বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স-এ বিষয়টাকে অনেকভাবে বিবেচনা করা যায়।
কয়েকটি দৃষ্টিভঙ্গি নিচে তুলে ধরা হল।
(প্রথমতঃ)
সহীহ সনদ ও বহু আসরের সহায়তায়,সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য মূলনীতি
"প্রত্যেক ঐ ঋণ যা মুনাফাকে টেনে নিয়ে আসবে তা রিবা'র অন্তর্ভুক্ত হয়ে হারাম হবে।"
(আল-আশবাহ ওয়াননাযাইর, ইবনে নুজাইম, ১/২২৬।)
উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে প্রশ্নে বর্ণিত -ঋণ আদান- প্রদাণ পদ্ধতি- না জায়েয হওয়াই যুক্তিসংগত।
কেননা এখানে মুবাইল অপারেটর কম্পানি ঋণ দিয়ে পরে এর চেয়ে বেশী গ্রাহকের কাছ থেকে উসূল করেছে।
(দ্বিতীয়ত)
এখানে কমবেশ করে লেনদেন এক جنس-জাতে হচ্ছে না, বরং ভিন্ন-ভিন্ন جنس- জাতে হচ্ছে।
অথচ সুদ হিসেবে হারাম হচ্ছে,এক جنس-জাতে কমবেশ করে লেনদেন করা বা হওয়া।
কেননা এখানে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স গ্রহণ করা, যা মূলত টাকা নয়,বরংএক প্রকার সুবিধা গ্রহণ।
তার প্রমাণ হলো, উক্ত টাকাকে আপনি কথা বলা ছাড়া আর কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না।
অথচ সাধারন টাকা বা ব্যালেন্স সবধরণের কাজে ব্যবহার করা যায়।কিন্ত এখানে তা সম্ভব হচ্ছে না।
অন্যদিকে সাধারণ মুবাইল ব্যালেন্স দ্বারা প্রায় অনেক কিছুই করা যায়।
তাই বুঝাগেল এখানে কমবেশ করে লেনদেন এক جنس-জাতে হচ্ছেনা।
যা হারাম হওয়ার মূল কারণ।
(তৃতীয়ত)
ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স যাকে একটি পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
এবং কোনো পন্যকে বাকীতে ক্রয়মূল্য থেকে বেশী দিয়েও ক্রয় করা জায়েয আছে।
এ হিসেবে আমরা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সকে একটি পণ্য হিসেবেই বিবেচনা করব।যাকে পরবর্তিতে পরিশোধ করার শর্তে ক্রয়মূল্য থেকে বেশী দিয়ে আপাতত ক্রয় করা হচ্ছে।
তাই আমরা বলতে পারি ১০টাকা ইমার্জেন্সি এনে ১২টাকা বা তার বেশী পরিশোধ করা বৈধ রয়েছে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
ফেকহী মূলনীতি
إذَا اجْتَمَعَ الْحَلَالُ وَالْحَرَامُ غَلَبَ الْحَرَام
যখন হালাল এবং হারাম কোনো এক বিষয়ে একত্রিত হবে তখন হারামই বিজয়ী হবে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর-১/৯৩)
উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে প্রচলিত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স সম্পর্কে আমরা এ সিদ্ধান্তে পৌছতে সক্ষম হবো যে,ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স সম্পর্কে অনেক রকম আলোচনা পাওয়া যায়।একদিক দিয়ে চিন্তা করলে হালাল মনে হয় আর অন্যদিক দিয়ে চিন্তা করলে হারাম মনে হয়।সুতরাং যদিও এটা জায়েয,তবে না আনাই আল্লাহ-ই ভালো জানেন।