(০১)
শরীয়তের বিধান হলো রোযা রাখা অবস্থায় মাথায় তৈল দেওয়া যাবে। এতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ قَتَادَةَ: «يُسْتَحَبُّ لِلصَّائِمِ أَنْ يَدَّهِنَ حَتَّى تَذْهَبَ عَنْهُ غُبْرَةُ الصَّائِمِ»
হযরত কাতাদাহ রা. বলেন,‘রোযাদারের তেল ব্যবহার করা উচিত, যাতে রোযার কারণে সৃষ্ট ফ্যাকাশে বর্ণ দূর হয়ে যায়। [মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৪/৩১৩, হাদীস নং-৭৯১২]
وَمَا يَدْخُلُ مِنْ مَسَامِّ الْبَدَنِ مِنْ الدُّهْنِ لَا يُفْطِرُ هَكَذَا فِي شَرْحِ الْمَجْمَعِ.(الفتاوى الهندية، كتاب الصوم، الباب الرابع فيما يفسد وما لا يفسد، النوع الاول مايوجب القضاء دون الكفارة-1/203
সারমর্মঃ
শরীরের ছিদ্র,লোমকূপের ভিতরে যাহা কিছু প্রবেশ করবে,তৈল জাতীয়,এতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তথা নিম পাতার রস ত্বকের ভিতর চলে গেলে রোযার কোনো সমস্যা হবেনা। এতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
(০২)
এক্ষেত্রেও রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
,
ইসলামী স্কলার গন বলেনঃ
শরীয়তের বিধান মতে গোসল রোযার উপর কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
ইবনে কুদামা ‘আল-মুগনি’ (৩/১৮) গ্রন্থে বলেন:
রোযাদারের জন্য গোসল করতে কোন অসুবিধা নেই। তিনি বুখারি (১৯২৬) ও মুসলিম (১১০৯) কর্তৃক সংকলিত এবং আয়েশা ও উম্মে সালামা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস দিয়ে দলিল দেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অপবিত্র থাকা অবস্থায় ফজর হয়ে যেত; এরপর তিনি গোসল করতেন ও রোযা রাখতেন।
আবু দাউদ জনৈক সাহাবি থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: আমি দেখেছি যে, রোযা রেখে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পিপাসার কারণে অথবা গরমের কারণে মাথায় পানি ঢালছেন।[আলবানি সহিহ আবু দাউদ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন]
‘আউনুল মাবুদ’ গ্রন্থে বলা হয়:
এতে দলিল পাওয়া যায় যে, রোযাদারের জন্য গায়ের কিছু অংশে অথবা সারা শরীরে পানি ঢেলে গরম দূর করা জায়েয আছে। জমহুর আলেম এ মতই পোষণ করেন। এক্ষেত্রে তাঁরা ফরজ গোসল, মুস্তাহাব গোসল বা জায়েয গোসলের মধ্যে পার্থক্য করেন না।