জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হ্যাঁ সেই পোশাক গুলো বিক্রয় করা জায়েজ আছে।
কেহ যদি গায়রে মাহরামের সামনে সেই পোশাক পরিধান করে যায়,সেটি তার গুনাহ হবে।
বিক্রেতার নয়।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত বিজনেস জায়েজ আছে।
,
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ تُبَاعُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ ابْتَعْتَهَا تَلْبَسُهَا لِلْوَفْدِ إِذَا أَتَوْكَ وَالجُمُعَةِ؟ قَالَ: «إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ» وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ حُلَّةًسِيَرَاءَ حَرِيرٍ كَسَاهَا إِيَّاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: كَسَوْتَنِيهَا، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ فِيهَا مَا قُلْتَ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِتَبِيعَهَا، أَوْ تَكْسُوَهَا»
উমর (রাঃ) একটি রেশমী হুল্লা বিক্রী হতে দেখে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যদি এটি খরীদ করে নিতেন, তা হলে যখন কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসে তখন এবং জুমুআর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। পরবর্তী সময়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর (রাঃ) এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল তাকেই পরতে দেন। উমর (রাঃ) বললেন, আপনি এখনি আমাকে পরতে দিয়েছেন, অথচ এ সম্পর্কে যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেন আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে, তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে।
(সহীহ বুখারী-২/৮৬৮, হাদীস নং-৫৮৪১, ইফাবা-৫৪২৩)
ইবনে নুজাইম রাহঃ লিখেন,
أن بيع العصير ممن يتخذه خمرا إن قصد به التجارة، فلا يحرم وإن قصد به لأجل التخمير حرم (الأشباه والنظائر-53)
আঙ্গুরের শরাব যা থেকে মদ তৈরী করা হবে, যদি সেটার ক্রয়-বিক্রয় ব্যবসার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে, তাহলে জায়েয।আর যদি সেটার ক্রয়-বিক্রয় মদ তৈরীর জন্য হয়ে থাকে, তাহলে সেটা জায়েয হবে না।(আশবাহ ওয়ান-নাযাইর-৫৩)
,
(০২)
যদি সেই সম্পর্কে আপনি আগে থেকেই অবগত থাকতেন,তাহলে তাকে এগুলো দেওয়া আপনার জন্য নাজায়েজ।
কেননা এতে অন্যায় কাজে আপনি জেনে শুনে সহযোগিতা করেছেন।
,
আর যদি আপনি সেই বিষয় সম্পর্কে আগে থেকে অবগত না থাকেন,বরং জানতেন যে সে এহেন হারাম কাজ করবেনা।
তাহলে গুনাহ আপনার উপর বর্তাবেনা।
,
(০৩)
হ্যাঁ এতে তারও গুনাহ হবে।
কেননা সে জানে যে এটি নন মাহরামের সামনে সে পরিধান করবে।
,
আরো জানুনঃ
,
(০৪)
যদিও এই বিষয় নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে, তবে বর্তমান যামানায় প্রায় সকল ইসলামী স্কলারদের মত হলো ফিতনার আশংকার কারনে তা খোলা যাবেনা।
,
,
তাই শুধু কপাল এবং থুতনি ঢেকে পুরো চেহারা খোলা রেখে বাহিরে বা নন মাহরামের সামনে গেলে গুনাহ হবে।