ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সহীহ হাদীস দ্বারা এ কথা প্রমাণিত রয়েছে যে,সন্তানদের বয়স দশ হয়ে গেলে তাদের শয়নস্থল-কে পৃথক করে দিতে হবে।যেমন হযরত আমর বিন শুয়াইব তার সুত্রে বর্ণনা করেন,
ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣُﺮُﻭﺍ ﺃَﻭْﻟَﺎﺩَﻛُﻢْ ﺑِﺎﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﺳَﺒْﻊِ ﺳِﻨِﻴﻦَ ، ﻭَﺍﺿْﺮِﺑُﻮﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﻋَﺸْﺮٍ ، ﻭَﻓَﺮِّﻗُﻮﺍ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﻀَﺎﺟِﻊِ ) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানাদিকে নামাযের আদেশ দাও যখন তারা সপ্ত বর্ষে উপনীত হয়।নামায না পড়ার ধরুণ তাদেরকে প্রহার করো যখন তারা দশম বৎসরে উপনীত হয়।এবং সাথে সাথে তাদের শয়নস্থল কে পৃথক করে দাও।(সুনানু আবি-দাউদ-৪১৮)
হযরত সামুরাহ ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺳﺒﺮﺓ ﺑﻦ ﻣﻌﺒﺪ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﺇﺫﺍ ﺑﻠﻎ ﺃﻭﻻﺩﻛﻢ ﺳﺒﻊ ﺳﻨﻴﻦ ﻓﻔﺮﻗﻮﺍ ﺑﻴﻦ ﻓﺮﺷﻬﻢ ﻭ ﺇﺫﺍ ﺑﻠﻐﻮﺍ ﻋﺸﺮ ﺳﻨﻴﻦ ﻓﺎﺿﺮﺑﻮﻫﻢ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺼﻼﺓ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যখন তোমাদের সন্তানাদি সপ্তম বৎসরে উপনীত হবে তখন তোমরা তাদের বিছানাকে পৃথক করে দাও।এবং যখন তারা দশম বৎসরে উপনীত হবে তখন নামাযের জন্য তোমরা তাদেরকে প্রহার করো। (সহীহ জামে-৪১৮) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/757
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নির্জন কোনো ঘরে একাকী রাত যাপনের বিষয়ে হাদিসে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘নবী করিম (সা.) কোনো ঘরে একাকী রাতযাপন ও একাকী সফর করতে নিষেধ করেছেন। ’ (আহমাদ, হাদিস নং: ৫৬৫০)
বাসা-বাড়ির ছাদেও শোয়া উচিত নয়। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি বেষ্টনীবিহীন ছাদে রাতে ঘুমায়, (কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে) তার সম্পর্কে (আল্লাহর) কোনো জিম্মাদারি নেই। ’ (আবু দাউদ, হাদিস নং: ৫০৪১)
বিপরিত অর্থাবোধক হাদীস সমূহের মধ্যে সামঞ্জস্য এভাবে করা হবে যে,
কেউ কোথাও তথা কোনো নির্জন স্থানে একা থাকবে না। বরং লোকজনের সাথেই বসবাস করার চেষ্টা করবে। হ্যা একই খাটে কিংবা একই তোষকের নিচে দু্ই্ বা ততোধিক ব্যক্তি ঘুমাতে পারবে না।