শরীয়তের বিধান হলো ১ম ও ৩য় রাকাতের পরে না বসে সোজা দাঁড়িয়ে যেতে হবে।
ইমাম মালেক, সুফিয়ান ছাওরী, ইমাম আবু হানীফা, ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মদ, ইমাম আহমদ, ইসহাক প্রমুখ সকলের মত হলো, উক্ত বৈঠক (জালসায়ে ইস্তেরাহাত) করবে না।
,
তবে শুধু ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর মাযহাব,(আহমদ রহঃ এর এক কউল) আর কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে এটি করার বিধান আছে।
,
আল্লামা আলাউদ্দীন আল মারদীনী র. আল জাওহারুন-নাকী গ্রন্থে লিখেছেন,
أجمعوا على أنه إذا رفع رأسه من آخر سجدة من الركعة الأولى والثالثة نهض ولم يجلس إلا الشافعي.( ٢/١٢٦)
অর্থাৎ ইমাম শাফেয়ী র. ছাড়া সকল ইমাম ও আলেমই এ বিষয়ে একমত যে, প্রথম ও তৃতীয় রাকাতে দ্বিতীয় সেজদার পর সোজা দাঁড়িয়ে যাবে, বসবে না। (দ্র, ২খ, ১২৬পৃ) হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী রহ. ফাতহুল বারী গ্রন্থে বলেছেন, لم يستحبها الأكثر অর্থাৎ অধিকাংশ আলেম এটাকে মুস্তাহাবও বলেননি। (২/৩৫২)
হযরত আবূ হুরায়রা রা. বলেন,
كان النبي صلى الله عليه وسلم ينهض في الصلاة على صدور قدميه. أخرجه الترمذي (٢٨٨) وقال: حديث أبي هريرة عليه العمل عند أهل العلم يختارون أن ينهض الرجل في الصلاة على صدور قدميه.
অর্থ: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযে পায়ের উপর ভর দিয়েই উঠে পড়তেন। তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং ২৮৮; বায়হাকী, ২/১২৪ এর একজন রাবী খালিদ ইবনে ইলয়াস যঈফ। তিরমিযী র. বলেন, এ হাদীস অনুযায়ীই আলেমগণের আমল। তারা নামাযে পায়ের উপর ভর দিয়ে দাঁড়ানোই পছন্দ করতেন।
হযরত আবূ হুরায়রা রা. বলেন,
عن النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال( في المسيئ في الصلاة): إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلَاةِ فَأَسْبِغْ الْوُضُوءَ ثُمَّ اسْتَقْبِلْ الْقِبْلَةَ فَكَبِّرْ وَاقْرَأْ بِمَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ رَأْسَكَ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَسْتَوِيَ وَتَطْمَئِنَّ جَالِسًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَسْتَوِيَ قَائِمًا ثُمَّ افْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلَاتِكَ كُلِّهَا. أخرجه البخاري (٦٦٦٧)
অর্থ: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (গলদ তরীকায় নামায আদায়কারী জনৈক ব্যক্তিকে) বলেছেন, তুমি যখন নামায পড়তে ইচ্ছা কর, তখন ভালভাবে ওযু করে নাও। অতঃপর কিবলামুখী হও। আল্লাহু আকবার বলো এবং কুরআনের যতটুকু তোমার জন্য সহজ হয় পাঠ কর। অতঃপর রুকু কর এবং স্থির হয়ে রুকু কর। এরপর মাথা তোল এবং স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাক। এরপর সেজদা কর এবং সেজদায় স্থির হয়ে থাক। অতঃপর ওঠো এবং স্থির ও শান্ত হয়ে বসে পড়। এরপর আবার সেজদা কর এবং সেজদায় স্থির হয়ে থাক। অতঃপর উঠে দাঁড়াও। পুরো নামাযে এভাবেই সব কাজ কর। বুখারী শরীফ, হাদীস নং ৬৬৬৭।
ইমাম মালেক রহঃ এর মাযহাব মোতাবেক তাকবিরে তাহরিমার সময় হাত উঠানো ব্যাতিত অন্যান্য সময় হাত উঠানোর বিধান নেই।
جاء في المدونة، أن مالكاً رحمه الله قال: لا أعرف رفع اليدين في شيء من تكبير الصلاة، لا في خفض ولا في رفع؛ إلا في افتتاح الصلاة..... قال ابن القاسم: وكان رفع اليدين عند مالك ضعيفاً إلا في تكبيرة الإحرام
ইবনুল কাসেম রহঃ বলেছেন ইমাম মালেক রহঃ থেকে তাকবিরে তাহরিমা ব্যাতিত অন্য সময়ে হাত উঠানোর কথা দূর্বল।