বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সাহল ইবনু সা'দ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ كَانَتِ الدُّنْيَا تَعْدِلُ عِنْدَ اللَّهِ جَنَاحَ بَعُوضَةٍ مَا سَقَى كَافِرًا مِنْهَا شَرْبَةَ مَاءٍ " .
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলার নিকট যদি এই পৃথিবীর মূল্য মশার একটি পাখার সমানো হত তাহলে তিনি কোন কাফিরকে এখানকার পানির এক ঢোকও পান করাতেন না। ( সুনানে তিরমিযি-২৩২০)
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
إِنَّهُمْ يَكِيدُونَ كَيْدًا
তারা ভীষণ চক্রান্ত করে,
وَأَكِيدُ كَيْدًا
আর আমিও কৌশল করি।
فَمَهِّلِ الْكَافِرِينَ أَمْهِلْهُمْ رُوَيْدًا
অতএব, কাফেরদেরকে অবকাশ দিন, তাদেরকে অবকাশ দিন, কিছু দিনের জন্যে। ( সূরা তারিক-১৫-১৭)
আল্লাহ তা’আলা অন্যত্র বলেন,
أَيَحْسَبُ أَن لَّمْ يَرَهُ أَحَدٌ- أَلَمْ نَجْعَل لَّهُ عَيْنَيْنِ-وَلِسَانًا وَشَفَتَيْنِ-وَهَدَيْنَاهُ النَّجْدَيْنِ
সে কি মনে করে যে, তাকে কেউ দেখেনি?আমি কি তাকে দেইনি চক্ষুদ্বয়,জিহবা ও ওষ্ঠদ্বয় ?বস্তুতঃ আমি তাকে দু’টি পথ প্রদর্শন করেছি। ( সূরা বালাদ-৭-১০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই পৃথিবী আল্লাহর কাছে মূল্যহীন, এজন্য আল্লাহ কাফেরদেরকে ছেড়ে দিয়েছেন, তাদের সামনে আল্লাহ তা’আলা ভালোমন্দ দুটি জিনিষ রেখেছেন। তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য।
কিছু কিছু বিধর্মীদেরকে আল্লাহ দুনিয়াতেও তার আযাবের যৎ সামান্য নমুনা দেখিয়ে দেন। এটার তার আখেরাতের আযাবের সূচনা মাত্র।