আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
অাসসালামু অালাইকুম।
১.অামি ৫ দিন অাগে  সাহরী খেয়ে ফজর পড়ে ৬.০০ টার দিকে ঘুমাই।স্বপ্ন দেখলাম যে, অামাকে অার অামার বড় বোনকে নরমাল ডেলিভারির জন্য ঢাকার বড় একটা হসপিটালে নেয়া হয়েছে।সাথে ছিলো অাব্বু, অাম্মু অার মামা।অামি  খুব খুশি, মানে প্রথম মা হওয়ার অসাধারণ অনুভূতি টা তীব্রভাবে টের পাচ্ছিলাম।এর মধ্যে দেখি অাম্মুকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না।না বলে অপরিচিত জায়গায় কোথায় গেলো, তাকে খুজতে অামি নিজেই কেবিন থেকে বের হয়ে গেছি।অাম্মু গিয়েছিলো অযু করতে।তার কালো বোরকা দেখে তাকে পেয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে অাবার ভয় ভয় কাজ করছিলো নরমাল ডেলিভারি নিয়ে। ভাবছিলাম যদি সমস্যা হয় বা কারও কোনো ক্ষতি  হয়,সিজার এর দিকেই এগিয়ে  যাব কিনা।।।।।

এইটা ভাবতে ভাবতে অামার স্বপ্ন  শেষ।

(অামার বোনের ১.৫ বছরের একটা মেয়ে অাছে।অামি অবিবাহিত)

অামি দ্রুত বিয়ে অা'মাল করি(ফজর ও মাগরিবের  পর -প্রথম ও শেষে ৩ বার দুরুদে ইব্রাহিম,  সূরা কাসাসের ২৪ নং অায়াত,অাত-তাওবার ১২৯ নং অায়াত, ইস্তেখারার সংক্ষিপ্ত দুয়া,,,,,-রমাদানের শুরু থেকে নিয়মিত ইং শা অাল্লাহ)
***অামার অাব্বু অাম্মুর হারাম উপার্জন। তাই  ১ টা দ্বীনি পরিবার থেকে সম্বন্ধ এসে মানা করেছিলো,,তারপর থেকে খুব পেরেশানি থাকি অার খুব দোয়া করি দোয়া কবুলের সময় গুলোতে,,শেষ কয়েকদিন পেরেশানি সহ্য করতে না পেরে দোয়া করি যে, হে অাল্লাহ! ,, অামার বিয়ের হুকুম হলে তখনই  কেবল বিয়ে হবে,,,এই রকম দুশ্চিন্তা অার নিতে পারছি না,কোনো একটা উসিলায় অামার অন্তর অাপাতত শান্ত করেন।***

২.অামি ছোট পর্যায় অনলাইন এ একটা উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে চাইছি(হালাল উপার্জনের চিন্তায়)।অামার বাবার এখন বেতন খুবই কম,,,অাম্মুর থেকে অাপাতত ভরণপোষণ নেওয়া যাবে ইং শা অাল্লাহ,,, ফতোয়াতে বলেছিলেন।

অামি কি এখন অাম্মুর হারাম টাকা থেকে বিনিয়োগ এর জন্য টাকা নিতে পারবো? অামার কি পরে অাবার অাম্মুকে টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে নাকি সাদাকাহ করে দিতে হবে?অার অামি যদি নিতে পারি,,লাভের টাকা কি অাম্মুর জন্য হালাল হবে? অাব্বুর থেকে নেওয়া এখন সম্ভবই নয়।

জাজাকাল্লাহু খায়ের ফিদদুনিয়া ওয়াল অাখিরহ।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
স্বপ্নের আদাব হচ্ছে, স্বপ্ন দেখার পর যে কাউর কাছে ব্যক্ত না করা, বিজ্ঞ কোন হিতাকাঙ্খি জন দেখে বর্ণনা করা।
এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছে.......

হযরত আবু রাযিন আল-উক্বাইলী রাঃ বলেন,
سٍ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا المُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ، وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا، فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ». 
নবী কারীম সাঃ বলেছেন মু'মিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের চল্লিশভাগের এক ভাগ(অর্থাৎ তা সত্যরূপ পরিনত হয়ে থাকে),যে স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নটা তার উপর ঘুর্ণায়মান থাকে যতক্ষণ না কারো কাছে ব্যক্ত করে,অতঃপর যখন সে কারো কাছে ব্যক্ত করে (এবংঐ ব্যক্তি এর কোনো ব্যখ্যা প্রদান করে) তখন ঐ ব্যখ্যা অনুযায়ীই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।তিরমিযি হাদীস নং ২২৭৮।

(খ)রাসূলুল্লাহ সাঃ স্বপ্নের ব্যখ্যা দিয়েছেন। ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে।তবে যিনি দিবেন,এ সম্পর্কে উনার পান্ডত্য ও জানাশোনা থাকতে হবে।
হযরত ইবনে যামল(/যিমল)রাযি. থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﺯَﻣْﻞٍ ، ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻛَﺎﻥَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺇِﺫَﺍ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﺼُّﺒْﺢَ ﺍﺳْﺘَﻘْﺒَﻞَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﺑِﻮَﺟْﻬِﻪِ ، ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻳُﻌْﺠِﺒُﻪُ ﺍﻟﺮُّﺅْﻳَﺎ ، ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ : " ﻫَﻞْ ﺭَﺃَﻯ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﺭُﺅْﻳَﺎ ؟ " ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﺯَﻣْﻞٍ : ﻓَﻘُﻠْﺖُ : ﺃَﻧَـﺎ ﻳَﺎ ﻧَﺒِﻲَّ ﺍﻟﻠَّﻪِ . ﻓَﻘَﺎﻝَ : " ﺧَﻴْﺮٌ ﺗَﻠَﻘَّﺎﻩُ ، ﻭَﺷَﺮٌّ ﺗَﻮَﻗَّﺎﻩُ ، ﻭَﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻨَﺎ ، ﻭَﺷَﺮٌّ ﻷَﻋْﺪَﺍﺋِﻨَﺎ ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ، ﺍﻗْﺼُﺺ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহিস সালাম যখন ফজরের নামায পড়তেন,তখন তিনি মানুষের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসতেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহিস সালাম এর স্বপ্ন শোনা বড়ই পছন্দনীয় ছিলো।
অতঃপর উপস্থিত জনতাকে লক্ষ্য করে বললেন,তোমাদের মধ্যে কি কেউ আজ স্বপ্ন দেখেছো?
ইবনে যামল বললেন, হে 'রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম' আমি দেখেছি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম নিম্নোক্ত দু'আ টি পড়লেন,
ﺧَﻴْﺮٌ ﺗَﻠَﻘَّﺎﻩُ ، ﻭَﺷَﺮٌّ ﺗَﻮَﻗَّﺎﻩُ ، ﻭَﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻨَﺎ ، ﻭَﺷَﺮٌّ ﻷَﻋْﺪَﺍﺋِﻨَﺎ ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ،
(আ'মলুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইল-৭৬৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমরা সকল স্বপ্নের ব্যখ্যা বলিনা। শুধুমাত্র সেগুলোর ব্যখ্যাই বলি যেগুলোর ব্যাপারে সর্বসম্মতভাবে সকলেই ভালো ব্যখ্যা লিখেছেন। আপনি ফরয সহ নফল ইবাদত গুরুত্ব সহকারে আদায় করবেন। আর হ্যা, দান সদকাহ করতে থাকবেন। 

(২) আপনি আপাতত আপনার মায়ের কাছ থেকে টাকা নিতে পারবেন। এবং আপনার মা যদি ঐ টাকার মালিক আপনাকে বানিয়ে দেয়, তাহলে আপনি ঐ টাকাগুলোকে সদকাহ করে দিবেন। 
নতুবা ফিরিয়ে দিবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...