আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
১। মাওলানা ওয়াহিদুদ্দীন খানের আকিদা সম্পর্কে জানতে চাই, তিনি কি আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অন্তর্ভূক্ত?

২। উনি বলেছিলেন যে মহিলাদের কন্ঠ আওরাহ নয়, এবং এও বলেছিলেন যে অধিকাংশ আলেম যে বলেন নারীদের সাথে পুরুষদের কথা বলা উচিত না এটা কুরআন হাদীসে নেই। বরং হাদীসে আছে যে আয়িশা (রা) এর কাছে বিভিন্ন সাহাবী প্রয়োজনীয় পরামর্শের জন্য আসত। এবং আরও বলেন যে যদি কেউ কোনো দলিল এর পক্ষে দিতেও পারেন তবে তা আধুনিক অবস্থা বিবেচনায় বিশ্লেষণ করতে হবে। ইসলামের একটা মূলনীতি যেটা আলেমরা মেনে চলেন তা হলো অবস্থার প্রক্ষিতে অনেক হারামও হালাল হয়ে যায়। আর বর্তমান সময়ে নারী কন্ঠ না শুনে চলা অসম্ভব। এবিষয়টা কতটুকু সঠিক?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
মাওলানা ওয়াহিদুদ্দিন খান রহঃ (১ জানুয়ারি ১৯২৫ – ২১ এপ্রিল ২০২১) সম্পর্কে উইকিপিডিয়ার সাহায্যে যাহা জানতে পেরেছি। উত্তরপ্রদেশের আজমগড় এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইসলামী পণ্ডিত।

কুরআনের উপর একটি ভাষ্য লেখার জন্য এবং সমসাময়িক ইংরেজিতে অনুবাদ করার জন্য পরিচিত।

তিনি সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভের পৃষ্ঠপোষকতায় আন্তর্জাতিক ডেমিরগাস শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন; ২০০০ সালের জানুয়ারিতে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণ।

মাদার তেরেসার কাছ থেকে জাতীয় নাগরিক পুরস্কার এবং রাজিব গান্ধী জাতীয় সদ্ভাবনা পুরস্কার (২০০৯) লাভ করেছেন। তাকে আবুধাবিতে সাঈদীনা ইমাম আল হাসান ইবনে আলী শান্তি পুরস্কার (২০১৫) প্রদান করা হয়।

মাওলানা ওয়াহিদুদ্দিন খান রহঃ ১৯২৫ সালে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আজমগড় জেলার বাধরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফরিদুদ্দিন খান।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
কারো সম্পর্কে মন্তব্য করার পূর্বে এই হাদীস লক্ষ্যণীয়।

হযরত আবু বাকরা রাযি থেকে বর্ণিত,

عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَجُلًا ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَثْنَى عَلَيْهِ رَجُلٌ خَيْرًا ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( وَيْحَكَ قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ - يَقُولُهُ مِرَارًا - إِنْ كَانَ أَحَدُكُمْ مَادِحًا لَا مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ : أَحْسِبُ كَذَا وَكَذَا إِنْ كَانَ يُرَى أَنَّهُ كَذَلِكَ وَحَسِيبُهُ اللَّهُ ، وَلَا يُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَدًا )

একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক লোকের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন অন্য এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক কাজের বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর তার চেয়ে উত্তম আর কোন লোক নেই। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তো তোমার সঙ্গীর গর্দান কেটে ফেলেছ। তিনি এ কথাটি বার বার বললেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের কারো যদি তার ভাইয়ের প্রশংসা করতেই হয় তবে সে যেন বলে অমুকের ব্যাপারে আমার ধারণা যে, সে এমন (বাস্তবে হলেই এ কথাটি বলতে পারবে), তবে আল্লাহর সম্মুখে আমি কাউকে দোষমুক্ত ঘোষণা করছি না (অর্থাৎ আমি আল্লাহর সামনে কাউকে পবিত্র করতে পারি না)। (সহীহ মুসলিম-শামেলা:৩০০০,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৩১, ইসলামিক সেন্টার ৭২৮৪)(সহীহ বোখারী-৬০৬১)

সুতরাং এই হাদীসের আলোকে বলবো যে,আমার ধারণা অনুযায়ী মাওলানা ওয়াহিদুদ্দিন খান রহঃ নিষ্ঠাবান দ্বীনের খাদেম।
বিজ্ঞ আলেম ও দ্বীনের দাঈ।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ  কিতাবের লেখক।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী।
উনার আকিদা আহহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুকূলে।উনার গবেষনা পড়তে পারেন বয়ান শুনতে পারেন।

উনার কিছু লেখা,বক্তব্য ব্যখ্যাসাপেক্ষ্য বিষয়।

উনি সহ আমাদের আরো আকাবির হযরাত রয়েছেন।সকলের রচনাবলীই অধ্যায়ন করবেন।
আমাদের আকাবির হযরাত,যেমন কাসিম নানুতবি,হাজী ইমদাদুল্লাহ মোহাজেরে মক্কি,হাকীমূল উম্মত থানভী রাহ,হযরত মাদানী রাহ,মুফতী শফি রাহ,মুফতী তাকী উসমানি রাহ।
,
(০২)
এটি একটি মতবিরোধ পূর্ণ মাসয়ালা । 
,
বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...