বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি আপনার পিতার কাছ থেকে যে কারণ দর্শিয়ে টাকা নিয়েছেন,সেই উৎসে খরছ করতে হবে।ভিন্ন উৎসে খরছ করলে,তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।কেননা আপনার পিতা আপনাকে ঐ টাকার মালিক বানিয়ে দিচ্ছেন না।বরং লেনদেন করার জন্য আপনাকে অনুমতি দিচ্ছেন।যাকে এবাহত বলা হয়।তবে যদি আপনার পিতা আপনাকে মালিক বানিয়ে দেন,এবং বলেন,তোমাকে মালিক বানিয়ে দিলাম,তাহলে আপনি যে কোনো খাতে ব্যবহার করতে পারবেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাধারণত মিথ্যা বলে মাতাপিতার নিকট থেকে টাকা নেওয়া কখনো জায়েয না।তবে যদি এমন হয় যে, কিছু টাকা না হলে দ্বীন পালনে সমস্যা তৈরী হতে পারে, তথা দ্বীন পালনের সহায়ক হিসেবে খরচ করার জন্য যদি টাকার প্রয়োজন হয়, যেমন, মেয়েদের ক্ষেত্রে হাত মোজা, পা মোজা ক্রয় করা , রোরখা ক্রয় করা যা অভিভাবকগণ সেচ্ছায় দিবে না। এভাবে ফরয বিধান পালন করতে যেয়ে মাতাপিতাকে ভিন্নপথ দেখিয়ে টাকা গ্রহণের রুখসত থাকতে পারে।
মিথ্যা বলা সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্ব বহুবার বলেছি যে,
আবুল ফরয ইবনুল জাওযী রাহ বলেনঃ
ﻭﺿﺎﺑﻄﻪ ﺃﻥ ﻛﻞ ﻣﻘﺼﻮﺩ ﻣﺤﻤﻮﺩ ﻻ ﻳﻤﻜﻦ ﺍﻟﺘﻮﺻﻞ ﺇﻟﻴﻪ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ، ﻓﻬﻮ ﻣﺒﺎﺡ ﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﻘﺼﻮﺩ ﻣﺒﺎﺣﺎ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻭﺍﺟﺒﺎ، ﻓﻬﻮ ﻭﺍﺟﺐ
প্রত্যেক ঐ ভালো উদ্দেশ্য যে পর্যন্ত মিথ্যার আশ্রয় ব্যতীত পৌছা প্রায় অসম্ভব, সেখানে মিথ্যা বলা বৈধ।মাকসাদ(উদ্দেশ্য) মুবাহ হলে,মিথ্যা বলা মুবাহ।মাকসাদ ওয়াজিব হলে মিথ্যা বলা ওয়াজিব
(ফাতাওয়া দারাল ইফতা আল-মিচরিয়্যাহ)
আল্লামা ইবনূল কাইয়ূম রাহ বলেনঃ
ﻳﺠﻮﺯ ﻛﺬﺏ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ، ﻭﻋﻠﻰ ﻏﻴﺮﻩ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﺘﻀﻤﻦ ﺿﺮﺭ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻐﻴﺮ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻳﺘﻮﺻﻞ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ ﺇﻟﻰ ﺣﻘﻪ،
একমাত্র মিথ্যার মাধ্যমে হক্ব(অধিকার রক্ষা)পর্যন্ত পৌছা নির্দিষ্ট হলে নিজের উপর বা অন্যর উপর মিথ্যা বলা জায়েয যখন এতে অন্যর কোনোপ্রকার ক্ষতি হয় হবে না।(যাদুল মা'আদ-২/১৪৫)