সুরা মুদ্দাচ্ছির এর ০৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ رَبَّکَ فَکَبِّرۡ ۪﴿ۙ۳﴾
আর তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর।
তাকবিরে তাহরিমা, অর্থাৎ শুরুতে আল্লাহু আকবার বলা ফরজ।
[ বুখারি ১/১০১, হাদিস : ৮৩৩, মুসলিম ১/১৭৬, হাদিস : ৪১১, ৪১২, তিরমিজি ১/৫৫, হাদিস : ২৩৮]
★আগে তাকবীরে তাহরিমা বলে হাত বাধা সুন্নাত।
যেমন হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ قُلْتُ لأَنْظُرَنَّ إِلَى صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ يُصَلِّي فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَكَبَّرَ فَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى حَاذَتَا بِأُذُنَيْهِ ثُمَّ أَخَذَ شِمَالَهُ بِيَمِينِهِ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ رَفَعَهُمَا مِثْلَ ذَلِكَ - قَالَ - ثُمَّ جَلَسَ فَافْتَرَشَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى وَحَدَّ مِرْفَقَهُ الأَيْمَنَ عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَقَبَضَ ثِنْتَيْنِ وَحَلَّقَ حَلَقَةً وَرَأَيْتُهُ يَقُولُ هَكَذَا وَحَلَّقَ بِشْرٌ الإِبْهَامَ وَالْوُسْطَى وَأَشَارَ بِالسَّبَّابَةِ .
মুসাদ্দাদ (রহঃ) .......... ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামায আদায়ের পদ্ধতির প্রতি নজর করি। আমি দেখি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলামুখী হয়ে দণ্ডায়মান হন। অতঃপর তিনি ‘আল্লাহু আকবার’ বলে স্বীয় উভয় হস্ত কান পর্যন্ত উঠান এবং পরে ডান হাত দ্বারা বাম হাত চেপে ধরেন। পরে যখন তিনি রুকু করার ইরাদা করেন, তখন তিনি উভয় হস্ত অনুরূপভাবে উত্তোলন করেন। অতঃপর তিনি বাম পা বিছিয়ে দিয়ে, বাম হাত উক্ত পায়ের রানের উপর রাখেন এবং ডান হাতের কনুই ডান পা হতে বিচ্ছিন্নভাবে রাখেন এবং কনিষ্ঠ ও অমানিকা আংগুলীদ্বয়কে গুটিয়ে রাখেন এবং ডান বৃদ্ধাঙ্গুলিকে মধ্যমার সাথে মিশ্রিত করে বৃত্তাকার রাখেন। অতঃপর আমি তাঁকে এরূপ করতে দেখেছি। (রাবী বলেন) অতঃপর বিশর তাঁর বৃদ্ধাংগুলোকে মধ্যমার সাথে মিলিয়ে বৃত্তাকারে রাখেন এবং শাহাদাত আংগুলি দ্বারা ইশারা করেন। (আবু দাউদ ৯৫৭.নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)।
.
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজ হয়ে যাবে।
তবে সুন্নাতের খেলাফ হবে।
,
(০২)
যয়ীফ হাদীস নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস।
রাবী তথা বর্ণনা কারীদের নিজেদের দোষ ত্রুটির কারনে উক্ত হাদীস গুলোর হুকুম যয়ীফ হয়েছে।
,
মুহাদ্দিসিনে কেরামের নীতি হলো যঈফ হাদীসকে বর্ণনা করা ও তার উপর আ'মল করা জায়েয রয়েছে।
,
তবে মাওযু(বানোয়াট/মিথ্যা)বর্ণনার ভিত্তিতে আ'মল করা জায়েয হবে না।
,
বিস্তারিত জানুনঃ