ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/226
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং আকিদা বিশুদ্ধ তথা শে'ফা দানকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা এমন আকিদা বিশ্বাস রেখে কেউ কারো কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবে। সুতরাং মুত্তাকি পরহেযগার কারো কাছ থেকে মাথা ধৌত করানো নাজায়েয হবে না। তবে যাদের নামায রোযার দিকে কোনো লক্ষ্য নাই, তাদের কাছ থেকে মাথা ধৌত করানো কখনো জায়েয হবে না। এজন্য যে, এতকরে, লোকজনের আকিদা নষ্ট হওয়ার সমূহ আশংকা থাকবে।
(২)
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)
অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/1982
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাদেরকে বিরত রাখার চেষ্টা করবেন, যদি সম্ভব না হয়, তাহলে সেখান থেকে সরে পড়লে কোনো গোনাহ হবে না।
(৩)
এ সময়ে রোযা না রাখার রুখসত রয়েছে। আপনি রোযা না রাখতেও পারবেন।
(৪) একই রুমে পাশাপাশি দুইজন জোরে কোরান পড়া যদি শিক্ষার নিয়তে হয়, তাহলে অনুমোদিত রয়েছে। তবে এমনিতেই এভাবে পড়া কুরআন তেলায়াতের আদবের খেলাফ।
(৫) কানে সাউন্ড সহ্য হয় না বলেই এমনটা হচ্ছে, তাই এজন্য ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।