আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
495 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ্

আমার ফ্রেন্ড জিজ্ঞেস করছে যে,বাবার থেকে টাকা চাওয়া হলে উল্টা পাল্টা সন্দেহ করে,কোনো ভালো কাজেও টাকা দিতে চাইনা।এমতাবস্থায় যদি সে মিথ্যা বলে টাকা নেয় আর টাকাটা হালাল উদ্দেশ্যে খরচ করবে,তো এভাবে হালাল উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কি মিথ্যা বলে টাকা নেওয়া জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
https://www.ifatwa.info/10840 নং ফাতওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
আপনি আপনার পিতার কাছ থেকে যে কারণ দর্শিয়ে টাকা নিয়েছেন,সেই উৎসে খরছ করতে হবে।ভিন্ন উৎসে খরছ করলে,তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।কেননা আপনার পিতা আপনাকে ঐ টাকার মালিক বানিয়ে দিচ্ছেন না।বরং লেনদেন করার জন্য আপনাকে অনুমতি দিচ্ছেন।যাকে এবাহত বলা হয়।তবে যদি আপনার পিতা আপনাকে মালিক বানিয়ে দেন,এবং বলেন,তোমাকে মালিক বানিয়ে দিলাম,তাহলে আপনি যে কোনো খাতে ব্যবহার করতে পারবেন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
সাধারণত মিথ্যা বলে মাতাপিতার নিকট থেকে টাকা নেওয়া কখনো জায়েয না।তবে যদি এমন হয় যে, কিছু টাকা না হলে দ্বীন পালনে সমস্যা তৈরী হতে পারে, তথা দ্বীন পালনের সহায়ক হিসেবে খরচ করার জন্য যদি টাকার প্রয়োজন হয়, যেমন, মেয়েদের ক্ষেত্রে হাত মোজা, পা মোজা ক্রয় করা , রোরখা ক্রয় করা যা অভিভাবকগণ সেচ্ছায় দিবে না। এভাবে ফরয বিধান পালন করতে যেয়ে মাতাপিতাকে ভিন্নপথ দেখিয়ে টাকা গ্রহণের রুখসত থাকতে পারে।

মিথ্যা বলা সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্ব বহুবার বলেছি যে, 
আবুল ফরয ইবনুল জাওযী রাহ বলেনঃ
ﻭﺿﺎﺑﻄﻪ ﺃﻥ ﻛﻞ ﻣﻘﺼﻮﺩ ﻣﺤﻤﻮﺩ ﻻ ﻳﻤﻜﻦ ﺍﻟﺘﻮﺻﻞ ﺇﻟﻴﻪ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ، ﻓﻬﻮ ﻣﺒﺎﺡ ﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﻘﺼﻮﺩ ﻣﺒﺎﺣﺎ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻭﺍﺟﺒﺎ، ﻓﻬﻮ ﻭﺍﺟﺐ 
প্রত্যেক ঐ ভালো উদ্দেশ্য যে পর্যন্ত মিথ্যার আশ্রয় ব্যতীত পৌছা  প্রায় অসম্ভব, সেখানে মিথ্যা বলা বৈধ।মাকসাদ(উদ্দেশ্য) মুবাহ হলে,মিথ্যা বলা মুবাহ।মাকসাদ ওয়াজিব হলে মিথ্যা বলা ওয়াজিব
(ফাতাওয়া দারাল ইফতা আল-মিচরিয়্যাহ)
আল্লামা ইবনূল কাইয়ূম রাহ বলেনঃ
ﻳﺠﻮﺯ ﻛﺬﺏ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ، ﻭﻋﻠﻰ ﻏﻴﺮﻩ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﺘﻀﻤﻦ ﺿﺮﺭ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻐﻴﺮ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻳﺘﻮﺻﻞ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ ﺇﻟﻰ ﺣﻘﻪ،
একমাত্র মিথ্যার মাধ্যমে হক্ব(অধিকার রক্ষা)পর্যন্ত পৌছা নির্দিষ্ট হলে নিজের উপর বা অন্যর উপর মিথ্যা বলা জায়েয যখন এতে অন্যর কোনোপ্রকার ক্ষতি হয় হবে না।(যাদুল মা'আদ-২/১৪৫)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/644


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...