ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশে কাগুজে কলমে নাম সর্বস্ব কিছু ইসলামি ব্যাংক রয়েছে।বা ইসলামি ব্যংকিং শাখা রয়েছে।আমাদের অনুসন্ধান মতে এ সমস্ত ইসলামি ব্যাংক সমূহ নাম সর্বস্ব-ই। তাদের শরীয়া বোর্ড শুধুমাত্র লোকদেখানো।তারা তাদের শরীয়া বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যাংক পরিচালনা করে না বললে অত্তুক্তিও হবে না।হয়তো দুয়েকটি ব্যতিক্রমীও থাকতে পারে।
তথাকথিত ইসলামি ব্যাংক গুলিকে দুটি প্রশ্ন করলে আপনি তাদের ইসলাম অনুসরণের ফরমালিটি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন।যথা-
আপনি তাদের কোনো ব্রাঞ্চে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে পারেন।
(১)আপনাদের ব্যাংকে বর্তমানে সেভিংস, এফ.ডি.আর, ডিপি.এস রেট কত?
(২)ঋণ বা লোনের মুনাফা রেট কত?
উত্তর যদি ফিক্সড মুনাফা বা লোনে ফিক্সড লাভ আদান-প্রদাণ সম্পর্কীয় কিছু আসে। তাহলে বুঝে নিতে হবে যে,তারা শরীয়তকে ফলো করছে না।
কেননা হাদীসে এসেছে.
প্রত্যেক ঐ ঋণ যা কিছু মুনাফাকে নিয়ে আসবে তা সুদ।আর সুদ কুরআনের ঘোষণা অনুযায়ী হারাম।
সুতরাং লাভ কখনো নির্দিষ্ট হতে পারে না।তাই এটা সুদ হবে।
তবে হ্যা,মুদারাবা ব্যবসা! তথা একজনের টাকা অন্যজনের শ্রম, শরয়ী দৃষ্টিতে জায়েয।তবে এক্ষেত্রে শর্ত হল মুনাফা শতকরা হিসেবে নির্দিষ্ট থাকতে হবে।এবং লাভে লোকসানে উভয়কে শরীক থাকতে হবে।সাথে সাথে ব্যবসার মেয়াদকালও উল্লেখ থাকতে হবে।
হয়তো দুয়েকটি ব্যাংক পেতে পারেন যারা মুদারাবা ভিত্তিক ব্যবসা করে এবং বাস্তবে তাদের ব্যবসা পরিচালিত রয়েছে।অর্থাৎ যারা মুনাফাকে নির্দিষ্ট করে বলে না,সময়ে সময়ে তাদের মুনাফার পরিমাণ পরিবর্তন আসে।।এমন ব্যাংক পাওয়া গেলে সেটাতে মুদারাবা ব্যবসা করার সুযোগ রয়েছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/753ব্যাংকের সকল ডিপার্টমেন্টে চাকুরী কারা হারাম নয়।শুধুমাত্র সুদি সেক্টর গুলোতে চাকুরী করা হারাম।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/398
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেখানে সন্দেহ প্রবণতা থাকে, ইসলামি ব্যাংক গুলো শরয়ী বিধি মালাকে ফলো করছে কি না? হ্যা আমাদের জানামতে তারা ফলো করে না। সেই ভিত্তিতে আমরা বলবো , সূদী সেক্টর ব্যতীত ভিন্ন সেক্টরে চাকুরীর করা অনুমোদন রয়েছে।