আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
407 views
in পবিত্রতা (Purity) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায
শারীরিক অসুস্থতার জন্যে আমার হায়েজের সার্কেলে পরিবর্তন আসে সেক্ষেত্রে বর্তমানে আমি কোনটাকে রেগুলার সার্কেল হিসাবে ধরব তা নিয়ে চিন্তিত ।
অসুস্থতার আগে আমার সার্কেল ছিল ৫-৭ দিন । ডক্টরের কোর্স কম্পলিট করার পর আমার হায়েজ কখনো ২, কখনো ১০ বা কখনো ৪ এমন দিন পর্যন্ত স্থায়ী ছিল । পরিমানে একদম ই কম এবং হালকা কালচে বর্নের ।এবার ই প্রথমে ইস্তিহাযা সম্পর্কে আমি জানতে পারি । আমি কি এখন ৫-৭ দিন কে হায়েজ এর রেগুলার সার্কেল ধরে অপেক্ষা করব নাকি ৩ দিনের পর ইস্তিহাযার শর্তে নামায রোযা শুরু করে দিব ।
আরেকটা কথা আমার যে সমস্যার জন্যে হায়েজের পরিবর্তন হয়েছিল তার সমাধান ওষুধ খাওয়ার পরেও  সমাধান হয়নি .

1 Answer

0 votes
by (710,360 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7474 নং ফাতাওয়ায় এমন এক প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি যে,
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।আরো জানুন-৭৮
(وَمِنْهَا) النِّصَابُ أَقَلُّ الْحَيْضِ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ وَثَلَاثُ لَيَالٍ فِي ظَاهِرِ الرِّوَايَةِ. هَكَذَا فِي التَّبْيِينِ وَأَكْثَرُهُ عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَلَيَالِيهَا. كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 36)
হায়েযের সর্বনিম্ন মেয়াদ তিনদিন। তিন দিনের কম রক্তস্রাব হলে সেটা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে না। 

তিন দিন পর যদি আপনার হায়েয সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন।আপনার এ হায়েয বন্ধ হয়ে যাওয়া চায় ঔষধের কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণে হোক,আপনি  পবিত্র হয়ে যাবেন।
হ্যা কারো পূর্ণ তিনদিন হায়েয থাকে, এবং এই তিনদিন হায়েয হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায়, দশদিনের ভিতর আবার রক্তস্রাব দেখা যায়, তাহলে সম্পূর্ণ দশদিন-কে হায়েয হিসেবে গণ্য করা হবে। 
যেমন বর্ণিত রয়েছে,
اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনার রক্তস্রাব কখনো যদি তিনদিন অতিক্রম না করে থাকে, তাহলে এ রক্তস্রাবকে ইস্তেহাযা বলা হবে। আর যদি যদি দশ কে অতিক্রম করে থাকে, তাহলে প্রথমে যে সংখ্যায় হায়েয হত, যেমন ৫/৭ দিন, সেই দিনকে হায়েয গণ্য করে বাদবাকী দিনগুলোকে ইস্তেহাযা গণ্য করা হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্
হুজুর আমার আমার হায়েয শেষ হয় ১৫ +দিন  একটা ঔষধ খাওয়ার কারণে আমার কালকে রাতে আবার হায়েযের মতোই ঋতু স্রাব হচ্ছে কিন্তু আমার প্রতি মাসে সঠিক সময়ে হায়েয হয় ওই ঔষধ টা খাওয়ার কারণে এই সমস্যা টা হয়েছে, এখন আমি কি নাময পড়তে ও রোজা রাখতে পারবো 
by (710,360 points)
তিন দিনের পূর্ব পর্যন্ত আপনি নামায রোযা করতে পারবেন।তবে এরপর আরপারবেন না।বরং হায়েয হিসেবে গণ্য হবে এবং হায়েযের বিধান প্রয়োগ হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 115 views
0 votes
1 answer 139 views
0 votes
1 answer 169 views
...