আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
347 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)

আমি আমার চাচাত ভাইয়ের সাথে কথা বলার বিষয় ছিলো মদ এবং এলকোহল।

তো আমি জানি মদ সম্পুর্ন হারাম করে দিয়েছেন মহান আল্লাহ্ তা'য়ালা।

আবার মদের রাসায়নিক নাম এলকোহল (OH) সংকেত।

আমি জানতাম যে এলকোহল যেহেতু মদ-কেই বলা হয় তাইলে এলকোহল হারাম। তো সবধরনের এলকোহল কে মানে যেগুলায় লিখা দেখবো (OH) সংকেত আছে তা সব-ই মদ। 

পরবর্তীতে মহান আল্লাহ্ তা'য়ালার হুকুম হলে কোরআন শারীফ এবং হাদিস শারীফ এর দ্বারা জানতে  পারলাম যে,

খেজুর আংগুর থেকে প্রাপ্ত মদ গুলা হারাম (এবং কিসমিস ভিজিয়ে রেখে তার ভাপ শক্ত  এবং গাড়, তারপরে ফেনা আসলে তা হারাম)। তাই যেগুলায় খেজুর,আংগুর এবং কিসমিসের উপোরক্ত উপাদান দ্বারা মদ তৈরী হয় না ,এবং যার দ্বারা নেশা সৃষ্টি হয় না , কেবল ওই এলকোহল গুলাই হালাল এবং ব্যবহার জায়েজ। আংগুর,  খেজুর, কিসমিসের উপোরক্ত বর্ননামতে এগুলা দ্বারা এলকোহল হলে ওইটাইকেই মদ এবং তা হারাম।

প্রশ্ন--

আমি যোহর পরে, আমার চাচাত ভাইয়ের সাথে এই বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় আমি ঢালাওভাবে বাকি হালাল এলকোহল-গুলোকে 

(যেগুলো আংগুর, খেজুর, কিসমিসের উপোরক্ত বর্নানা মতে এই ৩ জিনিস দ্বারা তৈরী হয় না এবং নেশা হয় না যেগুলি অর্থাৎ যেই এলকোহল গুলা ব্যবহার হালাল,, 

সেগুলাকেও আমি না জেনে মদ বা এলকোহল বলে ফেলি। আর মদ মানেই তো হারাম। 

তাই আমার না জানার কারনে,  বাকি হালাল এলকোহল গুলোকে আমি "মদ" বলার কারনে আমার ঈমান চলে যাবে কি?

(((((কারন শরীয়তের বিধান হচ্ছে, জেনে-শুনে হালাল কে হারাম এবং হারাম কে হালাল মনে করা এবং বলা হলে  ঈমান চলে যায়))))))) এজন্য আমার খুব-ই টেনশন হচ্ছে ঈমান আছে কি না আমার??

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হারাম কে হালাল করা এবং হালাল কে হারাম করা কুফরি।তবে না জেনে করে থাকলে মাফ।কেননা উযর বিল জাহালত ক্ষমাযোগ্য অপরাধ।
ওযর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য। চায় এ'তেকাদি মাসাঈল সম্পর্কিত হোক বা ফেকহী শাখাপ্রশাখাগত মাসাঈল সম্পর্কিত হোক।
যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,
 ( رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا )
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না।(সূরা বাকারা-২৮৬)

অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
 (وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)


রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)

এ সমস্ত শরয়ী দলীল প্রমাণ করে যে,ওযর বিল জাহালাত গ্রহণযোগ্য। তথা অজ্ঞতা বশত কেউ কোনো গোনাহর কাজ করে ফেললে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন।

আরো জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হয়নি।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...