জামাত করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় হয়, স্বামী সামনে দাঁড়াবে আর স্ত্রী পিছনে দাঁড়াবে। একদম সমান সমান দাঁড়াবে না। যদি একদম বরাবর দাঁড়ায় তাহলে নামায হবে না। যদি স্বামীর পায়ের গোড়ালীর পিছনে দাঁড়ায়, তাহলেই ইক্তিদা সহীহ হবে।
আর সাথে যদি পুরুষ মুক্তাদীও হয়,তাহলে পুরুষ মুক্তাদি একজন হলে ইমামের ডান দিকে দুজন হলে পিছনে দাঁড়াবে ৷ মহিলা মুক্তাদিগন পুরুষ মুক্তাদিগনেরও পিছনে দাঁড়াবে ৷
আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ও আমার পরিবারের একজন মহিলাকে নিয়ে নামায পড়েছেন। তখন আমাকে তাঁর ডান পাশে এবং ঐ মহিলাকে পিছনে দাঁড় করিয়েছেন। সুনানে নাসায়ী ১/৯২; আলমুজামুল আওসাত, তবারানী ৪৬১৷
المرأة إذا صلت مع زوجها في البيت إن كان قدمها محل أقدام الزوج لا تجوز صلاتهما بالجماعة، وإن كان قدمها خلف قدم الزوج إلا أنها طويلة تقع رأس المرأة في السجود قبل رأس الزوج جازت صلاتهما؛ لأن العبرة للقدم، (الدر المختار، كتاب الصلاة، باب الامامة-1/572، البحر الرائق، كتاب الصلاة، باب الامامة-1/261، الفتاوى التاتارخانية، كتبا الصلاة، الفصل السابع فى بيان مقام الامام والمأموم-1/622)
সারমর্মঃ
মহিলা যদি তার স্বামীর সাথে ঘরে জামা'আতের সাথে নামাজ পড়ে,তাহলে যদি তার পা স্বামীর পায়ের স্থানে হয় (বরাবর হয়) তাহলে নামাজ জামা'আতের সাথে জায়েজ নেই।
তবে যদি তার পা স্বামীর পায়ের পিছনে থাকে,তাহলে নামাজ জায়েজ আছে,,,,।
(০২)
আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থকেএ বর্ণিত হাদিস তিনি বলেন: “আল্লাহ তাআলা খিমার পরিধান করা ব্যতীত কোন প্রাপ্ত বয়স্কা নারীর নামায কবুল করেন না।”[সুনানে আবু দাউদ, সুনানে তিরমিযি, আলবানি সহিহ আবু দাউদ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন]
শরীয়তের বিধান হলো নামাযের মধ্যে সতরের আওতাধীন কোনো একটি অঙ্গের এক চতুর্থাংশ যদি স্বেচ্ছায় খুলা হয়,তাহলে এক মুহুর্তের জন্য খুলা হলেও নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কিন্তু যদি অনিচ্ছায় এক চতুর্থাংশ খুলে যায়,তাহলে তিন তাসবিহ (সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা) পরিমাণ সময় পর্যন্ত খুলে গেলে নামায ফাসিদ হবে।
কিন্তু যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় থেকে কম হয়,কিংবা এক চতুর্থাংশ থেকে কম হয়,তাহলে নামায ফাসিদ হবে না।
নামাযের মধ্যে অঙ্গের হিসাব কিছুটা ভিন্ন রকমের।
নাভী থেকে নিয়ে লজ্জাস্থানের উপরী ভাজ পর্যন্ত একটি অঙ্গ। এই অঙ্গের এক চতুর্থাংশ যদি নামাযে খুলে যায়,এবং ইচ্ছাকৃত হয়,তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-৩/৩৯৯)
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
নামাযে ক্ষেত্রে অনিচ্ছায় হাতের কবজি বের হলে যেহেতু এটি পুরো হাতের এক চতুর্থাংশ নয়,তাই এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
মহিলাদের চুলও সতরের অন্তর্ভুক্ত, একটি চুলের এক-চতুর্থাংশ বা ততোধিক খুলে গেলেও নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে- (তাবয়ীনুল হাক্বায়েক্ব ১/৯৭)।
সুতরাং যদি প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অনিচ্ছায় চুলের এক-চতুর্থাংশ বা ততোধিক খুলে গেলে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় পর্যন্ত বা তার চেয়ে বেশি সময় ধরে খোলা থাকলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।