৎ প্রথমে কাযা নামায গুলো ধারাবাহিক আদায় করতে হবে।তারপর ওয়াক্তের নামায আদায় করতে হবে।উল্টো করলে ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে। বিস্তারিত জানুন- 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যদি সাহেবে তারতীত হন,তাহলে আপনাকে আছরের পূর্বেই ফজর ও যোহর পড়ে নিতে হবে।আর সাহেবে তারতীব না হলে,আপনার জন্য ফজর ও জোহর পড়া জরুরী নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...