বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(১)হযরত উম্মে আতিয়্যাহ আনসারী রাঃ থেকে বর্ণিত।
عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ الأَنْصَارِيَّةِ : أَنَّ امْرَأَةً كَانَتْ تَخْتِنُ بِالْمَدِينَةِ فَقَالَ لَهَا النَّبِىُّ -صلى الله عليه وسلم- :« لاَ تَنْهَكِى فَإِنَّ ذَلِكَ أَحْظَى لِلْمَرْأَةِ وَأَحَبُّ إِلَى الْبَعْلِ ».
قَالَ أَبُو دَاوُدَ : مُحَمَّدُ بْنُ حَسَّانَ مَجْهُولٌ وَهَذَا الْحَدِيثُ ضَعِيفٌ. (سنن ابى داود، كتاب الأدب، باب ما جاء في الختان، رقم الحديث-5271
মদীনার এক মহিলা খৎনা করাতো। তখন তাকে রাসূল সাঃ বললেনঃ তুমি অতিরঞ্জন করো না। তবে এটি পুরুষের জন্য অধিক উপকারী আর মহিলাদের প্রিয় হয়ে থাকে।ইমাম আবু দাউদ রহঃ বলেনঃ এ এ হাদীসের একজন রাবী মুহাম্মদ বিন হাসসান মাজহূল। আর এ হাদীসটি জঈফ।{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৫২৭১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৭৩৩৮}
অন্য এক হাদীসে এসেছে যে, হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِىِّ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ :« الْخِتَانُ سُنَّةٌ لِلرِّجَالِ مَكْرُمَةٌ لِلنِّسَاءِ
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ খৎনা পুরুষের জন্য সুন্নত আর মহিলাদের জন্য ইজ্জত। {সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৭৩৪৪, মুসনাদে আহমাদ-৫/৭৫,কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৪৫৩০৫}
এ সকল হাদীস একথাই প্রমাণ করে যে, প্রয়োজনে মহিলাদের খৎনা করা উত্তম। তবে এটি সুন্নত বা জরুরী কিছু নয়। এ কারণেই ফুক্বাহায়ে কেরাম এবং হাদীস ব্যাখ্যাকারগণ মহিলাদের খৎনাকে সুন্নত বা জরুরী সাব্যস্ত করেননি। তাই মহিলাদের শারিরিক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখিত করা হয়েছে, মহিলাদের খৎনা করতে বাধ্য করা জায়েজ হবে না।
وفي الفتح يجبر عليه أن تركه إلا إذا خاف الهلاك وإن تركته هي لا (طحطاوى على المراقى الفلاح- باب ما يوجب الغسل، مطبوعة مصر--78
পুরুষরা খতনা পরিহার করলে তাকে খতনা করার জন্য মজবুর করা হবে। তবে মহিলা পরিহার করলে তাকে মজবুর করা হবে না। ( হাশিয়ায়ে তাহত্বাবী-৭৮)
مَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُم مِّنْ حَرَجٍ وَلَٰكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ [٥:٦
আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান-যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর। {সূরা মায়িদা-৬}
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আসলে মহিলাদের খৎনা করা কোন আবশ্যকীয় বিষয় নয়। ইসলামে এর কোন বিশেষ মর্যাদাও নেই। এটি সুন্নতও নয়। বরং সর্বোচ্চ এটিকে জায়েজ বলা হয়েছে। তাই এটা নিয়ে অযথা বাড়াবাড়ি করা কিছুতেই কাম্য নয়। পুরুষদের খৎনা করা সুন্নত। কিন্তু মহিলাদের খৎনা করা সুন্নত নয়। বরং জায়েজ।
(২)সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মুতা বিয়ে হুমহুর উলামাদের মতে নাজায়েয ও হারাম।যে সমস্ত শিয়ারা আলী রাযি কে নবী মানে,তারা কাফির।আর যারা আহলে বাইত তথা রাসূলুল্লাহ এর পরিবারবর্গকে সম্মান দিয়ে থাকেন,তারা মুসলমান তবে এছাড়া তাদের অন্যান্য কাজে সীমালঙ্ঘনও আছে।