আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
294 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
১. রমাদানেও কি বদজীন আক্রমণ করতে পারে?রমাদানেও বোবায়(sleep paralysis) ধরে।

২. এমনকি সম্ভব যে জীন এর আসর থাকলে দ্বীনের জ্ঞান থাকা স্বত্তেও অনেক ভয়ানক পাপে জড়িয়ে পড়ে।যেগুলা করার কথা কোনোদিন করার কথা ছিলই নাহ।যেমন একজন ছোট বেলা থেকেই নিজের পবিত্রতা নিজের স্বামীর জন্য বাঁচিয়ে রাখার মানসিকতা নিয়ে বড় হয়েছে।কিন্তু সে যিনায় (ব্যাভিচার না,শারীরিক স্পর্শ মাত্র) জড়িয়ে পরে।এখন সে এগুলো থেকে বেড়িয়ে এসে নিজেকেই ঘৃণা করা শুরু করে।এমন যে নিজেকে ধরতেও তার ঘৃণা লাগে।

৩. জীনের আসর থাকলে এমন কি সম্ভব যে, সালাত আদায়ের সময় মুখে জড়তা আসে।কুরআন তিলাওয়াত এর সময় ও মুখে জড়তা আসে? সে অনেক চেষ্টা করে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য।আল্লাহর জন্য সব করতে পারে।ইবাদাতের স্বাদ পেয়েও যেন হারিয়ে ফেলে।সালাতে খুশু পায়।কিন্তু পড়ে আবার হারিয়ে যায়।সালাতে মন ই বসে না।এগুলোর জন্য পড়ে খুব কাঁদে।

এসকল প্রশ্ন একই ব্যাক্তির ক্ষেত্রে। সে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা করতো কিন্তু তাও এমন হতো।তারপর সে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত এর আমল শুরু করার পর থেকে অনেকটা সুস্থ হতে পেরেছে।মুখের জড়তা দূর হয়েছে।আলহামদুলিল্লাহ।যিনার ব্যাপারটা থেকেও অনেক কষ্টে বের হয়েছে।আলহামদুলিল্লাহ। কিন্ত যিনার ব্যাপার টা নিয়ে সন্দেহ জাগে।তার নফস অনেক দূর্বল হয়ে গিয়েছিল।আর সে কখনো কোনো ছেলের সাথে হারাম রিলেশনসিপেও জড়ায়নি।যাকে এক সময় ভালো লাগতো তার ক্ষেত্রেও না।নিজেকে নিজের স্বামীর জন্য পবিত্র রাখতো।কোনো ছেলের সাথে ভুলক্রমে ধাক্কা লাগলেও ঘৃণা করতো,এমন মেয়ের দ্বারা যিনা ঘটনাটি ঘটা অনেক অবিশ্বাস্য।এমনকি তার নিজের কাছেও।

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা  জান্নাত ও জান্নাতি রমণীদের আলোচনা করতে যেয়ে বলেন,
فِيهِمَا عَيْنَانِ تَجْرِيَانِ
উভয় উদ্যানে আছে বহমান দুই প্রস্রবন।
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
فِيهِمَا مِن كُلِّ فَاكِهَةٍ زَوْجَانِ
উভয়ের মধ্যে প্রত্যেক ফল বিভিন্ন রকমের হবে।
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
مُتَّكِئِينَ عَلَى فُرُشٍ بَطَائِنُهَا مِنْ إِسْتَبْرَقٍ وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ
তারা তথায় রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে। উভয় উদ্যানের ফল তাদের নিকট ঝুলবে।
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
فِيهِنَّ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ لَمْ يَطْمِثْهُنَّ إِنسٌ قَبْلَهُمْ وَلَا جَانٌّ
তথায় থাকবে আনতনয়ন রমনীগন, কোন জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করেনি।
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
كَأَنَّهُنَّ الْيَاقُوتُ وَالْمَرْجَانُ
প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ রমণীগণ।(সূরা আর-রাহমান-৫০-৫৭)

এখানে মাফহুমে মুখালিফ ধর্তব্য বা গ্রহণযোগ্য। মাফহুমে মুখালিফের অর্থ হল,
যেহেতু জান্নাতি রমণীদেরকে জান্নিতের পূর্বে কোনো মানুষ ও জ্বীন স্পর্শ করতে পারবে না।তাই বুঝা গেল যে,দুনিয়ার রমণীদের স্বামীদের পূর্বে মানুষ ও জ্বীন স্পর্শ করতে পারে।জান্নাতে স্বামীর পূর্বে অন্য কারো স্পর্শ করা অসম্ভব তবে দুনিয়ার রমণীদের স্পর্শ করা সম্ভব। এই সম্ভাবনার অর্থটি মাফহুমে মুখালিফ থেকেই বুঝা যাচ্ছে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই আয়াতের আলোকে আমরা বুঝে নিতে সক্ষম যে, জ্বীন রা অনেক কিছুই মানুষের সাথে করতে সক্ষম। আপনি যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন, তার সবগুলোই জ্বীন রা করতে পারে। 

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। 
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي أَنَسٍ مَوْلَى التَّيْمِيِّينَ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ وَسُلْسِلَتْ الشَّيَاطِينُ
তিনি বলতেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমাযান আসলে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানগুলোকে শিকলবন্দী করে দেয়া হয়। (সহীহ বুখারী-১৮৯৯)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৭৫ ) 

শয়তান শৃংখলাবদ্ধ থাকার পরও কেন মানুষ গোনাহের কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে, এ প্রশ্নের জবাবে বলা হবে, ১১ মাস ব্যপি শয়তান দ্বারা মানুষ প্রতারিত হওয়ার দরুণ সেই প্রতারণার প্রভাবেই রমজান মাসে মানুষ শয়তানের লক্ষ্যর দিকে অগ্রসর হয়ে থাকে, যদিও এ মাসে শয়তান কোনো প্রকার প্রতারণার দেয় না।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (9 points)
reshown by
একটা বিষয় এখনো বুঝলাম না।এজন্য আফওয়ান।যে রমাদানেও কি বোবায় ধরতে পারে বা sleep paralysis হতে পারে?কেনান আমি জানতাম শয়তান আর বদজীন কে এসময় বন্দী করে রাখা হয়।এ প্রশ্নের উত্তর টা যদি দিতেন!

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...