ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
স্বপ্নের আদাব হচ্ছে, স্বপ্ন দেখার পর যে কাউর কাছে ব্যক্ত না করা, বিজ্ঞ কোন হিতাকাঙ্খি জন দেখে বর্ণনা করা।
এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছে.......
হযরত আবু রাযিন আল-উক্বাইলী রাঃ বলেন,
سٍ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا المُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ، وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا، فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ».
নবী কারীম সাঃ বলেছেন মু'মিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের চল্লিশভাগের এক ভাগ(অর্থাৎ তা সত্যরূপ পরিনত হয়ে থাকে),যে স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নটা তার উপর ঘুর্ণায়মান থাকে যতক্ষণ না কারো কাছে ব্যক্ত করে,অতঃপর যখন সে কারো কাছে ব্যক্ত করে (এবংঐ ব্যক্তি এর কোনো ব্যখ্যা প্রদান করে) তখন ঐ ব্যখ্যা অনুযায়ীই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।তিরমিযি হাদীস নং ২২৭৮।
(খ)রাসূলুল্লাহ সাঃ স্বপ্নের ব্যখ্যা দিয়েছেন। ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে।তবে যিনি দিবেন,এ সম্পর্কে উনার পান্ডত্য ও জানাশোনা থাকতে হবে।
হযরত ইবনে যামল(/যিমল)রাযি. থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﺯَﻣْﻞٍ ، ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻛَﺎﻥَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺇِﺫَﺍ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﺼُّﺒْﺢَ ﺍﺳْﺘَﻘْﺒَﻞَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﺑِﻮَﺟْﻬِﻪِ ، ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻳُﻌْﺠِﺒُﻪُ ﺍﻟﺮُّﺅْﻳَﺎ ، ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ : " ﻫَﻞْ ﺭَﺃَﻯ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﺭُﺅْﻳَﺎ ؟ " ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﺯَﻣْﻞٍ : ﻓَﻘُﻠْﺖُ : ﺃَﻧَـﺎ ﻳَﺎ ﻧَﺒِﻲَّ ﺍﻟﻠَّﻪِ . ﻓَﻘَﺎﻝَ : " ﺧَﻴْﺮٌ ﺗَﻠَﻘَّﺎﻩُ ، ﻭَﺷَﺮٌّ ﺗَﻮَﻗَّﺎﻩُ ، ﻭَﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻨَﺎ ، ﻭَﺷَﺮٌّ ﻷَﻋْﺪَﺍﺋِﻨَﺎ ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ، ﺍﻗْﺼُﺺ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহিস সালাম যখন ফজরের নামায পড়তেন,তখন তিনি মানুষের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসতেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহিস সালাম এর স্বপ্ন শোনা বড়ই পছন্দনীয় ছিলো।
অতঃপর উপস্থিত জনতাকে লক্ষ্য করে বললেন,তোমাদের মধ্যে কি কেউ আজ স্বপ্ন দেখেছো?
ইবনে যামল বললেন, হে 'রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম' আমি দেখেছি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম নিম্নোক্ত দু'আ টি পড়লেন,
ﺧَﻴْﺮٌ ﺗَﻠَﻘَّﺎﻩُ ، ﻭَﺷَﺮٌّ ﺗَﻮَﻗَّﺎﻩُ ، ﻭَﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻨَﺎ ، ﻭَﺷَﺮٌّ ﻷَﻋْﺪَﺍﺋِﻨَﺎ ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ،
(আ'মলুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইল-৭৬৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমরা সকল স্বপ্নের ব্যখ্যা বলিনা। শুধুমাত্র সেগুলোর ব্যখ্যাই বলি যেগুলোর ব্যাপারে সর্বসম্মতভাবে সকলেই ভালো ব্যখ্যা লিখেছেন। আপনি ফরয সহ নফল ইবাদত গুরুত্ব সহকারে আদায় করবেন। আর হ্যা, দান সদকাহ করতে থাকবেন।
(২) আপনি আপাতত আপনার মায়ের কাছ থেকে টাকা নিতে পারবেন। এবং আপনার মা যদি ঐ টাকার মালিক আপনাকে বানিয়ে দেয়, তাহলে আপনি ঐ টাকাগুলোকে সদকাহ করে দিবেন।
নতুবা ফিরিয়ে দিবেন।