ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সিলাহ রেহমি বা আত্মীয়তার সম্পর্ককে অটুট রাখতে হাদীসে তাগিদ এসেছে।আত্মীয়র খোঁজখবর নেয়া এবং আত্মীয়র সাথে উত্তম ব্যবহার করা ওয়াজিব।সিলাহ রেহমি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1577
ভাবি-দেবর,ভাবি-ননদ জামাই যেহেতু মাহরাম কোনো আত্মীয় নয়।তাই এখানে সিলাহ রেহমি ওয়াজিব নয়।এবং মাহরাম না হওয়ার ধরুণ তাদের মধ্যকার পরস্পর দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তা কোনোটিই জায়েযও নয়।
বিশেষকরে দেবর সম্পর্কে হাদীসে এসেছে,
হযরত উকবাহ ইবনে আমের রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عقبة بن عامر: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «إياكم والدخول على النساء» فقال رجل من الأنصار: يا رسول الله، أفرأيت الحمو؟ قال: «الحمو الموت»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা গায়রে মহিলাদের ঘরে প্রবেশ থেকে বেঁচে থাকো।একজন আনসারি সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! দেবরের সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন/কি হুকুম?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,দেবর হল,মৃত্যু।(সহীহ বোখারী-৫২৩২)
সহীহ বোখারীর বিশিষ্ট টিকাকার মুস্তাফা আল-বাগা বলেন, এখানে হামউন শব্দ দ্বারা স্বামীর সকল নিকটাত্মীয় পুরুষ উদ্দেশ্য। যেহেতু এদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তাকে মানুষ তত গুরুত্ব সহকারে নেয় না, তাই এখানে ফিতনার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ভাবি-দেবর,ভাবি-ননদ জামাই এর জন্য প্রচলিত সামাজিকতার নামে বিনা প্রয়োজনে দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তা কখনো জায়েয হবে না। হ্যা পর্দার আড়াল থেকে খাবার দাবার প্রস্তুত করে পাঠিয়ে দেয়া যাবে। স্ত্রী যদি খাবার ইত্যাদি পর্দার আড়াল থেকে পাঠিয়ে দিয়ে দেয়, তাহলে স্বামীর উপর যে সিলাহ রেহমি ওয়াজিব ছিলো,সেটার আংশিক আদায় হবে।বাকী অর্ধেক সামর্থ্যানুযায়ী স্বামী নিজেই আদায় করবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/2674
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আপনার দেবরের সামনে মুখ ঢেকে রাখবেন। এ কাজে সম্পূর্ণ সহায়তা আপনাকে আপনার স্বামী করবে। আপনি আপনার স্বামীকে বুঝান, যাতেকরে তিনি একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেন।আপনার অবগত করার পরও যদি স্বামী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, তাহলে এতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। বরং স্বামীরই গোনাহ হবে । কেননা স্বামীর দায়িত্ব ছিল, পৃথক কোনো ঘরের ব্যবস্থা করা ।