আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
330 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)

একজন ব্যক্তি দীর্ঘ ৭ বছরের অধিক  সময়, একটি মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে আছে উভয়ের পরিবারের মাতা সম্পর্কের বিষয়ে অবগত যদিও তা অপ্রকাশিত ।  সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালার  বিধান, জীবনের বাস্তবতা  সত্য ও মানুষের  গন্তব্য স্থান এবং চিরস্থায়ী জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে উপলব্ধিবোধ জাগ্রত হওয়ায় পরবর্তী জীবনের শাস্তির আশঙ্কায়  মেয়েটির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে রেখেছে।  মেয়েটি তাকে বিয়ে করতে চাই ছেলেটিও চাই (পারিবারিক সম্মতি আছে তবে তা কর্মের সাথে সম্পৃক্ত )।  ছেলেটি এখনো অধ্যায়নরত মেয়েটিও অধ্যায়নরত (অনার্স ) । ফলস্রুতিতে তাদের বিবাহ সম্ভব হচ্ছে না। উভয়  পারিবারিক কাঠামো সাধারণ মিশ্র সামাজিক নিয়মেই পরিচালিত হয় , ইসলামিক বিধান কার্যকরে অক্ষম   । মেয়েটি নামাজ রোজা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উদাসীন ( তবে একটু একটু করে অগ্রসর হচ্ছে।) পর্দার ব্যাপারে অনাগ্রহী  ।  আল্লাহ তায়ালা ছেলেটিকে সত্য বোঝার তৌফিক দিছে । একজন মানুষ হিসাবে  নিজ এলাকার মেয়ে হিসাবে এবং দীর্ঘ দিনের পরিচয়ের বদৌলতে  ছেলেটি মেয়েটিকে সত্যের পথে ইসলামিক জীবন ব্যবস্থায়  আন্তে চাই , মেয়েটির ও ইচ্ছা আছে কিন্তু যথাপযুক্ত পরিবেশ মেয়েটি পাচ্ছে না বা সঙ্গ দেয়ার মতো তার পাশে ইসলামিক মানসিকতার  মানুষের অভাব।  
১। এমতা অবস্থায় কতটুকু যোগাযোগ শরীয়ত সম্মতি প্রদান করে ?
২। সম্পর্কের ইতি টানা উচিত বা  যোগাযোগ না রেখে সম্পর্ক রাখা উচিত (পরবর্তীতে বিবাহের উদ্দেশ্যে )  অথবা  অন্য কিছু ?
৩। ইসলামের পথে দাওয়াত দেয়ার জন্য ইসলামিক বিষয় বোঝানোর জন্য একজন বেইমানি-মেয়ের সাথে পুরুষের  যোগাযোগ করার বিষয়ে শরীয়তের বিধান কি ?
৪। পরিচিত নারী এবং পরিচিত পুরুষ  যারা পথ ভ্রষ্ট তাদের উভয়কেই ইসলামের দাওয়াত , এক আল্লাহর নির্দেশ পালন , মৃত্যুর পরের জীবনের আসল বাস্তবতা 
বিচার দিন সম্পর্কে অর্জিত জ্ঞান এবং উপলব্ধিবোধ প্রচার করার ব্যাপারে ইসলামিক বিধান কি ?

1 Answer

+1 vote
by (575,580 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 
    
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

উক্ত আয়াত সমূহে পরিস্কার ভাষায় মেয়েদের অন্যের সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে, অপ্রয়োজনে কথা বলতে, আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। যা পরিস্কার ভাষায় জানাচ্ছে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রয়োজন ছাড়া মেয়েদের বন্ধু বানানো, তাদের সাথে কথা বলা জায়েজ নয়।

দ্বীনী কোন বিষয় থাকলে কম কথায় শেষ করে নিবে। অযথা কথা বলা হারাম।

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
যদি নিজের উপর ফিতনার আশংকা না করেন,তাহলে তাকে দ্বীনের পথে দাওয়াত দেওয়া জায়েজ আছে।
এ দাওয়াতের উদ্দেশ্যে তার সাথে কথা বলা যাবে।
তবে প্রয়োজনীয় কথাই শুধু বলবে,অল্প সময়ে প্রয়োজনীয় কথা বলে শেষ করে দিবে।
অপ্রয়োজনীয় কথা বলা কোনো ভাবেই যাবেনা।       


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...