আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
863 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
ক) i)-আমি নিজে বাড়ি বানিয়ে সেখানে থাকি। কিছু ভাড়াটিয়াও থাকে। এই বাড়ির জমির কি যাকাত দিতে হবে? কিছু বাড়ি তো ভাড়াতে আছে!
https://ifatwa.info/13480/
এই লিংকে আগেও এই প্রশ্ন করেছিলাম কিন্তু উত্তর দিয়েছেন বাড়ির যাকাত হিসেবে মনে হয়। আমি জমির যাকার জানতে চাচ্ছিলাম
ii) ওয়াকফে মঞ্জিল মানে কি? কুরআন শরীফে পেয়েছি।

খ) না বলে কারো পানি খেলে কি গুনাহ? মেরাজের সময় নবিজি সাঃ এক বনিকদল থেকে পানি খেয়েছিলেন যখন তারা ঘুমিয়ে ছিলো

গ)কখন কখন মিথ্যা বলা জাযেয়?
যেমনঃমদিনায় প্রথম প্রথম ইসলাম প্রচারের সময় উসাইদ বিন হুযায়ের রা যখন সা'দ বিন মুআয রা কে মুসআব বিন উমায়ের রা এর কাছে পাঠালেন ইসলাম এর দাওয়াত নেওয়ার জন্য, তখন উসাইদ রা মিথ্যা বলে পাঠিয়েছিলেন। তিনি বলেননি যে ইসলামের দাওয়াত নেওয়ার জন্য পাঠাচ্ছেন। বরং বলেছেন, 'আপনার খালাতো ভাই কে অমুক গোত্রের লোক শাসাচ্ছে(হত্যা করতে চাচ্ছে), দেখুন যান কি করবেন করেন' এরকম বলেছেন।

এইভাবে আর কখন কখন বলা যাবে?

ঘ)-তায়েফ এর কাহিনীর পরে মক্কাতে নবিজি সাঃ/সাহাবিদেরকে কে কি কি ধরনের শাস্তি পেতে হয়েছিল? এ ব্যাপারে আমি সীরাতের বইয়ে উল্লেখযোগ্য কিছু পাইনা। শুধু আকাবার শপথ বা এইসব পেয়েছি। এইসময় এর উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো বলুন যেখানে নবিজি সাঃ/সাহাবিদেরকে কষ্ট পেতে হয়েছে ইসলামের প্রথমদিকের মত।

 আর কোন বইয়ে এই সময়ের ঘটনা ভালো মতো আছে?

ঙ)আব্দুল্লাহ বিন আতীক রাঃ সহ 5জন সাহাবি সাল্লাম (আবু রাফি) কে হত্যা করার সময় মাগরিবের/এশার নামায পড়েছিল কি? কারন তারা এমন সময় ঐ দুর্গে যায় যখন সূর্য ডুবে। আর পরে তারা সবাই ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। সারা রাত তারা ঐ কাজেই ছিলো।

এইসব সময় নামায কাযা করার ব্যাপারে শরীয়ত কি বলে?

চ)কাযা উমরাহ এর সময় নবিজি লাঠি দিয়ে হাজরে আসওয়াদ চুমু খেয়েছিলেন। হাত দিয়ে খেলেন না কেন? এইভাবে অন্য কিছু দিয়ে চুমু খেলেও হবে তাহলে?

ছ)-মক্কা বিজয়ের পরে উযযা ও সুওয়া মূর্তি ধ্বংসের সময় পাগলের মত বিবস্ত্র বিক্ষিপ্ত চুল এর মহিলা বের হয়ে আসলে সাহাবীরা তাদের হত্যা করেন।প্রশ্ন হলো এই মহিলারা কারা? জ্বিন নাকি অন্য কিছু?

জ)-মক্কা বিজয়ের পরে খালিদ বিন ওয়ালিদ রাঃ কে বনু জাযীমাহ গোত্রে পাঠানো হয়। এরপর ঘটনাক্রমে সেখান থেকে ফেরার পরে তাঁর ও আব্দুর রহমান বিন আওফ রাঃ এর মাঝে ঝগড়া হয়। তখন খালিদ রাঃ কে থেমে যেতে বলেন ও বলেন যে 'তোমরা যদি উহুদ পাহাড়ের সমান স্বর্ণ দান করো তাও আমার সাহাবিদের এক সকাল বা এক বিকালের ইবাদতের সওয়াব অর্জন করতে পারবে না'।  প্রশ্ন হলো,
এখানে খালিদ রাঃ কে সাহাবি না বলার কারণ কি? তাঁকে আলাদা ভাবে 'তোমরা' বলে আলাদা করা হলো কেন?
(উপরের সব তথ্য আর রাহিকুল মাখতুম বই থেকে)
closed

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

(ক)১- যাকাত শুধুমাত্র ক্রমবর্ধমান মালের উপর ওয়াজিব হয়ে থাকে। 

মালে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়তে থাকে,সেগুলো সর্বমোট চার প্রকার,(১)সোনা(২)রুপা(৩)ব্যবসার মাল(৪)গবাদি পশুএগোলো কে যেহেতু শরীয়ত বাড়ন্ত মাল বলে আখ্যা দিয়েছে,সুতরাং এগুলো বাড়ন্ত মাল।বাস্তবে সবগুলো বাড়ুক বা নাই বাড়ুক।

আর মালে গায়রে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়ে না।উপরোক্ত মাল ব্যতীত সবগুলোই অবাড়ন্ত।যেমন-স্থাবর সম্পত্তি এবং নিজ প্রয়োজনে ক্ররিদকৃত গাড়ী আসবাবপত্র ইত্যাদি।

বিস্তারিত দেখতে ভিজিট করুনhttps://www.ifatwa.info/1434

সুতরাং জাযগা জমির উপর যাকাত আসবে না। হ্যা বাড়ির ভাড়া যত আসবে, তা যদি খরচ না হয়, এবং এক বৎসর পর্যন্ত বাকী থাকে, তাহলে ঐ ভাড়া নেসাব পরিমাণ হলে তাতে যাকাত আসবে। আর খরচ হয়ে গেলে তাতে যাকাত আসবে না। 

২-সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীগণের অনেকেই সপ্তাহে অন্তত এক খতম কুরআন তিলাওয়াত করতেন।এ উদ্দেশ্যে তাঁরা দৈনন্দিন তিলাওয়াতের একটা পরিমাণ নির্ধারণ করেছিলেন।এ নির্দিষ্ট পরিমাণকেই 'হিযব বা মনযিল' বলা হয়।এভাবে পূর্ণ কুরআনে কারীমকে মোট সাতটি মানযিলে বিভক্ত করা হয়েছে।হযরত আউস ইবনে হুযাইফা রাযি বলেন,আমি এক সাহাবীকে জিজ্ঞেস করলাম,আপনি কতটি মানযিলে কুরআন খতম করেন? জবাবে তিনি বলেন,প্রথম মানযিলে তিনটি সূরা,দ্বিতীয় মানযিলে পাচটি সূরা,তৃতীয় মানযিলে সাতটি সূরা, চতুর্থ মানযিলে নয়টি সূরা,পঞ্চম মানযিলে এগারটি সূরা,ষষ্ট মানযিলে তেরটি সূরা,এবং শেষ মানযিলে সূরায়ে ক্বাফ থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত সবগুলো সূরা সন্নিবিষ্ট রয়েছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1274

(খ)হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,

- وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - «الْمُسْلِمُونَ شُرَكَاءُ فِي ثَلَاثٍ فِي الْمَاءِ وَالْكَلَأِ وَالنَّارِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَابْنُ مَاجَهْ. - «مرقاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح»

 (5/ 2000)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, মুসলমানগণ তিনটি জিনিষে সমান অংশীদ্বার , পানি, ঘাস, আগুন। মিশকাত-(৩০০১)

মুল্লা আলী কারী রাহ, উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় বলেন,

«وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: الْمُسْلِمُونَ شُرَكَاءُ فِي ثَلَاثٍ) قَالَ الْقَاضِي: " لَمَّا كَانَتِ الْأَسْمَاءُ الثَّلَاثَةُ فِي مَعْنَى الْجَمْعِ أَنَّثَهَا بِهَذَا الِاعْتِبَارِ وَقَالَ فِي ثَلَاثٍ (فِي الْمَاءِ) بَدَلٌ بِإِعَادَةِ الْجَارِّ وَالْمُرَادُ الْمِيَاهُ الَّتِي لَمْ تَحْدُثْ بِاسْتِنْبَاطِ أَحَدٍ وَسَيْعِهِ كَمَاءِ الْقِنِيِّ وَالْآبَارِ وَلَمْ يُحْرَزْ فِي إِنَاءٍ أَوْ بِرْكَةٍ أَوْ جَدْوَلٍ مَأْخُوذٍ مِنَ النَّهْرِ» - «مرقاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح» (5/ 2000)

মর্মার্থ- পানি দ্বারা ঐ পানি উদ্দেশ্য, যা কারো চেষ্টা প্রচেষ্টার দ্বারা নির্গত হয়নি। যেমন নদী,নালার পানি, এবং যে পানি কোনো পাত্র বা ড্রামে সংরক্ষণ করে রাখা হয়নি, সেই পানিতে সবাই সমান অংশিদ্বার। কিন্তু যদি সংরক্ষণ করে নেয়া হয়ে যায়, তাহলে উক্ত পানিতে সবাই সমান অংশীদ্বার হবে না। বরং একমাত্র সংরক্ষণকারীর অধীকার তাতে থাকবে।  

এটা সত্য যে রাসূলুল্লাহ সাঃ মে’রাজের রাত্রে একটি কাফেলার অগোচরে পানি পান করেছিলেন, মক্কা বাসীর বিশ্বস্থতা অর্জনের জন্য প্রমাণ রাখার জন্য পান করেছিলেন।  তবে কি অনুমতি নিয়ে পান করেছিলেন, সেই বিষয়ের বিবরণ কোথাও পাইনি। সম্ভবত রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ অনুমতি দিয়েছিলেন। অথবা এটাকে লকিত তথা কুড়িয়ে পাওয়া মাল ভেবেছিলেন, অথবা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর এত পিপাসা ছিল যে তিনি কাউকে না পেয়ে জান বাচানোর তাগিদে পান করেছিলেন। 

فلما رجع رسول الله -صلى الله عليه وسلم- من رحلته الميمونة أخبر قومه بذلك، فقال لهم في مجلس حضره المطعم بن عدي، وعمرو بن هشام والوليد بن المغيرة، فقال: "إني صليت الليلة العشاء في هذا المسجد، وصليت به الغداة، وأتيت فيما دون ذلك بيت المقدس، فنشر لي رهط من الأنبياء منهم إبراهيم، وموسى وعيسى، وصليت بهم وكلمتهم" فقال عمرو بن هشام كالمستهزئ به: صفهم لي، فقال: "أما عيسى، ففوق الربعة، ودون الطول عريض الصدر، ظاهر الدم، جعد أشعر تعلوه صُهْبَة5، كأنه عروة بن مسعود الثقفي. أما موسى فضخم آدم طوال، كأنه من رجال شنوءة، متراكب الأسنان، مقلص الشفة، خارج اللثة، عابس، وأما إبراهيم فوالله إنه لأشبه الناس بي، خَلقاً وخُلقاً"6.

فقالوا: يا محمد! فصف لنا بيت المقدس، قال: "دخلت ليلاً وخرجت منه ليلاً" فأتاه جبريل بصورته في جناحه، فجعل يقول: "باب منه كذا، في موضع كذا، وباب منه كذا، في موضع كذا".

ثم سألوه عن عيرهم، فقال لهم: "أتيت على عير بني فلان بالروحاء، قد أضلوا ناقة لهم، فانطلقوا في طلبها، فانتهيت إلى رحالهم ليس بها منهم أحد، وإذا قدح ماء فشربت منه، فاسألوهم عن ذلك" قالوا: هذه والإله آية: "ثم انتهيت إلى عير بني فلان، فنفرت مني الإبل، وبرك منها جمل أحمر، عليه جُوالِق7 مخطط ببياض، لا أدري أكسر البعير، أم لا، فاسألوهم عن ذلك" قالوا: هذه والإله آية "ثم انتهيت إلى عير بني فلان في التنعيم، يقدمها جمل أورق8، وها هي تطلع عليكم من الثَّنِيَّة"9، فقال الوليد بن المغيرة: ساحر، فانطلقوا فنظروا، فوجدوا الأمر كما قال، فرموه بالسحر، وقالوا: صدق الوليد بن المغيرة فيما قال

10 – المطالب العالية للحافظ ابن حجر (4/201- 204)، وعيون الأثر (1/140-142)، وابن هشام (2/11).

(গ)আবুল ফরয ইবনুল জাওযী রাহ বলেনঃ

ﻭﺿﺎﺑﻄﻪ ﺃﻥ ﻛﻞ ﻣﻘﺼﻮﺩ ﻣﺤﻤﻮﺩ ﻻ ﻳﻤﻜﻦ ﺍﻟﺘﻮﺻﻞ ﺇﻟﻴﻪ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ، ﻓﻬﻮ ﻣﺒﺎﺡ ﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﻘﺼﻮﺩ ﻣﺒﺎﺣﺎ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻭﺍﺟﺒﺎ، ﻓﻬﻮ ﻭﺍﺟﺐ 

প্রত্যেক ঐ ভালো উদ্দেশ্য যে পর্যন্ত মিথ্যার আশ্রয় ব্যতীত পৌছা  প্রায় অসম্ভব, সেখানে মিথ্যা বলা বৈধ।মাকসাদ(উদ্দেশ্য) মুবাহ হলে,মিথ্যা বলা মুবাহ।মাকসাদ ওয়াজিব হলে মিথ্যা বলা ওয়াজিব(ফাতাওয়া দারাল ইফতা আল-মিচরিয়্যাহ) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/644

(ঘ)তায়েফ থেকে আসার পর হিজরতের পূর্ব পর্যন্ত মক্কার কুরাইশরা দুর্বল সাহাবীদের উপর নির্যাতনের ষ্টীমরোলার চালাতো। বেলাল রাযি, আম্মার রাযি, সুমাইয়্যা রাযি ইত্যাদি সাহাবীদের উপর তারা নির্যাতনের ষ্টীমরোলার চালিয়েছিলো। বিস্তারিত দেখতে পারবেন। হেকায়তে সাহাবা নামক কিতাবে। সীরাতে মুস্তফা কিতাবে। এবং আল-বেদায়া ওয়ান-নেহায়া ৩/৪৯ কিতাবে। 

(ঙ)জ্বী তারা পড়েছিলেন। কখন পড়েছিলেন, সেটা তো কোনো হাদীসে আসা সম্ভব নয়। কেননা কোনো হাদীসে সেকেন্ড সেকেন্ড লাইভ মূলক বর্ণনা আসা তো সম্ভব নয়। তারা ব্যস্ত হলেও নামাযকে কখনো পরিত্যাগ করবেন না। যদি এই জিহাদ মূলক কাজের জন্য নামায পড়তে লেইট হয়,বা জামাতে পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে তারা একজন একজন করে অবশ্যই পড়ে থাকবেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আতিক ব্যতিত বাদ বাকী সাহাবারা তো তাদের পজিশন মতো ছিলেন, তাদের তো নামায পড়ার প্রতিবন্ধক কোনো কিছুই ছিলনা। আব্দুল্লাহ ইবনে আতিক যেহেতু আত্মগোপনে ছিলেন, তাই বলা যায় যে, তিনি হয়তো গোপনে থেকে নামায পড়েছিলেন। তিনি তো গাধার আস্তাবলে ছিলেন। সেখানেই তিনি মধ্যরাত পর্যন্ত ছিলেন, এবং সেখানেই তিনি মাগরিব ও এশার নামায পড়েছিলেন। যে ভাবে সম্ভব সেভাবেই। তাছাড়া জিহাদের ময়দানে নামায কাযা করারও রুখসত রয়েছে। যাই উনার নামায সম্পর্কে কোনো বর্ণনা কোথাও আসেনি। উক্ত ঘটনা সহীহ বুখারীর ৪০৩৯ এবং ৪০৪০ নং হাদীসে পাবেন। 

(চ)উম্মতের সহজতার জন্য রাসূল সাঃ লাঠি দ্বারা হাজরে আসওয়াদে চুমু খেয়েছিলেন। যাতে করে বেশী ভিড়ের সময় উম্মতরা কোনো কিছুকে পাথরে লাগিয়ে সেই জিনিষে চুমু খেতে পারে। 

(ছ)বিভিন্ন ঐতিহাসিকদের তথ্যমতে জানা যায় যে, ঐ মহিলা জ্বীন ছিল। অন্যদিকে কেউ কেউ বলেন, ঐ মহিলা মূলত মানুষ ছিল,সে গনক ছিল,সে দূর থেকে লুকিয়ে থেকে লোকজনের সাথে কথা বলত। আর লোকজন মনে করত যে, এই বুঝি দেবতা তাদের সাথে কথা বলছেন।

(জ)

والنهي في هذين الحديثين المتقدمين كان موجهاً من النبي صلى الله عليه وسلم لمن كانت له صحبة متأخرة، أن يسب من كانت له صحبة متقدمة (لامتيازهم عنهم من الصحبة بما لا يمكن أن يشركوهم فيه حتى لو أنفق أحدهم مثل أحد ذهباً ما بلغ مد أحدهم ولا نصيفه، فإذا كان هذا حال الذين أسلموا بعد الحديبية، وإن كان قبل فتح مكة، فكيف حال من ليس من الصحابة بحال مع الصحابة رضي الله عنهم)  (6) 

((شرح الطحاوية)) (ص: 529-530).

قال شيخ الإسلام ابن تيمية رحمه الله تعالى: (فإن قيل: فلم نهى خالداً عن أن يسب أصحابه إذ كان من أصحابه أيضاً؟ وقال: ((لو أن أحدكم أنفق مثل أحد ذهباً ما بلغ مد أحدهم ولا نصيفه))  .

قلنا: لأن عبد الرحمن بن عوف ونظراءه هم من السابقين الأولين الذين صحبوه في وقت كان خالد وأمثاله يعادونه فيه، وأنفقوا أموالهم قبل الفتح وقاتلوا وهم أعظم درجة من الذين أنفقوا من بعد الفتح وقاتلوا، وكلا وعد الله الحسنى، فقد انفردوا من الصحبة بما لم يشركهم فيه خالد ونظراؤه ممن أسلم بعد الفتح الذي هو صلح الحديبية وقاتل، فنهى أن يسب أولئك الذين صحبوه قبله، ومن لم يصحبه قط نسبته إلى من صحبه كنسبة خالد إلى السابقين وأبعد

মর্মার্থ-উক্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাঃ পরবর্তী ইসলাম গ্রহণকারী সাহাবাদিগকে লক্ষ্য করে বলতেছেন যে তোমরা পূর্বে ইসলাম গ্রহণ কারীদের কে গালি দিও না।কেননা ইসলামের প্রাথমিক যুগে তারা যে চেষ্টা মুজাহাদা ও জিহাদ করেছে,সেই চেষ্টা মুজাহাদার সমান কিছুই হবে না। অর্থাৎ-খালেদ রাযি কে সাহাবী থেকে বের করেননি,তবে উনাকে পরবর্তী সাহাবীদের অন্তর্ভুক্ত করে এখানে সাহাবী দ্বারা পূর্ববর্তী সাহাবীদের উদ্দেশ্য নিয়েছেন



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 
by (22 points)
ছ নং প্রশ্ন আছে ৪৭০ পৃষ্ঠায় 
আর জ নং আছে ৪৭১ এ
by (597,330 points)
জ্বী দেখছি। জাযাকাল্লাহ।
by (597,330 points)
আপনার বর্ণনামত আমরা খুজে পাইনি। আপনি আপনার নিকট থাকা কিতাবের পৃষ্টার ছবি তুলে আমাদের কে পাঠাবেন। কোনো হাওয়ালা দেওয়া থাকলে তার ছবিও আমাদেরকে পাঠাবেন। 
by (22 points)
জি উস্তাদ আপনাকে দিয়েছি হোয়াটস অ্যাপে। দয়া করা এইখানে উত্তর যোগ করে দিয়েন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...