আমি আমার চাচাত ভাইয়ের সাথে কথা বলার বিষয় ছিলো মদ এবং এলকোহল।
তো আমি জানি মদ সম্পুর্ন হারাম করে দিয়েছেন মহান আল্লাহ্ তা'য়ালা।
আবার মদের রাসায়নিক নাম এলকোহল (OH) সংকেত।
আমি জানতাম যে এলকোহল যেহেতু মদ-কেই বলা হয় তাইলে এলকোহল হারাম। তো সবধরনের এলকোহল কে মানে যেগুলায় লিখা দেখবো (OH) সংকেত আছে তা সব-ই মদ।
পরবর্তীতে মহান আল্লাহ্ তা'য়ালার হুকুম হলে কোরআন শারীফ এবং হাদিস শারীফ এর দ্বারা জানতে পারলাম যে,
খেজুর আংগুর থেকে প্রাপ্ত মদ গুলা হারাম (এবং কিসমিস ভিজিয়ে রেখে তার ভাপ শক্ত এবং গাড়, তারপরে ফেনা আসলে তা হারাম)। তাই যেগুলায় খেজুর,আংগুর এবং কিসমিসের উপোরক্ত উপাদান দ্বারা মদ তৈরী হয় না ,এবং যার দ্বারা নেশা সৃষ্টি হয় না , কেবল ওই এলকোহল গুলাই হালাল এবং ব্যবহার জায়েজ। আংগুর, খেজুর, কিসমিসের উপোরক্ত বর্ননামতে এগুলা দ্বারা এলকোহল হলে ওইটাইকেই মদ এবং তা হারাম।
প্রশ্ন--
আমি যোহর পরে, আমার চাচাত ভাইয়ের সাথে এই বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় আমি ঢালাওভাবে বাকি হালাল এলকোহল-গুলোকে
(যেগুলো আংগুর, খেজুর, কিসমিসের উপোরক্ত বর্নানা মতে এই ৩ জিনিস দ্বারা তৈরী হয় না এবং নেশা হয় না যেগুলি অর্থাৎ যেই এলকোহল গুলা ব্যবহার হালাল,, )
সেগুলাকেও আমি না জেনে মদ বা এলকোহল বলে ফেলি। আর মদ মানেই তো হারাম।
তাই আমার না জানার কারনে, বাকি হালাল এলকোহল গুলোকে আমি "মদ" বলার কারনে আমার ঈমান চলে যাবে কি?
(((((কারন শরীয়তের বিধান হচ্ছে, জেনে-শুনে হালাল কে হারাম এবং হারাম কে হালাল মনে করা এবং বলা হলে ঈমান চলে যায়))))))) এজন্য আমার খুব-ই টেনশন হচ্ছে ঈমান আছে কি না আমার??