আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,842 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম
হযরত,  সূরা কাসাসের ২৪ নাম্বার আয়াতের বিস্তারিত তাফসির জানতে চাই। এ সম্পর্কে ঘটনাটি কি?

এ আয়াত পাঠের ফজিলত সহ জানালে উপকৃত হব।
এ বেশি বেশি পাঠ করলে কি তারাতাড়ি জব ও বিয়ে হয়? এটি কি পরিক্ষিত?
জাযাকাল্লাহু খাইর।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/2122 নং প্রশ্নোত্তরে আমরা বলেছিলাম যে, 
দূত বিয়ের জন্য আপনি আল্লাহর কাছে দু'আ করুন।সালাতুল হাজত পড়ে দু'আ করুন।সালাতুল হাজতের নিয়ম জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1453
আপনি যে আ'মলের কথা উল্লেখ করেছেন, সেটাও করতে পারেন।একাকি ফরয নামায বা নফল নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ,সহ দু'আয়ে মাছুরা পড়ার পর সূরায়ে ফুরকানের ৭৪নং আয়াতও পড়তে পারেন।অনেক বুজুর্গানে কেরাম ও শায়েখগণ এ আ'মলের পরামর্শ দিয়েছেন।

থানভী রাহ ও কাস্মীরি রাহ এর উক্ত দুইটি কিতাব দ্বারা আ'মল করতে পারবেন।তবে অন্তরকে বিশুদ্ধ রাখতে হবে।এগুলো শুধুমাত্র একটা পরামর্শ। আল্লাহ চাইলে কবুল করতেও পারেন আবার না ও করতে পারেন।এগুলোর নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নাই।বরং এগুলো নেককার বান্দাদের কিছু দ্বীনী পরামর্শ মাত্র।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমার দেখা সবচেয়ে উপকারী আ’মল হল, ফুরকানের ৭৪নং আয়াত সম্ভলিত আ’মল, যা আমরা ইতিপূর্বে বর্ণনা করেছি। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
فَسَقَىٰ لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّىٰ إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
অতঃপর মূসা তাদের জন্তুদেরকে পানি পান করালেন। অতঃপর তিনি ছায়ার দিকে সরে গেলেন এবং বললেন, হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাযিল করবে, আমি তার মুখাপেক্ষী। ( সূরা কাসাস-২৪) 

এ আয়াতে মুসা আঃ এর মাদয়ান সফর এবং শুয়াইব আঃ এর কন্যাদ্বয়ের সাথে সাক্ষাতের বর্ণনা এসেছে, অতঃপর পরবর্তী আয়াতে আল্লাহ ঐ ঘটনাকে এভাবে বর্ণনা করেন, 

فَجَاءتْهُ إِحْدَاهُمَا تَمْشِي عَلَى اسْتِحْيَاء قَالَتْ إِنَّ أَبِي يَدْعُوكَ لِيَجْزِيَكَ أَجْرَ مَا سَقَيْتَ لَنَا فَلَمَّا جَاءهُ وَقَصَّ عَلَيْهِ الْقَصَصَ قَالَ لَا تَخَفْ نَجَوْتَ مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
অতঃপর বালিকাদ্বয়ের একজন লজ্জাজড়িত পদক্ষেপে তাঁর কাছে আগমন করল। বলল, আমার পিতা আপনাকে ডাকছেন, যাতে আপনি যে আমাদেরকে পানি পান করিয়েছেন, তার বিনিময়ে পুরস্কার প্রদান করেন। অতঃপর মূসা যখন তাঁর কাছে গেলেন এবং সমস্ত বৃত্তান্ত বর্ণনা করলেন, তখন তিনি বললেন, ভয় করো না, তুমি জালেম সম্প্রদায়ের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছ।(সুরা কাসাস : আয়াত ২৫)
قَالَتْ إِحْدَاهُمَا يَا أَبَتِ اسْتَأْجِرْهُ إِنَّ خَيْرَ مَنِ اسْتَأْجَرْتَ الْقَوِيُّ الْأَمِينُ
বালিকাদ্বয়ের একজন বলল পিতাঃ তাকে চাকর নিযুক্ত করুন। কেননা, আপনার চাকর হিসেবে সে-ই উত্তম হবে, যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত।(সুরা কাসাস : আয়াত ২৬)
قَالَ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُنكِحَكَ إِحْدَى ابْنَتَيَّ هَاتَيْنِ عَلَى أَن تَأْجُرَنِي ثَمَانِيَ حِجَجٍ فَإِنْ أَتْمَمْتَ عَشْرًا فَمِنْ عِندِكَ وَمَا أُرِيدُ أَنْ أَشُقَّ عَلَيْكَ سَتَجِدُنِي إِن شَاء اللَّهُ مِنَ الصَّالِحِينَ
পিতা মূসাকে বললেন, আমি আমার এই কন্যাদ্বয়ের একজনকে তোমার সাথে বিবাহে দিতে চাই এই শর্তে যে, তুমি আট বছর আমার চাকুরী করবে, যদি তুমি দশ বছর পূর্ণ কর, তা তোমার ইচ্ছা। আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না। আল্লাহ চাহেন তো তুমি আমাকে সৎকর্মপরায়ণ পাবে।(সুরা কাসাস : আয়াত ২৭)

যেহেুতু আপনার বর্ণনাকৃত আয়াত বা তার মর্মার্থকে মুসাঃ বলেছিলেন, এবং বলার কিছুক্ষণ পরেই উনার থাকা-খাওয়া এবং বিয়ের ব্যবস্থা হয়েছিলো। তাই এ আয়াতকে দ্রুত এবং নেককার জীবন সাথী পাওয়ার জন্য পড়া যেতে পারে। হয়তো আল্লাহ দ্রুত ব্যবস্থা করে দিবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...