আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
486 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু-আলাইকুম,

শায়েখ, আমি একটি মেয়ে কে অসম্ভব পরিমান ভালোবাসি, সেই মেয়েটিও আমাকে অসম্ভব পরিমান ভালোবাসে ।   আমরা এখন একটি হারাম (প্রেমের) সম্পর্কে আছি । মেয়েটি এখন HSC পরিক্ষার্থী এবং আমি JSC পরিক্ষার্থী ।  সে আমার ক্লাস এ সিনিয়র হলেও বয়স এ জুনিয়র ।  আবার সার্টিফিকেট এর বয়স এ সে আমার সিনিয়র । আমাদের দুইজনেরই এখন ১৮বছর পার হয়েছে,  সে আমার ৩মাসে জুনিয়র ।  
১বছরের সম্পর্কে আমাদের মাঝে শারিরীক কোনো সম্পর্ক হয়নি, এবং এই সকল কথপোকথন থেকেও বিরত আছি আল্লহামদুলিল্লাহ । মেয়েটি ৫ওয়াক্ত নামাজ পরে রোজা রাখে আল্লহামদুলিল্লাহ । আমিও নামাজ রোজা কায়েম করি আল্লহামদুলিল্লাহ ।

আমরা যখন রিলেশনশিপ স্টার্ট করি তখন আমরা ইসলামিক বিষয় গুলো নিয়ে তেমন একটা ভেবে দেখিনি, কিন্তু ৭-৮ মাস পর  আমরা রিয়েলাইজ করি আমাদের এই সম্পর্কে থাকা উচিৎ হচ্ছে না ।  এই সম্পর্কে থেকে আমাদের প্রত্যেকটি পদে পদে গুনাহ হচ্ছে । এই রিলেশনশিপ এ থাকা টা যেনা করা হচ্ছে, যেনা কারীর ইবাদত/দু'আ আল্লাহ কবুল করেন না । আল্লাহর ভয় আমাদের দুইজনের মনেই আসে ।  আমরা অনেক কিছু বিবেচনা করার পর রিলেশনশিপ থেকে বেরিয়ে আসার সিধান্ত নেই, এবং আমরা তা করি, কিন্তু আমরা রিলেশনশিপ থেকে বেরিয়ে এসে বেশিক্ষন থাকতে পারি না ।  পুনরায় আমরা রিলেশনশিপ এ প্রবেশ করি ।  অতপর আমরা সিধান্ত নেই আমরা বিয়ে করবো, বাসায় না জানিয়ে ।  কেননা আমাদের পরিবার এমন কঠর যে আমাদের এখন এই বিষয়ে পরিবার কে জানানো সম্ভব না কোনো ভাবেই ।  তাই আমরা চাচ্ছি পরিবার এর মতামত ছাড়াই বিয়ে করে আল্লাহর পথ এ আসতে, সঠিক ভাবে আল্লাহর দেওয়া বিধিবিধান মানতে, আল্লাহর দেখিয়ে দেওয়া পথ অনুসরণ করতে । এই হারাম রিলেশনশিপ এ থাকা সম্বব হচ্ছে না । এখন আমরা পরিবার কে না জানিয়ে বিয়ে করতে চাচ্ছি ।  আমাদের কুফু মিল আছে ।
শায়েখ এর কাছে আমার প্রশ্ন - আমরা কি ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি? সে ক্ষেত্রে আমাদের করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1524

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতাকে বিয়ের জরুরত বুঝাবে।মাতাপিতার পরামর্শে বিয়ে করবে।এক্ষেত্রে দ্বীনদারিত্বকে প্রদাণ্য দেয়াই দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াবি অর্জনের উত্তম মাধ্যম হবে।হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার মহিলাকে খুজতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
প্রথম কথা হল, আপনারা এ হারাম সম্পর্ককে পরিত্যাগ করে এখনই খালিছ নিয়তে তাওবাহ করবেন। দ্বিতীয়ত এভাবে মাতাপিতার বিনা অনুমতিতে আপনার জন্য বিয়ে করা কখনো বরকতময় হতে পারে না। তারপরও মাতাপিতার অনুমতি নিতে যদি আপনারা ব্যর্থ হন, এবং বিয়ে করে নেন, তাহলে সেই বিয়ে দ্বারা আপনারা একে অন্যর জন্য হালাল হয়ে যাবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...