আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
363 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (0 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১. অমুসলিমদের কি সালাম দেয়া যাবে? না গেলে কি বলবো?

২. অমুস্লিমরা সালাম দিলে কি জবাব দিবো বাংলা অর্থ সহ জানতে চাই।

৩. অমুসলিম মারা গেলে কি বলবো?.

৪. শুনলাম অমুস্লিম মারা গেলে এমন কিছু বলা হয় জার অর্থ " তাকে জাহান্নামে ফেলে দাও" এটি সত্য?

1 Answer

0 votes
by (707,040 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

(১) আল্লামা হাসক্বফী রাহ বলেনঃ 

قال العلامة الحصكفي في الدر المختار  -ﻭﻳﺴﻠﻢ) اﻟﻤﺴﻠﻢ (ﻋﻠﻰ ﺃﻫﻞ اﻟﺬﻣﺔ) ﻟﻮ ﻟﻪ ﺣﺎﺟﺔ ﺇﻟﻴﻪ ﻭﺇﻻ ﻛﺮﻩ ﻫﻮ اﻟﺼﺤﻴﺢ ﻛﻤﺎ ﻛﺮﻩ ﻟﻠﻤﺴﻠﻢ ﻣﺼﺎﻓﺤﺔ اﻟﺬﻣﻲ ﻛﺬا ﻓﻲ ﻧﺴﺦ اﻟﺸﺎﺭﺡ ﻭﺃﻛﺜﺮ اﻟﻤﺘﻮﻥ ﺑﻠﻔﻆ ﻭﻳﺴﻠﻢ ﻓﺄﻭﻟﺘﻬﺎ ﻫﻜﺬا ﻭﻟﻜﻦ ﺑﻌﺾ ﻧﺴﺦ اﻟﻤﺘﻦ. ﻭﻻ ﻳﺴﻠﻢ ﻭﻫﻮ اﻷﺣﺴﻦ اﻷﺳﻠﻢ ﻓﺎﻓﻬﻢ

মুসলমানের বিশেষ কোনো প্রয়োজন থাকলে সে অবশ্য কোনো অমুসলিমকে আগ বাড়িয়ে সালাম প্রদাণ করতে পারবে নতুবা মাকরুহ হবে।যেমন একজন মুসলমানের জন্য অমুসলিমের সাথে মুসাফাহা করা মাকরুহ।

অতঃপর তিনি লিখেন,

ﻭﻟﻮ ﺳﻠﻢ ﻳﻬﻮﺩﻱ ﺃﻭ ﻧﺼﺮاﻧﻲ ﺃﻭ ﻣﺠﻮﺳﻲ ﻋﻠﻰ ﻣﺴﻠﻢ ﻓﻼ ﺑﺄﺱ ﺑﺎﻟﺮﺩ(ﻭ) ﻟﻜﻦ (ﻻ ﻳﺰﻳﺪ ﻋﻠﻰ ﻗﻮﻟﻪ ﻭﻋﻠﻴﻚ) ﻛﻤﺎ ﻓﻲ اﻟﺨﺎﻧﻴﺔ (ﻭﻟﻮ ﺳﻠﻢ ﻋﻠﻰ اﻟﺬﻣﻲ ﺗﺒﺠﻴﻼ ﻳﻜﻔﺮ) ﻷﻥ ﺗﺒﺠﻴﻞ اﻟﻜﺎﻓﺮ ﻛﻔﺮ ﻭﻟﻮ ﻗﺎﻝ ﻟﻤﺠﻮﺳﻲ ﻳﺎ ﺃﺳﺘﺎﺫ ﺗﺒﺠﻴﻼ ﻛﻔﺮ ﻛﻤﺎ ﻓﻲ اﻷﺷﺒﺎﻩ ﻭﻓﻴﻬﺎ: ﻟﻮ ﻗﺎﻝ ﻟﺬﻣﻲ ﺃﻃﺎﻝ اﻟﻠﻪ ﺑﻘﺎءﻙ ﺇﻥ ﻧﻮﻯ ﺑﻘﻠﺒﻪ ﻟﻌﻠﻪ ﻳﺴﻠﻢ ﺃﻭ ﻳﺆﺩﻱ اﻟﺠﺰﻳﺔ ﺫﻟﻴﻼ ﻓﻼ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ.

যদি কোনো ইহুদী বা খৃষ্টান বা অগ্নিপূজক  মুসলমানকে সালাম করে তাহলে তাহলে জবাব প্রদাণ করতে কোনো সমস্যা নেই।তবে জবাব প্রদাণের সময় অবশ্যই "ওয়া আলাইকা" এর বেশী বলবে না।

কিন্তু যদি কোনো মুসলমান কোনো যিম্মি অমুসলিমকে সম্মাণ প্রদর্শন করে সালাম প্রদাণ করে,তাহলে সে কুফুরী কাজ করবে।কেননা কাফিরকে সম্মাণ প্রদর্শন করা কুফুরী। ঠিকতেমনিভাবে যদি কেউ কোনো অগ্নিপূজককে সম্মাণ প্রদর্শন করে বলে, হে উস্তাদ!তাহলে সেও কুফুরী করবে।যদি কোনো মুসলিম কোনো যিম্মি/অমুসলিমকে বলে,আল্লাহ তোমার হায়াত বৃদ্ধি করুক,এবং সে মনে মনে এ ধারণা রাখে যে,হয়তো সে ইসলাম গ্রহণ করবে অথবা জিযিয়া প্রদাণ করবে,তাহলে এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/6520

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

অমুসলিমকে সালাম না দিয়ে বলা হবে যে,” আস্সালামু আলা মানিত্তাবাআল হুদা “

(২)অুমুসলিমদের সালামের জবাবে কিছু বলা হবে অথবা তাদের সালামের জবাবে শুধুমাত্র ওয়া আলাইকুম( তোমার উপর ) বলা হবে, এবং তাদের কথার জওয়াব দেওয়া হবে। 

(৩)কিছুই বলেবেন না। তাদের জন্য দু’আ করা যাবে না। 

(৪) না এটা বলাও উচিৎ না।  কে জান্নাতে যাবে, আর কে জাহান্নামে যাবে, এটা একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (707,040 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...