হাদীসটি হলো
حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا سَمِعَ أَحَدُكُمُ النِّدَاءَ وَالإِنَاءُ عَلَى يَدِهِ فَلاَ يَضَعْهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَاجَتَهُ مِنْهُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ ফাজরের আযান শুনতে পায় অথচ খাবারের পাত্র তার হাতে থাকে, সে যেন তা রেখে না দেয় যতক্ষন না তার প্রয়োজন পূরণ হয়।
আউনুল মা'বুদ নামক গ্রন্থে এর ব্যাখ্যা এসেছেঃ
(النداء): أي أذان الصبح (والإناء): أي الذي يأكل منه أو يشرب منه (على يده): جملة حالية (فلا يضعه): أي الإناء (حتى يقضي حاجته منه): أي بالأكل والشرب قال الخطابي: هذا على قوله {إن بلالا يؤذن بليل فكلوا واشربوا حتى يؤذن ابن أم مكتوم} أو يكون معناه إن سمع الأذان وهو يشك في الصبح مثل أن يكون السماء متغيمة فلا يقع له العلم بأذانه أن الفجر قد طلع لعلمه أن دلائل الفجر معدومة ولو ظهرت للمؤذن لظهرت له أيضا، فإذا علم انفجار الصبح فلا حاجة إلى أوان الصباح أذان الصارخ لأنه مأمور بأن يمسك عن الطعام والشراب إذا تبين له الخيط الأبيض من الخيط الأسود من الفجر انتهى. قال في فتح الودود: قال البيهقي إن صح هذا يحمل عند الجمهور على أنه صلى الله عليه وسلم قال حين كان المنادي ينادي قبل طلوع الفجر بحيث يقع شربه قبل طلوع الفجر قلت: من يتأمل في هذا الحديث وكذا حديث {كلوا واشربوا حتى يؤذن ابن أم مكتوم فإنه لا يؤذن حتى يطلع الفجر}، وكذا ظاهر قوله تعالى {حتى يتبين لكم الخيط الأبيض من الخيط الأسود من الفجر} يرى أن المدار هو تبين الفجر وهو يتأخر عن أوائل الفجر بشيء، والمؤذن لانتظاره يصادف أوائل الفجر فيجوز الشرب حينئذ إلى أن يتبين، لكن هذا خلاف المشهور بين العلماء فلا اعتماد عليه عندهم والله أعلم انتهى. وقال في البحر الرائق: اختلف المشايخ في أن العبرة لأول طلوعه أو لاستطارته أو لانتشاره، والظاهر الأخير لتعريفهم الصادق به. وقال علي القاري: قوله صلى الله عليه وسلم حتى يقضي حاجته منه هذا إذا علم أو ظن عدم الطلوع. وقال ابن الملك: هذا إذا لم يعلم طلوع الصبح الصائم ، أما إذا علم أنه قد طلع أو شك فيه فلا. وقال القاري أيضا: إن إمكان سرعة أكله وشربه لتقارب وقته واستدراك حاجته واستشراف نفسه وقوة نهمته وتوجه شهوته بجميع همته مما يكاد يخاف عليه أنه لو منع منه لما امتنع فأجازه الشارع رحمة عليه وتدريجا له بالسلوك والسير إليه، ولعل هذا كان في أول الأمر انتهى. والحديث سكت عنه المنذري.
সারমর্মঃ
এখানে আযান দ্বারা ফজরের প্রথম আযান উদ্দেশ্য।
ততকালীন ফজরের দুটি আযান হতো।
একটি বেলাল রাঃ এর আযান,যেটি ওয়াক্ত আসার আগেই দিতো।
২য় হলো ইবনে উম্মে মাকতুম রাঃ এর আযান।
যেটি ফজরের ওয়াক্ত আসলে আযান দেওয়া হতো।
তো এই হাদীসে বুঝানো হয়েছে যে বেলাল রাঃ এর আযান অর্থাৎ যেটি ওয়াক্ত আসার আগেই দেওয়া হতো,সেই সময় খাবার বন্ধ করতে হবেনা।
প্রয়োজন পূরন হওয়া পর্যন্ত খাওয়া যাবে।
তবে ইবনে উম্মে মাকতুম রাঃ এর আযানের সময় থেকে আরা খাবারের সুযোগ নেই।
,
বুখারী ও ইবনে মাজাহ শরীফে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا وَقَعَ الذُّبَابُ فِي إِنَاءِ أَحَدِكُمْ فَلْيَغْمِسْهُ فَإِنَّ فِي أَحَدِ جَنَاحَيْهِ دَاءً وَفِي الْآخَرِ شِفَاءً ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ
অর্থ : যদি তোমাদের কারো পাত্রে মাছি পতিত হয় সে যেন উক্ত মাছিটিকে ডুবিয়ে দেয়। কেননা তার একটি ডানায় রোগ জীবাণু রয়েছে, আর অপরটিতে রয়েছে রোগনাশক ঔষধ” (বুখারী)।
এ বিষয়ে কিং আব্দুল আজীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উস্তাদ ডক্টর ওয়াজিহ বায়েশরী এই হাদীসের আলোকে মাছিকে নিয়ে কয়েকটি পরীক্ষা চালান।
জীবাণুমুক্ত কিছু পাত্রের মাধ্যমে মাছির বাজার থেকে কয়েকটি মাছি ধরে নিয়ে জীবাণুমুক্ত টেষ্ট টিউবের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখেন। তারপর নলটি একটি পানির গ্লাসে উপুড় করেন। মাছিগুলো পানিতে পতিত হওয়ার পর উক্ত পানি থেকে কয়েক ফোটা পানি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন যে, সেই পানিতে অসংখ জীবাণু রয়েছে।
তারপর জীবাণুমুক্ত একটি সূঁচ দিয়ে মাছিকে ঐ পানিতেই ডুবিয়ে দেন। তারপর কয়েক ফোটা পানি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন যে, সেই পানিতে আগের মত আর জীবাণু নেই, বরং কম।
তারপর আবার ডুবিয়ে দেন। তারপর কয়েক ফোটা পানি নিয়ে আবার পরীক্ষা করেন। এমনি ভাবে কয়েকবার পরীক্ষা করে দেখেন যে, যত বার মাছিকে ডুবিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন ততই জীবাণু কমেছে অর্থাৎ ডক্টর ওয়াজীহ এটা প্রমাণ করে দেখিয়েছিন যে, মাছির একটি ডানায় রোগ জীবানু রয়েছে এবং অপরটিতে রোগনাশক ঔষধ রয়েছে।
সৌদী আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত অষ্টম চিকিৎসা সম্মেলনে কানাডা থেকে দু’টি গবেষণা-রিপোর্ট পাঠিয়েছিল যাতে বর্ণিত ছিল, মাছিতে এমন কোন বস্তু রয়েছে যা জীবাণুকে ধ্বংস করে দেয়। শাইখ মোস্তকা এবং শাইখ খালীল মোল্লা এই বিষয়ে জার্মান ও ব্রিটেন থেকে রিসার্চগুলো ধারাবাহিক সংগ্রহের মাধ্যমে একটি বই বের করেছেন যার মূল বিষয় ছিল :
فَإِنَّ فِي أَحَدِ جَنَاحَيْهِ دَاءً وَفِي الْآخَرِ شِفَاءً – ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ
অর্থঃ নিশ্চয়ই মাছির একটি ডানায় রয়েছে রোগ, আর অপরটিতে রয়েছে রোগ নাশক ঔষধ। (বুখারী)
মাছি যখন কোন খাদ্যে বসে তখন যে ডানায় জীবাণু থাকে সে ডানাটি খাদ্যে ডুবিয়ে দেয়। অথচ তার অপর ডানায় থাকে প্রতিরোধক ভাইরাস। যদি মাছিকে ডুবিয়ে দেয়া হয় তাহলে প্রতিরোধক ভাইরাস খাদ্যের সঙ্গে মিশে মারাত্মক জীবাণুগুলোকে ধ্বংস করে দেয় এবং খাদ্য স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য অনুকুল থাকে। নতুবা এই খাদ্যই জীবাণুযুক্ত হয়ে মানব ধ্বংসের কারণ হতে পারে।
সেই চৌদ্দশত বছর পূর্বে এই ক্ষুদ্র জীবাণু দেখার শক্তি মানুষের ছিল না। অথচ রাসূল (স:) সেগুলোর দিকে ইঙ্গিত করেছেন এবং সে সম্পর্কে কথা বলেছেন এবং ঐ বিপদজনক দিক বর্ণনা করেছেন যা আমাদের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকারক।
(সংগৃহীত।)
(০৩)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ