আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
550 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (115 points)
১/আজকাল কিছু দ্বীনি আপুদের দেখলাম গ্রুপ খুলতে যেখানে কেউ হয়তো ব্যবসা করে কেউ হয়তো তাদের ইউসড-আনইউসড কাপড়/সরঞ্জামাদি সেল করে।এখন গ্রুপে অনেকেই এড থাকে।কিন্তু সবাই তো আর দ্বীনি থাকেনা,কেউ জেনারেল থাকে কেউ বা দুনিয়ামুখি থাকে।বলা যায় না কার উদ্দেশ্য কেমন sell করার বা buy করার।এক দ্বীনি আপু যদি ত্রিপিজ সেল করে অন্য এক জেনারেল আপুর কাছে যিনি এইটা নন মাহরাম এর সামনেও পড়বে।এইখানে উল্লেখ্য থ্রিপিজ শালীন পোশাক হলেও তাতে পর্দা হয় না যদি ওভাবে সেলানো না হয়,হাতের কবজি /পা দেখা যায়।তো এইক্ষেত্রে যেই আপু সেল করছে তার কি গুনাহ হবে?এখন তো এগুলা অহর।। নারীরা অনলাইনে বিজনেস করছে।এইক্ষেত্রে কি সবার ক্রয় করার উদ্দেশ্য জেনে বিজনেস করতে হবে?


২/যদি আমি আমার বেদ্বীন বান্ধুবিকে এমন জিনিস গিফট করি (যেমন সাজগোছ এর জিনিস,নর্মাল টাইপ কিছু)। যদি সে তা দিয়ে সেজে পিক আপলোড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাহলে কি আমার গুনাহ হবে?

৩/কারো পরিহিত জামা /থ্রিপিজ যা সচারাচর পড়লে সতর ঢাকেনা সেগুলা যদি সে তার কাজিন কে পড়তে দেয় যেটি সে নন মাহরাম এর সামনে পড়বে তাহলে কি তার গুনাহ হবে?

৪/পর্দা করার মধ্যে দুইটা জিনিসে ইখতেলাফ আছে।ক) মুখ ঢাকতে হবে  খ) মুখ না ঢাকলে পর্দা হবে।

এখন যদি কেউ মুখ না ঢাকতে চায় তবে তার কি অন্তত কপাল এবং থুতনি ঢাকতে হবে যেহেতু এইটি সতর?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হ্যাঁ সেই পোশাক গুলো বিক্রয় করা জায়েজ আছে।
কেহ যদি গায়রে মাহরামের সামনে সেই পোশাক পরিধান করে যায়,সেটি তার গুনাহ হবে। 
বিক্রেতার নয়।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত বিজনেস জায়েজ আছে।
,  
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ تُبَاعُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ ابْتَعْتَهَا تَلْبَسُهَا لِلْوَفْدِ إِذَا أَتَوْكَ وَالجُمُعَةِ؟ قَالَ: «إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ» وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ حُلَّةًسِيَرَاءَ حَرِيرٍ كَسَاهَا إِيَّاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: كَسَوْتَنِيهَا، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ فِيهَا مَا قُلْتَ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِتَبِيعَهَا، أَوْ تَكْسُوَهَا»

উমর (রাঃ) একটি রেশমী হুল্লা বিক্রী হতে দেখে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যদি এটি খরীদ করে নিতেন, তা হলে যখন কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসে তখন এবং জুমুআর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। পরবর্তী সময়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর (রাঃ) এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল তাকেই পরতে দেন। উমর (রাঃ) বললেন, আপনি এখনি আমাকে পরতে দিয়েছেন, অথচ এ সম্পর্কে যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেন আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে, তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে।
(সহীহ বুখারী-২/৮৬৮, হাদীস নং-৫৮৪১, ইফাবা-৫৪২৩)

ইবনে নুজাইম রাহঃ লিখেন,

أن بيع العصير ممن يتخذه خمرا إن قصد به التجارة، فلا يحرم وإن قصد به لأجل التخمير حرم (الأشباه والنظائر-53)

আঙ্গুরের শরাব যা থেকে মদ তৈরী করা হবে, যদি সেটার ক্রয়-বিক্রয় ব্যবসার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে, তাহলে জায়েয।আর যদি সেটার ক্রয়-বিক্রয় মদ তৈরীর জন্য হয়ে থাকে, তাহলে সেটা জায়েয হবে না।(আশবাহ ওয়ান-নাযাইর-৫৩)
,
(০২)
যদি সেই সম্পর্কে আপনি আগে থেকেই অবগত থাকতেন,তাহলে তাকে এগুলো দেওয়া আপনার জন্য নাজায়েজ। 
কেননা এতে অন্যায় কাজে আপনি জেনে শুনে সহযোগিতা করেছেন।
,
আর যদি আপনি সেই বিষয় সম্পর্কে আগে থেকে অবগত না থাকেন,বরং জানতেন যে সে এহেন হারাম কাজ করবেনা।
তাহলে গুনাহ আপনার উপর বর্তাবেনা।
,
(০৩)
হ্যাঁ এতে তারও গুনাহ হবে।
কেননা সে জানে যে এটি নন মাহরামের সামনে সে পরিধান করবে।
,
আরো জানুনঃ 
,
(০৪)
যদিও এই বিষয় নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে, তবে বর্তমান যামানায় প্রায় সকল ইসলামী স্কলারদের মত হলো ফিতনার আশংকার কারনে তা খোলা যাবেনা।     
,
বিস্তারিত জানুনঃ   
,
তাই শুধু কপাল এবং থুতনি ঢেকে পুরো চেহারা খোলা রেখে বাহিরে বা নন মাহরামের সামনে গেলে গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...