আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
440 views
in সালাত(Prayer) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিভিন্ন সলাত পড়ার জায়গায় লিখা দেখি যে "সলাত আদায়ের স্থানে ঘুমিয়ে এই স্থানের পবিত্রতা নষ্ট করবেন না"

এই কথার কি কোনো দলিল বা শরিয়তসম্মত ব্যাখ্যা আছে? মাসজিদে বা সলাত আদায়ের স্থানে কেউ শুয়ে থাকলে কি গুণাহ হবে?
জাযাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি সম্পর্কে বর্ণিত,তিনি নিজেই বর্ণনা করেছেন যে,

عن عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، «أَنَّهُ كَانَ يَنَامُ وَهُوَ شَاب أَعْزَبُ لاَ أَهْلَ لَهُ فِي مَسْجِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»

তিনি মসজিদে নববীতে ঘুমাতেন,তখন তিনি অবিবাহিত যুবক ছিলেন।(সহীহ বোখারী-৪৪০)

ولا بأس للغريب ولصاحب الدار أن ينام في المسجد في الصحيح من المذهب، والأحسن أن يتورع فلا ينام، كذا في خزانة الفتاوى.

মুসাফির বা মুক্বিম যার শয়ণস্থলের ব্যবস্থা রয়েছে,তাদের জন্য বিশুদ্ধ মতানুযায়ী মসজিদে শয়ন করা করা অসুবিধার কিছু নয়।তবে উত্তম হলো,সতর্কতা অবলম্বন করে মসজিদে শয়ন না করা।(যদি মসজিদ ছাড়া কারো শয়নের কোনো ব্যবস্থা থাকে)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫৩১)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

মসজিদ ব্যতীত অন্যত্র শয়নের ব্যবস্থা থাকা সত্তেও ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে শয়ন করা যদিও জায়েয তবে শয়ন না করাই মুস্তাহাব।হ্যা এমন ব্যক্তি যার পৃথক শয়নের কোনো ব্যবস্থা নাই বা কোনো মুসাফির ব্যক্তি - তাদের জন্য অবশ্য মসজিদে শয়ন করা জায়েয রয়েছে।তবে এক্ষেত্রে লক্ষণীয় হল যে,নিজস্ব বিছানা দ্বারা শয়ন করতে হবে।অন্ততপক্ষে গামছা ইত্যাদিকে বিছানা স্বরূপ নিচে বিছিয়ে নিতে হবে।যাতে করে শরীরের গাম এবং স্বপ্নদোষের বীর্য থেকে মসজিদকে বাঁচিয়ে রাখা যায়।

মসজিদে শয়নের পর স্বপ্নদোষের সম্ভাবনা দেখা দেয়া মাত্র সম্ভব হলে তাৎক্ষণিক মসজিদের বাহিরে চলে আসা।শত সতর্কতার পরও যদি মসজিদের ফ্লোরে বীর্য লেগে যায় তাহলে সাথে সাথে সেই স্থানকে পরিস্কার করে নেয়া।এবং যথাসম্ভব খুব দ্রুত মসজিদের বাহিরে চলে যাওয়া।
اذا اجنب في المسجد استحب له ان يراعي أقرب الطرق الي الخروج-

যদি স্বপ্নদোষ ইত্যাদির দরুণ মসজিদে কারো গোসল ফরয হয়ে যায়,তাহলে তার জন্য মুস্তাহাব হলো,মসজিদ থেকে বের হওয়ার সংক্ষিপ্ত রাস্তা খুজে সে তারাতারি সেখান থেকে বের হয়ে যাবে।(এ'লামূল মাসাজিদ ফি আহকামিল মাসাজিদ-৩১৬)

যেখানে লিখা রয়েছে,

"সলাত আদায়ের স্থানে ঘুমিয়ে এই স্থানের পবিত্রতা নষ্ট করবেন না"

কথাটা সঠিক ও বিশুদ্ধ নয়।কেননা মসজিদে ঘুমালে মসজিদ অপবিত্র হয় না।হ্যা এটা অবশ্য ঠিক যে,মসজিদ ইবাদতের স্থান।সুতরাং অযথা সেখানে শয়ন না করাই উচিৎ ও মুস্তাহাব। আল্লাহ- ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 92 views
0 votes
1 answer 306 views
...