আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
180 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

সালাত শুরুর সময় তাকবীর যদি হাত বাধার পর পড়ি অর্থাৎ হাত বাধার পড় আল্লহু আকবার বলি তাহলে সালাত হবে??নাকি ফাসিদ হবে?

জইফ হাদীস কি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস?? জইফ হাদীস আমল না করার মূলনীতি কি কি??

1 Answer

0 votes
by (564,060 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
নামাজের শুরুতে তাকবিরে তাহরিমা তথা আল্লাহু আকবার  বলা ফরজ।
সুরা মুদ্দাচ্ছির এর ০৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَ رَبَّکَ فَکَبِّرۡ ۪﴿ۙ۳﴾

আর তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর।

তাকবিরে তাহরিমা, অর্থাৎ শুরুতে আল্লাহু আকবার বলা ফরজ।

[ বুখারি ১/১০১, হাদিস : ৮৩৩, মুসলিম ১/১৭৬, হাদিস : ৪১১, ৪১২, তিরমিজি ১/৫৫,   হাদিস : ২৩৮]

★আগে তাকবীরে তাহরিমা বলে হাত বাধা সুন্নাত।
যেমন হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ قُلْتُ لأَنْظُرَنَّ إِلَى صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ يُصَلِّي فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَكَبَّرَ فَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى حَاذَتَا بِأُذُنَيْهِ ثُمَّ أَخَذَ شِمَالَهُ بِيَمِينِهِ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ رَفَعَهُمَا مِثْلَ ذَلِكَ - قَالَ - ثُمَّ جَلَسَ فَافْتَرَشَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى وَحَدَّ مِرْفَقَهُ الأَيْمَنَ عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَقَبَضَ ثِنْتَيْنِ وَحَلَّقَ حَلَقَةً وَرَأَيْتُهُ يَقُولُ هَكَذَا وَحَلَّقَ بِشْرٌ الإِبْهَامَ وَالْوُسْطَى وَأَشَارَ بِالسَّبَّابَةِ .

মুসাদ্দাদ (রহঃ) .......... ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামায আদায়ের পদ্ধতির প্রতি নজর করি। আমি দেখি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলামুখী হয়ে দণ্ডায়মান হন। অতঃপর তিনি ‘আল্লাহু আকবার’ বলে স্বীয় উভয় হস্ত কান পর্যন্ত উঠান এবং পরে ডান হাত দ্বারা বাম হাত চেপে ধরেন। পরে যখন তিনি রুকু করার ইরাদা করেন, তখন তিনি উভয় হস্ত অনুরূপভাবে উত্তোলন করেন। অতঃপর তিনি বাম পা বিছিয়ে দিয়ে, বাম হাত উক্ত পায়ের রানের উপর রাখেন এবং ডান হাতের কনুই ডান পা হতে বিচ্ছিন্নভাবে রাখেন এবং কনিষ্ঠ ও অমানিকা আংগুলীদ্বয়কে গুটিয়ে রাখেন এবং ডান বৃদ্ধাঙ্গুলিকে মধ্যমার সাথে মিশ্রিত করে বৃত্তাকার রাখেন। অতঃপর আমি তাঁকে এরূপ করতে দেখেছি। (রাবী বলেন) অতঃপর বিশর তাঁর বৃদ্ধাংগুলোকে মধ্যমার সাথে মিলিয়ে বৃত্তাকারে রাখেন এবং শাহাদাত আংগুলি দ্বারা ইশারা করেন। (আবু দাউদ ৯৫৭.নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)।
.
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজ হয়ে যাবে।
তবে সুন্নাতের খেলাফ হবে।      
,
(০২)
যয়ীফ হাদীস নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস।
রাবী তথা বর্ণনা কারীদের নিজেদের দোষ ত্রুটির কারনে  উক্ত হাদীস গুলোর হুকুম যয়ীফ হয়েছে।
,
মুহাদ্দিসিনে কেরামের নীতি হলো যঈফ হাদীসকে বর্ণনা করা ও তার উপর আ'মল করা জায়েয রয়েছে।
,
তবে মাওযু(বানোয়াট/মিথ্যা)বর্ণনার ভিত্তিতে আ'মল করা জায়েয হবে না।
,
বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...