জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
৩য় লিঙ্গের মানুষ তথা হিজড়াদের জুলুম নির্যাতনের ইসলামে শাস্তি রয়েছে।
দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা থাকলে তাদের মধ্যে যারা জালিম,সেই জালিমের শাস্তুি ইসলাম নিশ্চিত করতো।
তাদের অপরাধের শাস্তি ইসলাম নিশ্চিত করতো।
,
তারা অন্যায় ভাবে কোনো বদ দুয়া/অভিশাপ করলে সেটি কবুল হবেনা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
৩য় লিঙ্গের মানুষ তথা হিজড়া দুই প্রকার।
এক, মুশকিল।
দুই, গায়রে মুশকিল।
,
হিজড়াদের ক্ষেত্রে গায়রে মুশকিল যারা,তাদের বিধান হল তাদের নারী বা পুরুষের যে কোন একটি ক্যাটাগরিতে ফেলতে হবে। রাসূল সাঃ এ ব্যাপারে একটি মূলনীতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেটা হল, দেখতে হবে হিজড়ার প্রস্রাব করার অঙ্গটি কেমন? সে কি পুরুষদের গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব করে? না নারীদের মত গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব করে? গোপনাঙ্গ যাদের মত হবে হুকুম তাদের মতই হবে। অর্থাৎ গোপনাঙ্গ যদি পুরুষালী হয়, তাহলে পুরুষ। যদি নারীর মত হয়, তাহলে নারী। আর যদি কোনটিই বুঝা না যায়। তাহলে তাকে নারী হিসেবে গণ্য করা হবে। সেই হিসেবেই তাদের উপর শরয়ী বিধান আরোপিত হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أن عليا رضي الله عنه : سئل عن المولود لا يدري أرجل أم امرأة فقال علي رضي الله عنه يورث من حيث يبول
হযরত আলী রাঃ কে এমন বাচ্চা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, যার ছেলে বা মেয়ে হওয়া পরিস্কার নয়। তখন হযরত আলী রাঃ বললেন, সে যেভাবে পেশাব করে সে হিসেবে মিরাস পাবে। {সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১২৯৪, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৩০৪০৩, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১৯২০৪}
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
হিজড়াদের মধ্যে যারা গায়রে মুশকিল,তাদের মধ্যে যাদের বাহ্যিক আকার আকৃতি এবং শারীরিক গঠন নারীদের মতাে হবে তাদের ক্ষেত্রে নারীদের বিধি-বিধান প্রযােজ্য হবে। পুরুষদেরকে তাদের সাথে পর্দা করতে হবে। নারীদের তাদের সামনে পর্দা করতে হবেনা। এবং তারাও অন্যান্য নারীদের মতাে পর্দাবৃত হয়ে চলাচল করবে।
“আর যারা আকার আকৃতি ও শারীরিক গঠন প্রকৃতির দিক থেকে পুরুষের সাথে বেশী সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বাহ্যিক অবয়বও পুরুষের মতােই তাদের সাথে পুরুষদের পর্দার প্রয়ােজন নেই।
নারীদের তাদের সামনে পর্দা করতে হবে।
,
★আর যারা মুশকিল, তাদের সামনে পর্দা করতে হবে।
আরো জানুনঃ