আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
353 views
in পবিত্রতা (Purity) by (21 points)
আসসালামুআলাইকুম,

দৃশ্যমান নাপাক দুর করলেই কাপড় পাক হয়ে যায়। তিন বার ধোয়া জরুরি না। কিন্তু বীর্যও তো দৃশ্যমান নাপাক। বীর্য কাপরে লাগলে যেখানে লাগে সেখানে দাগ থাকে। তাহলে তো শুধু এই দাগ পরিষ্কার করলেই পাক হওয়ার কথা কিন্তু নাসাজাতে গলিজার মধ্যে পেশাব বা বীর্য লিখা আছে যেগুলো তরল অর্থাৎ দেখা যায়না। কিন্তু বীর্য কাপড়ে লাগলে তো দেখা যায়। তাহলে তিন বার কেনো ধুতে হবে??

1 Answer

0 votes
by (575,070 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 
 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ: سَأَلْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ [ص:56] فِي الثَّوْبِ تُصِيبُهُ الجَنَابَةُ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «كُنْتُ أَغْسِلُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ يَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ، وَأَثَرُ الغَسْلِ فِيهِ» بُقَعُ المَاءِ

অনুবাদ- আমার বিন মাইমুন রহঃ সুলাইমান বিন ইয়াসার রাঃ কে বীর্য লাগা কাপড়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,হযরত আয়শা রাঃ বলেছেন, “আমি রাসূল সাঃ এর কাপড় থেকে তা ধুয়ে ফেলতাম তারপর তিনি নামাযের জন্য বের হতেন এমতাবস্থায় যে,কাপড়ে পানির ছাপ লেগে থাকতো। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৩১, ২২৯}

অন্যান্য হাদীসে এসেছে-
يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ

আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}
,
হযরত ওমর বিন খাত্তাব রাঃ বলেন-বীর্য সিক্ত থাকলে তা ধুয়ে ফেল, আর শুকিয়ে গেলে তা খুটিয়ে ফেল। {মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৯৩৩}

,
 রাসূল সাঃ এটা সিক্ত থাকলে ধৌত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর কাপড়ে লাগলে তা ধৌত করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

আর নবীজী সাঃ এর কাপড়ে যে বীর্য লেগে শুকিয়ে গেয়েছিল, তা তিনি খুটিয়ে তুলে ফেলার কথা বলেছেন।
 
যেমন কাপড়ে যদি আটা লেগে শুকিয়ে যায়, তাহলে তা খুটিয়ে ফেলে দিলে তা একেবারেই উঠে যায়, এমনি বীর্যও শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেলে তা তুলে ফেললে তার কোন কিছু আর বাকি থাকে না, তাই নবীজী সাঃ খুটিয়ে তুলে ফেলার পর তা না ধুয়েই নামায পড়েছেন।
,
,
সুতরাং বুঝা গেল যে, বীর্য তা শুকনো হলে খুটিয়ে তুলে ফেলতে হবে। আর সিক্ত হলে ধুয়ে ফেলতে হবে।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যদি কাহারো বীর্য এমন গাড় হয়,যে কাপড়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেনা,তাহলে সেই বীর্য কাপড়ে লেগে শুকিয়ে গেলে তাহা খুটিয়ে তুললেই পাক হয়ে যাবে।
আর ভেজা থাকলে কাপড় তিনবার ভালো ভাবে ধৌত করতে হবে।
প্রত্যেকবার কাপড় নিংড়াতে হবে।
,
আর যদি বীর্য এমন গাড় না হয়,তাহলে সর্ব ছুরতেই কাপড় তিনবার ভালো ভাবে ধৌত করতে হবে।
প্রত্যেকবার কাপড় নিংড়াতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 123 views
...