আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,513 views
in সালাত(Prayer) by (25 points)
আসসালামুয়ালায়কুম,
আমি মাঝে মাঝে নামাজে নিচের ভুল গুলো করি।


১। প্রথম রাকাতে ভুলে এক সিজদা দিয়ে দাড়িয়ে যাই তখন মনে পড়ে আমি এক সিজদা দিয়েছি। তখন চিন্তা করি যে শেষ রাকাতে সাহু সিজদা দিয়ে দিব। নামাজ চালিয়ে যাই।


২। অনেক সময় প্রথম রাকাতে এক সেজদা দেওয়ার পর দ্বিতীয় রাকাতেও ভুলে এক সিজদা দিয়ে ফেলি। এবং সেটা দারানোর পর মনে পড়ে। এখন শেষ রাকাতে কি সাহু সিজদা দিলে কি নামাজ সহিহ হবে? যেহেতু আমি একি ভুল দুইবার করেছি।
৩। অনেক সময় সাহু সিজদা দিতে গিয়েও এক সিজদা দিয়ে ফেলি পড়ে দুরুদ শরিফ পড়া শেষ হলে মনে পড়ে। এই ক্ষেত্রে কি করা উচিৎ?
উত্তর গুলো দিলে উপকৃত হতাম

ধন্যবাদ।

1 Answer

0 votes
by (595,920 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাজের ফরয ১৩ টি
[৭ টি নামাজের বাহিরে ]
১/ শরীর পাক
২/কাপড় পাক
৩/ নামাজের জায়গা পাক
৪/ সতর ডাকা
৫/ কেবলামুখী হওয়া
৬/ নামাজের ওয়াক্ত চেনা
৭/ নিয়্যাত করা

[ ৬ টি নামাজের ভিতরে ]
১/ তাকবীরে তাহরিমা বা আল্লাহু আকবার বলা
২/ দাঁড়াইয়া নামাজ পড়া
৩/ কেরাত পড়া
৪/ রুকু করা
৫/ সেজদা করা
৬/ শেষ বৈঠক
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/7490

দুই সেজদা ফরয। আর নামাযে কোনো ফরয তরক হলে, সেই ফরয কে আবার নামাযের মধ্যেই আদায় করে নিলে, এবং শেষে সাহু সিজদা দিয়ে দিলে, নামায হয়ে যাবে। তবে ছুটে যাওয়া সিজদা আদায় না করে , শুধুমাত্র সাহু সিজদা দিলে নামায হবে না। 

নামাযে রা'কাত বা সেজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে,যে ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝেমধ্যে এমন হয়।যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে পড়ে নিবেন।কিন্তু যদি কারো প্রায় এরকম সন্দেহ হয়,তাহলে উনার বিধান হলো,
"وإن كثر الشك" تحرى و "عمل" أي أخذ "بغالب ظنه" لقوله صلى الله عليه وسلم: "إذا شك أحدكم فليتحر الصواب فليتم عليه" وحمل على ما إذا كثر الشك للرواية السابقة "فإن لم يغلب له ظن أخذ بالأقل" لقوله صلى الله عليه وسلم: "إذا سها أحدكم في صلاته فلم يدر واحدة صلى أو اثنتين فليبن على واحدة فإن لم يدر اثنتين صلى أو ثلاثا فليبن على اثنتين فإن لم يدر ثلاثا صلى أو أربعا فليبن على ثلاث ويسجد سجدتين قبل أن يسلم"
যদি কারো নামাযে সংখ্যা নিয়ে প্রায় সন্দেহ হয়,তাহলে উনি তাহাররি(সঠিক বিষয়ে পৌছার জন্য চিন্তাভাবনা করা) করে গালিবে যান্ন(প্রবল ধারণা) এর উপর আ'মল করবেন।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ করে,তাহলে সে যেন সঠিক বিষয়ে পৌছার চেষ্টা করে সে হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।তবে যদি চিন্তাভাবনার পরও কোনো সংখ্যার দিকে মনে প্রবল ধারণা না জন্মে, তাহলে সে যেন,কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সন্দেহ করে,এক রা'কাত পড়েছে না দুই রা'কাত পড়েছে? তাহলে সে যেন এক রা'কাত ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।এভাবে দুই/তিন বা তিন/চার নিয়ে সন্দেহ হলে কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সে দদধনামাযকে সম্পন্ন করবে।এবং শেষে যেন সে সেজদায়ে সাহু দেয়।(মারাকিল ফালাহ-১/৪৭৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1797

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি তাহাররি করে নামাযকে সম্পন্ন করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 170 views
0 votes
1 answer 193 views
...