আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার কিছু প্রশ্ন ছিল শায়েখ।
প্রশ্ন:
কেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীদের বিয়ে করা হারাম? কুরআন ও হাদিসে কি বলা হয়েছে যে হযরত মুহাম্মদ (সা।) - এর স্ত্রীদের বিয়ে করা হারাম। এবং যদি থাকে তবে দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন।

আর একটি প্রশ্ন হ'ল অনেক আলেম বলেন যে ইয়া নবী বলা জায়েয নয়। তাহলে ইয়া আল্লাহ বলা কি জায়েজ নাকি না?

আর একটি প্রশ্ন হ'ল নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একবার এক ইহুদী আসসমালাইকুম অভিশাপ করে সালাম দিয়েছিল, যার অর্থ আপনার মৃত্যু হোক।এবং জবাবে রাসুল (সাঃ) বলেছিলেন ওয়া আলাইকুম অর্থাৎ তোমারও তাই হোক।। কাউকে অভিশাপ দেওয়া ইসলামে হারাম এবং তা রাসূলের অন্যান্য হাদিসে পাওয়া যায়। তাহলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি সেই ইহুদীকে অভিশাপ দিয়েছিলেন? বুঝিয়ে বলবেন

এবং অনলাইনে বাংলা হাদীস পড়ার ক্ষেত্রে সেরা ওয়েবসাইট কোনটি?

[দয়া করে প্রশ্নগুলি ক্লিয়ার করবেন]

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নবীর স্ত্রীগণ উম্মতের মা হওয়ার দরুণই মূলত তাদের সাথে বিয়ে-শাদী হারাম।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلَّا أَن يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ وَلَكِنْ إِذَا دُعِيتُمْ فَادْخُلُوا فَإِذَا طَعِمْتُمْ فَانتَشِرُوا وَلَا مُسْتَأْنِسِينَ لِحَدِيثٍ إِنَّ ذَلِكُمْ كَانَ يُؤْذِي النَّبِيَّ فَيَسْتَحْيِي مِنكُمْ وَاللَّهُ لَا يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِن وَرَاء حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ وَمَا كَانَ لَكُمْ أَن تُؤْذُوا رَسُولَ اللَّهِ وَلَا أَن تَنكِحُوا أَزْوَاجَهُ مِن بَعْدِهِ أَبَدًا إِنَّ ذَلِكُمْ كَانَ عِندَ اللَّهِ عَظِيمًا
হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য আহার্য রন্ধনের অপেক্ষা না করে নবীর গৃহে প্রবেশ করো না। তবে তোমরা আহুত হলে প্রবেশ করো, তবে অতঃপর খাওয়া শেষে আপনা আপনি চলে যেয়ো, কথাবার্তায় মশগুল হয়ে যেয়ো না। নিশ্চয় এটা নবীর জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের কাছে সংকোচ বোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ সত্যকথা বলতে সংকোচ করেন না। তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ। আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তাঁর ওফাতের পর তাঁর পত্নীগণকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়। আল্লাহর কাছে এটা গুরুতর অপরাধ।(সূরা আহযাব-৫৩)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী/বোন!
প্রথম আয়াতে আল্লাহ তা'আলা সরাসরি নবীর বিবিদেরকে বিয়ে করতে নিষেধ করেছেন।আর সূরা আহযাবের ৬ নং আয়াতে বলছেন যে,নবীদের স্ত্রীগণ উম্মতের মা।সুতরাং মা এবং সন্তানদের মধ্যকার বিয়ে শাদী হারাম।
বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/11546

'ইয়া নবী সালামু আলাইকা' বা 'ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা' পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।
কেননা এজাতীয় বাক্য রাসূল সাঃ কে হাজির-নাজির বুঝায় অথবা বুঝাতে সাহায্য করে।
তবে এ'তেক্বাদ সহীহ রেখে বলতে কোনো অসুবিধে নেই।কিন্ত সাধারণ লোকজন এ কথার সহজ অর্থ অনুধাবন করে রাসূল সাঃ কে উপস্থিত বা উপস্থিতের মত মনে করবে।তাই এ জাতীয় বাক্য পরিত্যাগ করে হাদীসের শিক্ষাকৃত বাক্য উচ্চারণ করাই শ্রেয়। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৩/১০৩)

বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/478

অভিশাপ রাসূলুল্লাহ সাঃ দেননি,বরং তারা দিয়েছিলো,রাসূলুল্লাহ সাঃ তাদেরকে বললেন যে,যেই অভিশাপ তোমরা আমাকে দিচ্ছো,সেই অভিশাপের উপযুক্ত একমাত্র তোমরা। 

hadithbd অথবা ihadith পড়তে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 103 views
...