আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
292 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)
edited by

মনে কোনো কুফরি কথা আসলে। সেটাকে আমি প্রকৃতপক্ষে সাপোর্টে নই।

কিন্তু কুফরি কথা আসার পরে, আমার মাথা যদি নাড়ি। মানে কুফরি কথা যখন আসে তখন মাথা যদি (উত্তর হ্যা-বোধক) এভাবে যদি মাথা নাড়ানো হয়?

তাহলে এভাবে মাথা (হ্যা বোধক/ মানে বাহ্যিক দিক দিয়ে মাথা নাড়ানোর দ্বারা হ্যা বুঝায়) এভাবে কুফরি কথায় মাথা নাড়লে ঈমানে চলে যাবে কি?

২) আমার বোনকে আমি কালিমা তায়্যিবাহ এর তালিম দিয়েছি।কিন্তু আজ তালিম দিতে গিয়ে, 

(ও মোবাইলে ছবি মুভি ইত্যাদি দেখছিলো। আমি তালিমের জন্য ডাকলাম। কিন্তু আমার বোন রাগ করে বলে,

"রাগ করে আমাকে উদ্দেশ্য করে  উত্তর দেয় 

 
"(আমাকে বলেছে) আপনি  আমাকে কি করবেন? এখন পারবো না,, পরে"  এই টুক রাগ করে বলে ফেলে। 
 
ওর বয়স ১৬+ শরীয়ত  সম্পর্কে জ্ঞান নেই। আরকি বুজে কম।
২য় প্রশ্নে আমার মনে খূটা দেয় বারংবার যে,
 
আমি বোনকে কালিমা শারীফের তালিম এর জন্য ডাকলাম কিন্তু সে মুভি দেখায় ছিলো এবং উপোরক্ত জবাব দেয় রাগ করে।
এর দ্বারা আমার বোনের ঈমানের কোনো সমস্যা হবে কি না বা ঈমান নবায়ন জরুরি কি না? 

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মনে কোনো কুফরী কথা বা চিন্তা আসার পর যদি সেই কথা বা চিন্তাতে মনের অজান্তেই বা এমনিতেই আপনি মাথা নাড়িয়ে ফেলেন, তাহলে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। হ্যা কিন্তু আপনি যদি ঐ কুফরী কথা বা চিন্তাকে সমর্থন করে হ্যা সূচক মাথা নাড়ান, তাহলে আপনার ঈমান চলে যাবে। 

(২)
"(আমাকে বলেছে) আপনি আমাকে কি করবেন? এখন পারবো না।

এরকম কথা দ্বারা যদিও তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। তবে  এ দ্বারার কথা কখনো ইতিবাচক নয়। তাই আপনি এখনই আপনার বোনকে যে ভাবেই হোক দ্বীনের পথে নিয়ে আসার চেষ্টা করতে থাকুন। 
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আরোও বলেন:
ﺍﺩْﻉُ ﺇِﻟِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺭَﺑِّﻚَ ﺑِﺎﻟْﺤِﻜْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻮْﻋِﻈَﺔِ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺔِ ﻭَﺟَﺎﺩِﻟْﻬُﻢ ﺑِﺎﻟَّﺘِﻲ ﻫِﻲَ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ( ﺍﻟﻨﺤﻞ : ١٢٥ (
আপনি আপনার প্রতিপালকের দিকে আহবান করুন হিকমত বা প্রজ্ঞা দ্বারা এবং সুন্দর ওয়াজ-উপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে উৎকৃষ্টতর পদ্ধতিতে আলোচনা-বিতর্ক করুন। (সূরা নাহল: ১২৫)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
ﺍﻟﺪِّﻳْﻦُ ﺍﻟﻨَّﺼِﻴْﺤَﺔُ، ﻗُﻠْﻨَﺎ ﻟِﻤَﻦْ ﻗَﺎﻝَ ﻟﻠﻪِ ﻭَﻟِﻜِﺘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﻟِﺮَﺳُﻮﻟِﻪِ ﻭَﻟِﺄﺋﻤَّﺔِ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ ﻭَﻋَﺎﻣَّﺘﻬِﻢْ . ( ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ )
দীন হলো নসিহত। সাহাবিগণ বললেন, কার জন্য ? বললেন, আল্লাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য, মুসলিমগণের নেতৃবর্গের জন্য এবং সাধারণ মুসলিমদের জন্য। (মুসলিম)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...