সুরা ইউসুফের ০২ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
اِنَّاۤ اَنۡزَلۡنٰهُ قُرۡءٰنًا عَرَبِیًّا لَّعَلَّکُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۲﴾
নিশ্চয় আমি একে আরবী কুরআনরূপে নাযিল করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার।
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ
আসমানী গ্রন্থসমূহকে অবতীর্ণ করার উদ্দেশ্য হল, মানুষকে হিদায়াত ও পথ প্রদর্শন করা। আর উক্ত উদ্দেশ্য তখনই অর্জন হবে, যখন সেই গ্রন্থ এমন ভাষায় হবে, যে ভাষা তারা বুঝতে পারবে। এই জন্যই সমস্ত আসমানী গ্রন্থ যে জাতির হিদায়াতের জন্য অবতীর্ণ করা হয়েছে সে জাতির ভাষায় অবতীর্ণ করা হয়েছে। কুরআন কারীম যেহেতু সর্বপ্রথম আরববাসীদেরকে লক্ষ্য করে অবতীর্ণ করা হয়েছে, সেহেতু তা আরবী ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে। তাছাড়া আরবী ভাষা সাহিত্য- শৈলী, শব্দালঙ্কার, অলৌকিকতা ও অর্থ প্রকাশের দিক থেকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষা। এই জন্য আল্লাহ তাআলা এই সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ (কুরআন মাজীদ)-কে সর্বশ্রেষ্ঠ (আরবী) ভাষাতে, সর্বশ্রেষ্ঠ রসূল মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর প্রতি, সর্বশ্রেষ্ঠ ফিরিশতা (জিবরীল)এর মাধ্যমে অবতীর্ণ করেছেন এবং মক্কা যেখানে অবতীর্ণ হতে আরম্ভ হয়েছে, তা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান, যে মাসে অবতীর্ণ হয়েছে, সে মাসটিও সর্বশ্রেষ্ঠ মাস রমযান মাস এবং যে রাতে অবতীর্ণ হয়েছে, সে রাতও সর্বশ্রেষ্ঠ রাত শবেকদরের রাত।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
কুরআনের আরবি লেখা অনুযায়ী দুইরকম কুরআন আছে: হাফেজী ও নূরানী।
অন্য কোনো টাইপের লেখা আমাদের দেশের লাইব্রেরীতে জানা মতে নেই।
,
হাফেজী কুরআন পড়াই বেশি সহজ।
,
★কুরআনের বাংলা অনুবাদ হিসেবে আপনি মাওলানা মুহিউদ্দিন খান সাহেব রহঃ এর অনুবাদ
সংক্ষিপ্ত মা’আরেফুল কুরআন (১ম-২য় খণ্ড) পড়তে পারেন।
সংক্ষিপ্ত মা’আরেফুল কুরআন (১ম-২য় খণ্ড)
লেখক : হযরত মাওলানা মুফতি মুহাম্মাদ শফি
প্রকাশনী : মদীনা পাবলিকেশান্স।