বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি সম্পর্কে বর্ণিত,তিনি নিজেই বর্ণনা করেছেন যে,
عن عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، «أَنَّهُ كَانَ يَنَامُ وَهُوَ شَاب أَعْزَبُ لاَ أَهْلَ لَهُ فِي مَسْجِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
তিনি মসজিদে নববীতে ঘুমাতেন,তখন তিনি অবিবাহিত যুবক ছিলেন।(সহীহ বোখারী-৪৪০)
ولا بأس للغريب ولصاحب الدار أن ينام في المسجد في الصحيح من المذهب، والأحسن أن يتورع فلا ينام، كذا في خزانة الفتاوى.
মুসাফির বা মুক্বিম যার শয়ণস্থলের ব্যবস্থা রয়েছে,তাদের জন্য বিশুদ্ধ মতানুযায়ী মসজিদে শয়ন করা করা অসুবিধার কিছু নয়।তবে উত্তম হলো,সতর্কতা অবলম্বন করে মসজিদে শয়ন না করা।(যদি মসজিদ ছাড়া কারো শয়নের কোনো ব্যবস্থা থাকে)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫৩১)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মসজিদ ব্যতীত অন্যত্র শয়নের ব্যবস্থা থাকা সত্তেও ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে শয়ন করা যদিও জায়েয তবে শয়ন না করাই মুস্তাহাব।হ্যা এমন ব্যক্তি যার পৃথক শয়নের কোনো ব্যবস্থা নাই বা কোনো মুসাফির ব্যক্তি - তাদের জন্য অবশ্য মসজিদে শয়ন করা জায়েয রয়েছে।তবে এক্ষেত্রে লক্ষণীয় হল যে,নিজস্ব বিছানা দ্বারা শয়ন করতে হবে।অন্ততপক্ষে গামছা ইত্যাদিকে বিছানা স্বরূপ নিচে বিছিয়ে নিতে হবে।যাতে করে শরীরের গাম এবং স্বপ্নদোষের বীর্য থেকে মসজিদকে বাঁচিয়ে রাখা যায়।
মসজিদে শয়নের পর স্বপ্নদোষের সম্ভাবনা দেখা দেয়া মাত্র সম্ভব হলে তাৎক্ষণিক মসজিদের বাহিরে চলে আসা।শত সতর্কতার পরও যদি মসজিদের ফ্লোরে বীর্য লেগে যায় তাহলে সাথে সাথে সেই স্থানকে পরিস্কার করে নেয়া।এবং যথাসম্ভব খুব দ্রুত মসজিদের বাহিরে চলে যাওয়া।
اذا اجنب في المسجد استحب له ان يراعي أقرب الطرق الي الخروج-
যদি স্বপ্নদোষ ইত্যাদির দরুণ মসজিদে কারো গোসল ফরয হয়ে যায়,তাহলে তার জন্য মুস্তাহাব হলো,মসজিদ থেকে বের হওয়ার সংক্ষিপ্ত রাস্তা খুজে সে তারাতারি সেখান থেকে বের হয়ে যাবে।(এ'লামূল মাসাজিদ ফি আহকামিল মাসাজিদ-৩১৬)
যেখানে লিখা রয়েছে,
"সলাত আদায়ের স্থানে ঘুমিয়ে এই স্থানের পবিত্রতা নষ্ট করবেন না"
কথাটা সঠিক ও বিশুদ্ধ নয়।কেননা মসজিদে ঘুমালে মসজিদ অপবিত্র হয় না।হ্যা এটা অবশ্য ঠিক যে,মসজিদ ইবাদতের স্থান।সুতরাং অযথা সেখানে শয়ন না করাই উচিৎ ও মুস্তাহাব। আল্লাহ- ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.