আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
743 views
in সালাত(Prayer) by (17 points)
আসসালামুয়ালাইকুম। নামাজে ভুলে অতিরিক্ত সুরা, দোয়া পড়ে ফেললে নামাজে সমস্যা হবে? মাঝে মাঝে এমন হয় যে ফরজ নামাজে তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটা সূরার এক লাইন ভুলে বলে ফেলা হয় অথবা চার রাকাত বিশিষ্ট নামাযে দ্বিতীয় রাকাতে দরুদ শরীফের কিছু অংশ পড়ে ফেলা হয় ভুলে.. এইরকম করলে কি নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে? অথবা সিজদা সাহু দিতে হবে? সিজদায়ে সাহু কি নফল নামাজেও দিতে হয়?.

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
ফরজ নামাযের তৃতীয় বা চতুর্থ রাকাতে ভুলক্রমে সূরা মিলালে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয় না। ইচ্ছেকৃতভাবে সূরা মিলানো মাকরূহে তানজিহী। কারণ এটি খেলাফে সুন্নত পদ্ধতি। কিন্তু তবুও নামাযে কোন সমস্যা হবে না। আর ভুলক্রমে মিলালে মাকরূহে তানজিহীও হবে না। সেই সাথে সেজদায়ে সাহুও আবশ্যক হবে না।
,
হাদিসে আছে, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জোহর এবং আসরের শেষ দুই রাকাতে শুধু সুরা ফাতেহা পড়তেন। -মুসলিম:৪৫১,
মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস ৩৭৪৩-৩৭৬২; আলবাহরুর রায়েক ১/৩২৬; শরহুল মুনইয়াহ ৩৩১; রদ্দুল মুহতার ১/৪৫৯।

পূর্ণ হাদীসটি হলোঃ

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ الْحَجَّاجِ، - يَعْنِي الصَّوَّافَ - عَنْ يَحْيَى، - وَهُوَ ابْنُ أَبِي كَثِيرٍ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، وَأَبِي، سَلَمَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِنَا فَيَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَتَيْنِ وَيُسْمِعُنَا الآيَةَ أَحْيَانًا وَكَانَ يُطَوِّلُ الرَّكْعَةَ الأُولَى مِنَ الظُّهْرِ وَيُقَصِّرُ الثَّانِيَةَ وَكَذَلِكَ فِي الصُّبْحِ .

মুহাম্মাদ ইবনু আল মুসান্না আল আনায়ী (রহঃ) ..... আবূ কাতাদাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সাথে নিয়ে সালাত আদায় করতেন। তিনি যুহর ও আসরের প্রথম দুরাকাআতে সূরাহ আল ফাতিহাহ এবং এর সাথে আরো দুটি সূরাহ পাঠ করতেন। কখনো কখনো তিনি আমাদেরকে শুনিয়ে আয়াত পাঠ করতেন। তিনি যুহরের প্রথম রাকাআত দীর্ঘ করতেন এবং দ্বিতীয় রাকাআত সংক্ষিপ্ত করতেন। ফজরের সালাতেও তিনি এরূপ করতেন। (মুসলিম ৪৫১,ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৯৪, ইসলামিক সেন্টারঃ ৯০৬)

فى الدر المختار- (وضم) أقصر (سورة) الخ (في الأوليين من الفرض) وهل يكره في الأخريين؟ المختار لا
وفى رد المحتار-  (قوله وهل يكره) أي ضم السورة (قوله المختار لا) أي لا يكره تحريما بل تنزيها لأنه خلاف السنة. قال في المنية وشرحها: فإن ضم السورة إلى الفاتحة ساهيا يجب عليه سجدتا السهو في قول أبي يوسف لتأخير الركوع عن محله وفي أظهر الروايات لا يجب لأن القراءة فيهما مشروعة من غير تقدير، والاقتصار على الفاتحة مسنون لا واجب. اهـ.(رد المحتار، كتاب الصلاة، باب صفة الصلاة، مطلب كل صلاة اديت معة كراهة التحريم الخ، البحر-1/459، البحر الرائق، كتاب الصلاة، باب سجود السهو-2/94، الفتاوى التاتارخانية، كتاب الصلاة، الفصل السابع عشر فى سجود السهو نوع آخر فى بيان يجب به سجود السهو وما لا يجب-1/716
সারমর্মঃ
ফরজ নামাজের ৩য় এবং ৪র্থ রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সুরা মিলানো মাকরুহে তানযিহি। 
সুন্নাতের খেলাফ হওয়ার কারনে। ,,,, 
,

(০২)
চার রাকাত বিশিষ্ট নামাযে দ্বিতীয় রাকাতে দরুদ শরীফের কিছু অংশ পড়ে ফেলা হয় ভুলে,তাহলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। 
,
★হ্যাঁ নফল নামাজেও সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়।    

عن الشعبي ، قال : من زاد في الركعتين الأوليين على التشهد فعليه سجدتا السه (مصنف ابن ابى شيبة، كتاب الصلاة، ما يقال بعد التشهد مما رخص فيه، رقم الحديث-3039

হযরত শাবী রহঃ বলেন-যে ব্যক্তি প্রথম দুই রাকাতের বৈঠকে তাশাহুদের পর কোন কিছু পড়ে, তাহলে তার উপর দুই সেজদা দেয়া আবশ্যক। তথা সেজদায়ে সাহু। {মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩০৩৯}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...