আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
837 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
closed by
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
আমার প্রশ্ন হল দেবরের সামনে পর্দা বিষয়ে। আমার শশুর বাড়ীতে আমি আমার স্বামী শাশুড়ি আর এক দেবর থাকি। আমাকে ঘরের কাজকর্ম করতে হয় বিধায় অনেক সময় দেবরের সামনে পরে যায়। আমি বাসায় ফুল হাত কাপড় আর বড় ওড়না ব্যবহার করি তার ফলে মুখ ছাড়া বাকি সব ঢাকা থাকে। সামনা সামনি পরে গেলে আমি সাধ্যমত মুখ ঢাকার চেষ্টা করি। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমাকে কি মুখ ঢাকতে হবে?
closed

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সিলাহ রেহমি বা আত্মীয়তার সম্পর্ককে অটুট রাখতে হাদীসে তাগিদ  এসেছে।আত্মীয়র খোঁজখবর নেয়া এবং আত্মীয়র সাথে উত্তম ব্যবহার করা ওয়াজিব।সিলাহ রেহমি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1577

ভাবি-দেবর,ভাবি-ননদ জামাই যেহেতু মাহরাম কোনো আত্মীয় নয়।তাই এখানে সিলাহ রেহমি ওয়াজিব নয়।এবং মাহরাম না হওয়ার ধরুণ তাদের মধ্যকার পরস্পর দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তা কোনোটিই জায়েযও নয়।

বিশেষকরে দেবর সম্পর্কে হাদীসে এসেছে,
হযরত উকবাহ ইবনে আমের রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عقبة بن عامر: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «إياكم والدخول على النساء» فقال رجل من الأنصار: يا رسول الله، أفرأيت الحمو؟ قال: «الحمو الموت»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা গায়রে মহিলাদের ঘরে প্রবেশ থেকে বেঁচে থাকো।একজন আনসারি সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! দেবরের সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন/কি হুকুম?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,দেবর হল,মৃত্যু।(সহীহ বোখারী-৫২৩২)
সহীহ বোখারীর বিশিষ্ট টিকাকার মুস্তাফা আল-বাগা বলেন, এখানে হামউন শব্দ দ্বারা স্বামীর সকল নিকটাত্মীয় পুরুষ উদ্দেশ্য। যেহেতু এদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তাকে মানুষ তত গুরুত্ব সহকারে নেয় না, তাই এখানে ফিতনার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ভাবি-দেবর,ভাবি-ননদ জামাই এর জন্য প্রচলিত সামাজিকতার নামে বিনা প্রয়োজনে দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তা কখনো জায়েয হবে না। হ্যা পর্দার আড়াল থেকে খাবার দাবার প্রস্তুত করে পাঠিয়ে দেয়া যাবে। স্ত্রী যদি খাবার ইত্যাদি পর্দার আড়াল থেকে পাঠিয়ে দিয়ে দেয়, তাহলে স্বামীর উপর যে সিলাহ রেহমি ওয়াজিব ছিলো,সেটার আংশিক আদায় হবে।বাকী অর্ধেক সামর্থ্যানুযায়ী স্বামী নিজেই আদায় করবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2674

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আপনার দেবরের সামনে মুখ ঢেকে রাখবেন। এ কাজে সম্পূর্ণ সহায়তা আপনাকে আপনার স্বামী করবে। আপনি আপনার স্বামীকে বুঝান, যাতেকরে তিনি একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেন।আপনার অবগত করার পরও যদি স্বামী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, তাহলে এতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। বরং স্বামীরই গোনাহ হবে । কেননা স্বামীর দায়িত্ব ছিল, পৃথক কোনো ঘরের ব্যবস্থা করা । 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...