আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
460 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
Boner prosob bedonar somoy surah Yaseen pora jabe dur theke? Jodi ei niyot hoy j oirokom mrittu hole kosto kom hobe

1 Answer

0 votes
by (589,650 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
 জবাবঃ- 
কুরআন সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
 وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاء وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ وَلاَ يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إَلاَّ خَسَارًا 
আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়।(সূরা বনি ইসরাঈল-৮২) 

 অন্যত্র আল্লাহ তা'আলা বলেন,
 أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاء لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ 
হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য।(সূরা ইউনুস-৫৭) 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
যেকোনো সমস্যা ও বিপদাপদে আপনি কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন।অবশ্যই আল্লাহ কুরআনে কারীমের বরকতে উক্ত সমস্যাকে দূর করে দিবেন।বিশেষ করে সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করতে পারেন,হাদীসে এ সূরার অনেক ফযিলত বর্ণিত রয়েছে,
 وَعَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " «مَنْ قَرَأَ " يس " فِي صَدْرِ النَّهَارِ تَمَّتْ حَوَائِجُهُ» " رَوَاهُ الدَّارِمِيُّ مُرْسَلًا. 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি দিনের প্রথমাংশে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে,তার হাজত পূর্ণ হবে।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২১৭৭)

 وَعَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ الْمُزَنِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " «مَنْ قَرَأَ يس ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ - تَعَالَى - غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ، فَاقْرَءُوهَا عِنْدَ مَوْتَاكُمْ» " رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ. 
মা'ক্বাল ইবনে ইয়াসার রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে,তার অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে।সুতরাং তোমরা মৃত/মুমূর্ষু ব্যক্তির সম্মুখে সূরা ইয়াসিন পাঠ করো।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২১৭৮) 

 মোল্লা আলী ক্বারী রাহ, উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
 فاقرءوها عند موتاكم "، أي مشرفي الموت أو عند قبور أمواتكم، فإنهم أحوج إلى المغفرة، وقال الطيبي: الفاء جواب شرط محذوف، أي إذا كانت قراءة يس بالإخلاص تمحو الذنوب، فاقرءوها عند من شارف الموت حتى يسمعها ويجريها على قلبه فيغفر له ما قد سلف اهـ ويمكن أن يراد بالموتى الجهلة أو أهل الغفلة 
মুমূর্ষু ব্যক্তি বা কবরের সম্মুখে সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করো।ইমাম তিবী রাহ বলেন,যেহেতু সূরা ইয়াসিন গোনাহ সমূহকে মিটিয়ে দেয়,তাই মুমূর্ষু ব্যক্তির সামনে তোমরা সূরা ইয়াসিনকে তেলাওয়াত করো।যাতে করে ঐ মুমূর্ষু ব্যক্তি শ্রবণ করে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করতে পারে।অতঃপর আল্লাহ চাহে তো তার সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। অথবা হাদীসে মৃত ব্যক্তি দ্বারা উদ্দেশ্য হলো,গাফেল বা জাহিল ব্যক্তি।তখন অর্থ হবে,তোমরা গাফেল বা জাহিল ব্যক্তির সম্মুখে কোরআনে কারীমকে তেলাওয়াত করো। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ, উস্তাদজি
সূরা ইয়াসিন নিয়ে আমার অনেক প্রশ্ন আছে,,তবে প্রশ্ন করতে না পারায় আলাদা বলতে পারছি না আমি,আফওয়ান উস্তাদ।

সূরা ইয়াসিনের ব্যাপারে হাদিসে এতো এতো আলাদা ফজিলত,, কিন্তু এগুলো তো জঈফ হাদিস।
যেমন,মৃত ব্যক্তি কি আমার তেলাওয়াত শুনতে পাবে?আর এতে সাওয়াব পাবে?
১বার সূরা ইয়াসিন পড়লপ ১০বার কুরআন খতমের সাওয়াব,এমন অনেক কিছু,যা পুরো যঈফ,,সহীহ কোনো হাদিসে আমি পায়নি।
প্রশিদ্ধ উলামাগণও এমত,এটা জঈফ।
আর এটা নিয়মিত সকালে ফজীলতের কতা চিন্তা করে আমল করা সকালে,,এটা কতটুকু শরীয়তসম্মত হবে উস্তাদ?
ফিক্বহি মাজহাব এমনকি ৪মাজহাবই এটাকে জঈফ বলছে।
এটা নিয়ে পেরেশান অনেকদিন যাবৎ,,

জাঝাকুমুল্লাহ খইরন,উস্তাদ
বিষয়টির সহীহ হাদিসের আলোকে একটু বিস্তারিত জানতে চায়।
by (589,650 points)
হাদিসগুলো নিঃসন্দেহে যঈফ। তবে আমলের ক্ষেত্রে যঈফ হাদীসের উপর আমল করা যাবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...