আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম

আমার পরিচিত একজন হারাম সম্পর্কের গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য ইসলামের নিয়ম অনুসারে আগধ করে,,, কিন্তু ছেলের মা ছেলের পছন্দের মেয়েকে আনবে না এটা ছেলেকে সব সময়ই কথা দ্বারা বোঝায় কিন্তু ছেলে এখনো তার মা কে কিছুই জানায় নি ,, ছেলে তার মায়ের কথা শুনে অনেক ভয়ে আছে কিভাবে  পরিবারকে রাজি করবে,,, কিন্তু ছেলে মেয়ের মধ্যে বিয়ের পর শারীরিক সম্পর্ক হওয়াতে তারা একজন একজনকে ছাড়তে পারছেনা ,,, তারা যদি অন্য জনকে বিয়ে করে তাহলে তাদের ঠকানো হবে এই চিন্তা নিয়ে তারা ভয় পাচ্ছে আর তার উপর তারা চিন্তা করছে আল্লাহর কাছে সব থেকে অপছন্দনীয় কাজ হলো বিবাহ  বিচ্ছেদ ,,,,, তাই তাদের মনে একটা ভরসা কাজ করছে আল্লাহ তাদের কখনো আলাদা করবে না আল্লাহ কোনো একটি ব্যবস্থা করে দিবে,, তারা অনেক বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে এই অবস্থায় তাদের কি করা উচিত ,,,,, ভালো একটা সিদ্ধান্ত দিলে উপকৃত হবে তারা

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1524

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি/আপনারা মাতাপিতাকে বিয়ের জরুরত সম্পর্কে অবগত করুন।তাদেরকে আপনার বিয়ের প্রয়োজনিয়তা নিয়ে অবগত করুন।যদি নিজে আপনি আপনার মা বাবাকে বলতে না পারেন,তাহলে পরিচিতজন বা বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে অবগত করান।

মা বাবাকে বিয়ের জরুরত ও প্রয়োজনিয়তা সম্পর্কে অবগত করার পরও যদি মা বাবা বিয়ের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন,তাহলে আপনি বিয়ে করতে পারবেন।তবে এক্ষেত্রে দ্বীনদারিত্বকে প্রদাণ্য দেয়াই দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াবি অর্জনের উত্তম মাধ্যম হবে।
হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার মহিলাকে খুজতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেকোনোভাবে মাকে রাজি করিয়ে উক্ত বিবাহের কথা সবার সামনে স্বীকার করতে হবে। যেহেতু বিয়ে হয়ে গেছে, তাই কখনো তালাকের দিকে যাওয়া যাবে না। বরং যথা সম্ভব মাকে বুঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...