ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
"একদিন আব্বু জেনে রাগ করে বলসে, তোমাকে আমি মন থেকে তালাক দিয়ে দিসি। এদিনই রাতে ঝগড়াঝাটির সময় বলসে তোমাকে তো তালাক দিয়েই দিসি, ঝগড়া কেন কর।"
এখানে আপনার আব্বু বলছেন,"তোমাকে আমি মন থেকে তালাক দিয়ে দিসি" এর পর আবার বলছেন,
"তোমাকে তো তালাক দিয়েই দিসি" এ কথা দ্বারা এক তালাক পতিত হবে।তথা প্রথম কথার দ্বারা তালাক পতিত হবে।এবং দ্বিতীয় কথার দ্বারা প্রথম কথার তাকিদ বুঝা যাবে।অর্থা দ্বিতীয় কথা দ্বারা কোনো নতুন তালাক পতিত হবে না।বরং প্রথম কথাকে পূনরাবৃত্তিই বুঝা যাবে।
"তারপরে দুই একদিন পরে, একই কথা আবার বলসে"
এ কথা দ্বারাও নতুন কোনো তালাক পতিত হবে না।বরং একথা দ্বারা প্রথম কথার তাকিদ বুঝা যাবে।অর্থা তৃতীয় কথা দ্বারা কোনো নতুন তালাক পতিত হবে না।বরং প্রথম কথাকে পূনরাবৃত্তিই বুঝা যাবে।
"তারও কয়েক বছর আগে একবার একই ধরনের কথা বলসিল যে মন থেকে তালাক দিয়ে দিসে।"
এখানে কিন্তু প্রথম কথার পূনরাবৃত্তি বুঝা যাচ্ছে না,তাই এদ্বারা নতুনভাবে তালাক পতিত হবে।
"এখনো প্রায়ই বলে, যে মন থেকে মুছে দিসি কিছু একটা হইলেই।"
এখানে প্রথম কথার পূনরাবৃত্তি বুঝা যাচ্ছে,।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার আব্বুকে জিজ্ঞাসা করেন,যে এভাবে তালাক প্রদানের দ্বারা উনার নিয়ত কি? প্রথম কথার পূনরাবৃত্তি না নতুনভাবে তালাক প্রদান।যদি প্রথম কথার পূনরাবৃত্তি হয়ে থাকে,তাহলে সর্বমোট এক তালাকই পতিত হবে। এছাড়া আর কোনো তালাক পতিত হবে না।আর যদি উনার নিয়ত থাকে,প্রত্যেকবার নতুনভাবে তালাক প্রদান, তাহলে যেহেতু উনি তিনের অধিকবার বলে ফেলেছেন,তাই তিন তালাক হয়ে যাবে।
মুবাইল কিনলে অটো তালাক,যদি আপনার আম্মু সত্যিই মুবাইল কিনেন,তাহলে তিনি অটো তালাক হয়ে যাবেন।যেহেতু কয় তালাক উল্লেখ করা হয়নি,তাই এক্ষেত্রে আপনার বাবার নিয়তই ধর্তব্য। আপনার বাবার নিয়ত অনুযায়ী-ই তালাক পতিত হবে।