বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- কুরআন সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاء وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ وَلاَ يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إَلاَّ خَسَارًا
আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়।(সূরা বনি ইসরাঈল-৮২)
অন্যত্র আল্লাহ তা'আলা বলেন,
أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاء لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ
হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য।(সূরা ইউনুস-৫৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেকোনো সমস্যা ও বিপদাপদে আপনি কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন।অবশ্যই আল্লাহ কুরআনে কারীমের বরকতে উক্ত সমস্যাকে দূর করে দিবেন।বিশেষ করে সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করতে পারেন,হাদীসে এ সূরার অনেক ফযিলত বর্ণিত রয়েছে,
وَعَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " «مَنْ قَرَأَ " يس " فِي صَدْرِ النَّهَارِ تَمَّتْ حَوَائِجُهُ» " رَوَاهُ الدَّارِمِيُّ مُرْسَلًا.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি দিনের প্রথমাংশে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে,তার হাজত পূর্ণ হবে।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২১৭৭)
وَعَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ الْمُزَنِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " «مَنْ قَرَأَ يس ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ - تَعَالَى - غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ، فَاقْرَءُوهَا عِنْدَ مَوْتَاكُمْ» " رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ.
মা'ক্বাল ইবনে ইয়াসার রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে,তার অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে।সুতরাং তোমরা মৃত/মুমূর্ষু ব্যক্তির সম্মুখে সূরা ইয়াসিন পাঠ করো।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২১৭৮)
মোল্লা আলী ক্বারী রাহ, উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
فاقرءوها عند موتاكم "، أي مشرفي الموت أو عند قبور أمواتكم، فإنهم أحوج إلى المغفرة، وقال الطيبي: الفاء جواب شرط محذوف، أي إذا كانت قراءة يس بالإخلاص تمحو الذنوب، فاقرءوها عند من شارف الموت حتى يسمعها ويجريها على قلبه فيغفر له ما قد سلف اهـ ويمكن أن يراد بالموتى الجهلة أو أهل الغفلة
মুমূর্ষু ব্যক্তি বা কবরের সম্মুখে সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করো।ইমাম তিবী রাহ বলেন,যেহেতু সূরা ইয়াসিন গোনাহ সমূহকে মিটিয়ে দেয়,তাই মুমূর্ষু ব্যক্তির সামনে তোমরা সূরা ইয়াসিনকে তেলাওয়াত করো।যাতে করে ঐ মুমূর্ষু ব্যক্তি শ্রবণ করে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করতে পারে।অতঃপর আল্লাহ চাহে তো তার সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। অথবা হাদীসে মৃত ব্যক্তি দ্বারা উদ্দেশ্য হলো,গাফেল বা জাহিল ব্যক্তি।তখন অর্থ হবে,তোমরা গাফেল বা জাহিল ব্যক্তির সম্মুখে কোরআনে কারীমকে তেলাওয়াত করো।