বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ولو أسلم أحد الزوجين عرض الإسلام على الآخر فإن أسلم وإلا فرق بينهما كذا في الكنز. وإن سكت ولم يقل شيئا فالقاضي يعرض الإسلام عليه مرة بعد أخرى حتى يتم الثلاث احتياطا كذا في الذخيرة
মুশরিক স্বামী-স্ত্রীর কেউ একজন যদি ইসলাম গ্রহণ করে,তাহলে অপরজনের সামনে ইসলামের মাহাত্ম্যকে যত্নসহকারে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে,যদি সেও ইসলামকে গ্রহণ করে নেয়,তাহলে তাদের বিয়ে বহাল থেকে যাবে।নতুবা তাদের মধ্যকার বিয়ে বিচ্ছেদ সংগঠিত হয়ে যাবে।অপর জনের সামনে ইসলাম পেশ করার পর যদি উনি চুপ থাকেন,তাহলে কাযী সাহেব সতর্কতামূলক সর্বমোট তিনবার তার সামনে ইসলামকে পেশ করবেন।এরপরও যদি সে ইসলামকে কবুল না করে তাহলে তাদের মধকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিয়ে বিচ্ছেদ সংগঠিত হয়ে যাবে।
ولو أسلم زوج الكتابية بقي نكاحهما كذا في الكنز.
যদি কোনো কিতাবি মহিলার স্বামী ইসলাম গ্রহণ করে,তবে তাদের বিবাহ বহাল থাকবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৩৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উনি মুসলমান হওয়ার পর উনার স্ত্রীর সামনে ইসলামকে পেশ করা হবে,বিভিন্ন আঙ্গিকে সর্বমোট তিনবার।যদি স্ত্রী অস্বীকার করে তাহলে সাথে সাথেই বিয়েটি বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।
বিয়ে বিচ্ছেদের পদ্ধতি সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,
ثُمَّ إذَا وَقَعَتْ الْفُرْقَةُ بَيْنَهُمَا بِالْإِبَاءِ فَإِنْ كَانَ بَعْدَ الدُّخُولِ فَلَهَا الْمَهْرُ كُلُّهُ وَإِنْ كَانَ قَبْلَ الدُّخُولِ فَإِنْ كَانَ بِإِبَائِهِ فَلَهَا نِصْفُ الْمَهْرِ وَإِنْ كَانَ بِإِبَائِهَا فَلَا مَهْرَ لَهَا كَذَا فِي التَّبْيِينِ.
যদি কোনো একজনের ইসলাম অস্বীকারের ধরুণ বিচ্ছেদ সংগঠিত হয়ে থাকে।এবং দুখুল তথা বাসর রাতে প্রথম সহবাসের পর বিচ্ছেদটি সংগঠিত হয়,তাহলে মহিলা সম্পূর্ণ মহর-ই পাবে।
কিন্তু যদি বিয়ের পর বাসর রাতের পূর্বেই কোনো একজন ইসলাম গ্রহণ করে,এবং অন্যজনের নিকট ইসলামকে পেশ করার পর সে অস্বীকার করে, তাহলে বিষয়টা একটু ব্যাখ্যা সাপেক্ষ্য। যদি স্বামী অস্বীকার করে,তাহলে তার উপর নিয়মমাফিক অর্ধেক মহর দেয়া ওয়াজিব হবে।কিন্তু যদি স্ত্রী অস্বীকার করে,তাহলে সে কোনো মহর-ই পাবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৩৮)
সাবালক সন্তান সে শরীয়তের মুকাল্লাফ, সুতরাং তার সামনে তার মুসলমান পিতা/মাতা ইসলাম পেশ করবে,তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দান করবে।এটা নও মুসলিম মাতা/পিতার দায়িত্ব ও কর্তব্য। নাবালক সন্তান হলে পিতার অধীনে ও অায়ত্বে থাকবে,এবং সাধারণ বিবেচনায় পিতার তাবে হিসেবে তাকেও মুসলমান গণ্য করা হবে।এবং নাবালক সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব পিতার থাকবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.