ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
«وَيَنْقَسِمُ إلَى وَاجِبٍ، وَهُوَ الْمَنْذُورُ تَنْجِيزًا أَوْ تَعْلِيقًا، وَإِلَى سُنَّةٍ مُؤَكَّدَةٍ، وَهُوَ فِي الْعَشْرِ الْأَخِيرِ مِنْ رَمَضَانَ، وَإِلَى مُسْتَحَبٍّ، وَهُوَ مَا سِوَاهُمَا هَكَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ.»
- «الفتاوى الهندية» (1/ 211)
ইতিকাফ তিন প্রকার যথা- (১) ওয়াজিব ইতিকাফ, যা নযর বা মান্নতের জন্য কারো উপর ওয়াজিব হয়েছে। (২) সুন্নতে মুআক্কাদা ইতিকাফ, তা হল রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফ।(৯) মুস্তাহব ইতিকাফ, এছাড়া সকল ইতিকাফকে মুস্তাহব ইতিকাফ বলা হয়।
রমজান মাসের শেষ বিশদিন কেউ ইতিকাফের নিয়ত করল। এরমধ্যে প্রথম দশদিনের ইতিকাফ কে শরীয়তের পরিভাষায় মুস্তাহাব ইতিকাফ বলা হবে।
«وَلَوْ اعْتَكَفَ الرَّجُلُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُوجِبَ عَلَى نَفْسِهِ ثُمَّ خَرَجَ مِنْ الْمَسْجِدِ لَا شَيْءَ عَلَيْهِ كَذَا فِي الظَّهِيرِيَّةِ.»
- «الفتاوى الهندية» (1/ 214)
যদি কেউ ওয়াজিব ব্যতিত ভিন্ন কোনো ইতিকাফ করে , অতঃপর ইতিকাফকে ভঙ্গ করে তাহলে তার কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।
উপরে বর্ণিত হয়েছে যে, ওয়াজিব ব্যতিত ভিন্ন কোনো ইতিকাফ করার পর ভঙ্গ করলে, কোনো গোনাহ হবে না। সুতরাং সুন্নত ইতিকাফ ভঙ্গ হয়ে গেলে কোনো গোনাহ হবে না। তবে একদিনের ইতিকাফকে রোযা সহ কাযা করা অত্যাবশ্যকীয় হবে। কেননা সুন্নত শুরু করার পর তা পূরা করা ওয়াজিব। যদি কেউ এই একদিনের ইতিকাফকে কাযা না করে তাহেল তার গোনাহ হবে। এবং এটা কবিরা গোনাহ হবে। তবে বিনা কারণে ইচ্ছাকৃত ভঙ্গ করা উচিৎ না। ( আহকামে ইতিকাফ-তাকি উসমানি-৫৯)
(২) এ প্রশ্নের জবাব ইতিপূর্বে দেয়া হয়েছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
15611
(৩) তিলাওয়াতে সিজদা আদায়ের পদ্ধতি হচ্ছে,
اتفق الفقهاء على أن سجود التلاوة يحصل بسجدة واحدة، وذهب جمهورهم إلى أن السجدة للتلاوة تكون بين تكبيرتين، وأنه يشترط فيها ويستحب لها ما يشترط ويستحب لسجدة الصلاة
ফুকাহায়ে কেরাম একমত যে,সিজদায়ে তিলাওয়াত এক সিজদা দ্বারা আদায় হয়ে যায়।জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,সিজদায়ে তিলাওয়াত দুই তাকবীরের মধ্যবর্তীতে আদায় হবে।সিজদায়ে তেলাওয়াতের জন্য ঐসবই শর্ত ও মুস্তাহাব যা নামাযের জন্য শর্ত ও মুস্তাহাব।(আল মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৪/২২১)
দাড়ানো বা বসা যে কোনো অবস্থা থেকে তিলাওয়াতে সিজদা আদায় করা যাবে।তবে মুস্তাহাব হল,দাড়ানো অবস্থায় হাত না তুলে তাকবীর বলে সিজদায় চলে যাওয়া এবং আবার তাকবীর বলে সিজদা থেকে মাথা উত্তোলন করা।
(২) মনে মনে আয়াতে সিজদা পাঠ করলে, সিজদায়ে তিলাওয়াত ওয়াজিব হবে না।
لما في الدرالمختار،ج٢-ص١٠٣
(يجب) بسبب (تلاوة آية) أي أكثرها مع حرف السجدة (من أربع عشرة آية)
وفي رد المحتار تحت (قوله بسبب تلاوة) احترز عما لو كتبها أو تهجاها فلا سجود عليه كما سيأتي.
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নামাযের মধ্যে তিলাওয়াতে সিজদা কেউ দিতে ভুলে গেলে নামাযের বাহিরে আর তিলাওয়াতে সিজদা দেওয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। কেননা নামাযের সেজদার সাথে সাথে সেই তিলাওয়াতে সিজদাও আদায় হয়ে গেছে।