আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
271 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (5 points)
"যারা মনে করে আল্লাহকে পাইতে মাধ্যম লাগে তাদের ঈমান থাকে না, তারা মুশরিক"--- এই এতটুক পড়ার পরে আমি পরোক্ষনে বললাম যে, 'তা অবশ্যই ঠিক'।

কিন্তু পরে উত্তর পড়ার সময় জানতে পারলাম যে, নিজেকে শুদ্দ্ব করার মাধ্যম যদি হক্কানী পীর মাশায়েখ গন হয় তাহলে জায়েজ।
আবার যদি হিন্দু বা শির্রকি মাধ্যম হলে তখন তা হারাম এবং শির্কি আকীদায় মাধ্যম মনে করাও শির্ক।

প্রশ্ন হলো--
১.আমি যে প্রথমে---

 "যারা মনে করে আল্লাহকে পাইতে মাধ্যম লাগে তাদের ঈমান থাকে না, তারা মুশরিক"--- এই এতটুক পড়ার পরে আমি পরোক্ষনে বললাম যে, 'তা অবশ্যই ঠিক'।

এই লাস্টে, ঐ কথাকে ঠিক বললাম এবং লক্ষ্য করুন এই কথার ভিতরে বলা আছে, "তাদের ঈমান থাকে না, তারা মুশরিক"
তো আমি এই কথায়-ও সহমত পোষন করেছি।

পরে জানতে পারলাম জায়েজ তরীকায় জায়েজ অন্যথায় নয়।
পরে আমার ভ্রান্তি দূর হলো।

এই যে প্রথমে পড়ার সময় আমি উক্ত  কথাকে সহমত পোষন করেছি,  "তাদের ঈমান থাকে না,,মুশরিক" এইকথাও আছে। তো এভাবে সহমত পোষন করার দ্বারা,  (এখানে লক্ষ্য করুন মহান আল্লাহ্ তা'য়ালা পাক এর ওয়াস্তে)
""জায়েজ তরীকায় যে মাধ্যম জায়েজ যেমন হক্কানী পীর মাশায়েখ" তো আমার প্রশ্নোক্ত বিষোয় সমর্থন করার দ্বারা "ঈমান থাকে না, মুশরিক" এই কথার সমর্থন কি হক্কানী পীর মাশায়েখ-দের উপরেও কি পড়বে প্রত্যেক্ষভাবে কিংবা পরোক্ষভাবে হোক???
--যদি পড়ে তাইলে আমার ঈমান ভংগের কারন হবে কি? (যেহেতু প্রশ্নোক্ত কথার সাথে আমি সমর্থন করেছি। কিন্তু আমার এই সমর্থন পরোক্ষভাবে কিংবা প্রত্যেক্যভাবে হক্কানী পীর মাশায়েখ দের উপরে পড়বে কি?)
আরকি কেউ যদি কাফের না হয়, তাহলে যেইই বলবে সেই কাফের। এই হাদিস শারীফের আলোকে আমার সমর্থনটি পীর মাশায়েখদের উপর যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। 

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।(সূরা আলে ইমরান-৩১)

আল্লাহ বলছেন,যে উনাকে পেতে হলে,উনাকে কেউ মহব্বত করলে,রাসূল সাঃ এর অনুসরণ করতে হবে।

রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি।এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-১০৩৭

সুতরাং তাসাউফ তথা কোনো হক্কানী,রব্বানী আলেমের সংস্পর্শ দ্বারাই আল্লাহর সঠিক ও যথার্থ পরিচয় লাভ করা সম্ভব হবে।এবং পুরোপুরি রাসূলের অনুসরণ করা এবং রাসূল সাঃ এর পবিত্র সুন্নতের অনুসরণ করাও সম্ভবপর হবে।

আল্লাহর মহব্বত লাভের জন্য সর্বদা নিম্নোক্ত দু'আ করবেন।
اللَّهُمَّ أرْزُقْنِي حُبَّكَ وَ حُبَّ منْ يَنْفَعُنِي حُبُّه عِندَكَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মারজুকনি হুব্বাকা ওয়া হুব্বা মাঁইয়ানফানি হুব্বুহু ইংদাকা।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে আপনার ভালোবাসা দান করুন এবং যার ভালোবাসা আপনার কাছে আমার জন্য উপকারী হয়, তার ভালোবাসাও দান করুন।’
উপকার : রাসুলুল্লাহ (সা.) সব সময় এই দোয়া করতেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৯১) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1037


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...