আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
276 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
1. Ramadan a kew jodi Mara jai r se jodi onek manus k kosto diye thake ba onek onnai kore thake tobe se ki romadan a mara gale o jannati?

2. Iblish ki asman jamin er sokol jaigai sijda diyeche eta thik? R Allah pak Iblish k ato pawer kno dilo tar ki amn amol chilo jar binimoy ato kichu Allah pak dilo?

3. Kew jodi amn hoi j 40 bochor dhore amn kono gunah nai ja kore nai, akmatro manus Hotta chara r akadhik relationship a chilo zinai lipto chilo amn manus jodi towba kore purno porda kore Allah paker kacher fire ashe tobe ki Allah pak take maf kore diben? Take ki nek jibon songi dite paren ato pap er por o?

4. Accha karo biye jodi na hoi onek proposal ashar por o se nijei proposal guli na korai ki Allah pak naraj howai tar jonno biyer vaggo bodle dite paren ? Ortho holo tar kormer ba tar na korar karone ki tar biye hosse nA amn hote pare ? Tar family etai bolte chai j se na korate Allah pak naraj hoe tar akhn r biye hosse na . Naki biye agei nirdharito? Ami jani sob kichui nirdharito. Ektu plZ janaben j karo na korar karone tar biye hobe na eta Ki hote pare ?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
 بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «إِذا دخل شهر رَمَضَانُ فُتِحَتْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ وَسُلْسِلَتِ الشَّيَاطِينُ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «فُتِحَتْ أَبْوَابُ الرَّحْمَةِ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মাহে রমাযান (রমজান) শুরু হলে আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। অন্য এক বর্ণনায় আছে, জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। শয়তানকে শিকলবন্দী করা হয়। অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘রহমতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়’। 

সহীহ : বুখারী ১৮৯৯, ৩২৭৭, মুসলিম ১০৭৯, নাসায়ী ২০৯৯, ২০৯৭, ২১০২, আহমাদ ৭৭৮০, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ৭৩৮৪, ৭৭৮১, ৯২০৪, শু‘আবূল ঈমান ৩৩২৬, সহীহ ইবনু হিববান ৩৪৩১।

তবে রমজান মাসে মৃত্যুবরনকারী সরাসরি জান্নাতে যাবে,কিয়ামতের দিন কোনো হিসাব নেওয়া হবেনা,মর্মে কোনো হাদীস নেই।

দারুল উলুম দেওবন্দ এর 61433 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির অবশ্যই হিসাব নিকাশের সম্মুখীন হতে হবে।    
,
(০২)
আল্লাহ তায়ালা প্রথমে ইবলিস সহ ফেরেশতাদেরকে আদেশ করলো আদম আঃ কে সেজদাহ করতে।
 
আল্লাহর আদেশ অমান্য করা ইবলিস আদম আঃ কে সেজদাহ করলোনা।

তার পর মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
قَالَ یٰۤـاِبۡلِیۡسُ مَا لَکَ اَلَّا تَکُوۡنَ مَعَ السّٰجِدِیۡنَ ﴿۳۲﴾

তিনি বললেন, ‘হে ইবলীস, তোমার কী হল যে, তুমি সিজদাকারীদের সঙ্গী হলে না’? 

قَالَ لَمۡ اَکُنۡ لِّاَسۡجُدَ لِبَشَرٍ خَلَقۡتَهٗ مِنۡ صَلۡصَالٍ مِّنۡ حَمَاٍ مَّسۡنُوۡنٍ ﴿۳۳﴾

সে বলল, ‘আমি তো এমন নই যে, একজন মানুষকে আমি সিজদা করব, যাকে আপনি সৃষ্টি করেছেন শুকনো ঠনঠনে কালচে মাটি থেকে’।

قَالَ فَاخۡرُجۡ مِنۡهَا فَاِنَّکَ رَجِیۡمٌ ﴿ۙ۳۴﴾

তিনি বললেন, ‘তাহলে তুমি এখান থেকে বেরিয়ে যাও, তুমি বিতাড়িত’। 

وَّ اِنَّ عَلَیۡکَ اللَّعۡنَۃَ اِلٰی یَوۡمِ الدِّیۡنِ ﴿۳۵﴾

‘আর নিশ্চয় কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তোমার উপর লা‘নত’। 

قَالَ رَبِّ فَاَنۡظِرۡنِیۡۤ اِلٰی یَوۡمِ یُبۡعَثُوۡنَ ﴿۳۶﴾

সে বলল, ‘হে আমার রব, তাহলে আমাকে অবকাশ দিন সে দিন পর্যন্ত, যেদিন তাদেরকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে’। 

قَالَ فَاِنَّکَ مِنَ الۡمُنۡظَرِیۡنَ ﴿ۙ۳۷﴾

তিনি বললেন, ‘তুমি নিশ্চয় অবকাশপ্রাপ্তদের একজন’। 

قَالَ رَبِّ بِمَاۤ اَغۡوَیۡتَنِیۡ لَاُزَیِّنَنَّ لَهُمۡ فِی الۡاَرۡضِ وَ لَاُغۡوِیَنَّهُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿ۙ۳۹﴾

সে বলল, ‘হে আমার রব, যেহেতু আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তাই যমীনে আমি তাদের জন্য (পাপকে) শোভিত করব এবং নিশ্চয় তাদের সকলকে পথভ্রষ্ট করব’।

অর্থাৎ যেভাবে তুমি এ নগণ্য ও হীন সৃষ্টিকে সিজদা করার হুকুম দিয়ে আমাকে আপনার হুকুম অমান্য করতে বাধ্য করেছে ঠিক তেমনিভাবে এ মানুষদের জন্য আমি দুনিয়াকে এমন চিত্তাকর্ষক ও মনোমুগ্ধকর জিনিসে পরিণত করে দেবো যার ফলে তারা সবাই এর দ্বারা প্রতারিত হয়ে আপনার নাফরমানী করতে থাকবে, আখেরাতের জবাবদিহির কথা ভুলে যাবে। অথবা আয়াতের অর্থ, নাফরমানকে তাদের কাছে এমন চিত্তাকর্ষক করে তুলব যে, তারা আপনার নির্দেশ ভুলে যাবে। [ফাতহুল কাদীর] ইবলীসের এ ঘোষণা কুরআনের অন্যান্য স্থানেও এসেছে। [যেমন, সূরা আল-আরাফঃ ১৬–১৭, সূরা আন-নিসাঃ ১১৮, সূরা আল-ইসরাঃ ১৬২] 

اِنَّ عِبَادِیۡ لَیۡسَ لَکَ عَلَیۡهِمۡ سُلۡطٰنٌ اِلَّا مَنِ اتَّبَعَکَ مِنَ الۡغٰوِیۡنَ ﴿۴۲﴾

‘নিশ্চয় আমার বান্দাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা নেই, তবে পথভ্রষ্টরা ছাড়া যারা তোমাকে অনুসরণ করেছে’। 

এ আয়াত থেকে জানা যায় যে, আল্লাহ্ তা'আলার মনোনীত বান্দাদের উপর শয়তানী কারসাজির প্রভাব পড়ে না। কিন্তু বর্ণিত আদমের কাহিনীতে একথাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, আদম ও হাওয়ার উপর শয়তানের চক্রান্ত সফল হয়েছে। এমনিভাবে সাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে কুরআন বলেঃ (إِنَّمَا اسْتَزَلَّهُمُ الشَّيْطَانُ بِبَعْضِ مَا كَسَبُوا) [সূরা আলে ইমরানঃ ১৫৫] এ থেকে জানা যায়া যে, সাহাবায়ে কেরামের উপরও শয়তানের ধোঁকা এক্ষেত্রে কার্যকর হয়েছে। তাই আলোচ্য আয়াতে আল্লাহর বিশেষ বান্দাদের উপর শয়তানের আধিপত্য বিস্তৃত না হওয়ার অর্থ এই যে, তাদের মন-মস্তিস্ক ও জ্ঞান-বুদ্ধির উপর শয়তানের এমন আধিপত্য বিস্তৃত হয় না যে, তারা তাদের নিজ ভ্রান্তি কোন সময় বুঝতেই পারেন না; ফলে তওবা করার শক্তি হয় না কিংবা কোন ক্ষমার অযোগ্য গোনাহ করে ফেলেন। উল্লেখিত ঘটনাবলী এ তথ্যের পরিপন্থী নয়। কারণ, আদম ও হাওয়া তওবা করেছিলেন এবং তা মাফ করা হয়েছিল। [দেখুন, ফাতহুল কাদীর]

অর্থাৎ, আমার নেক বান্দাদের উপর তোমার কোন কর্তৃত্ব চলবে না। এর অর্থ এই নয় যে, তাদের দ্বারা কোন পাপ হবে না। বরং এর উদ্দেশ্য হল, তারা এমন কোন পাপ করবে না, যার পর তারা লজ্জিত হবে না বা তওবা করবে না। কারণ সেই পাপই মানুষের ধ্বংসের কারণ হয়, যার পর মানুষ অনুতপ্ত হয় না এবং তওবার সাথে আল্লাহর দিকে ফিরে আসে না। আর এরূপ পাপের পরই মানুষ একের পর এক পাপ করতে থাকে। আর শেষ পর্যন্ত ধ্বংসই তার ভাগ্যে পরিণত হয়। পক্ষান্তরে মু’মিনদের গুণ হল তারা পাপের পর পাপ করতে থাকে না, বরং তারা সত্ত্বর তওবা করে এবং ভবিষ্যতে আর দ্বিতীয়বার তা না করতে দৃঢ়সংকল্প হয়।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
আল্লাহ তায়ালা কোনো কিছুর বিনিময়ে ইবলিসকে এমন শক্তি দেয়নি,বরং ইবলিসের চাওয়াতে নিজেই তাকে এই শক্তি দিয়েছেন।
,
(০৩)
হ্যাঁ সে যদি তওবার সমস্ত শর্ত পরিপূর্ণ ভাবে মেনে  খালেছ তওবা করে,তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকেআফ করে দিবেন।
সে ভালো জীবন সঙ্গি পাবে,ইনশাআল্লাহ।   
,
(০৪)
হ্যাঁ বিবাহ আগেই নির্ধারিত।
সব কিছুই মহান আল্লাহ তায়ালার পূর্ব ফায়সালা।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 163 views
0 votes
1 answer 141 views
0 votes
1 answer 200 views
asked Apr 11, 2021 in সালাত(Prayer) by Rubbya (19 points)
0 votes
1 answer 121 views
asked Nov 2, 2022 in সালাত(Prayer) by Nabil Ahmed (14 points)
+1 vote
1 answer 134 views
0 votes
1 answer 164 views
asked Oct 27, 2022 in সালাত(Prayer) by Nabil Ahmed (14 points)
...