আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম।

আমি যাকে পছন্দ করি সে একজন হিন্দু। কিন্তু সে মুসলিম হতে রাজি আছেন। এবং আমরা ঠিক করেছি যে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পরেই আমরা বিয়ে করবো ইনশাআল্লাহ। আমি তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছি কিন্তু এ বিষয়ে কোনো প্রকার চাপ দেইনি। সে মুসলিম হওয়ার সাথে সাথে তার পরিবার এবং তার সমাজ তাকে আর কখনো মেনে নিবেনা এবং তাকে বাসা থেকেও বের করে দেয়া হবে।

আমার বাবা-মা কে জানানোর পর তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে রাজি না। তাদের একটাই কথা যে আমাদের সমাজ এটা কখনই মেনে নিবেনা আর এটাও বলেছে আমি আমার সিদ্ধান্ত না বদলালে আমাকে ত্যাজ্য মেয়ে করে দিবেন। আমার কোনো আত্নীয়ও এই বেপারে রাজি না। আমার মা বলেন একটা ছেলেকে তার পরিবার থেকে দূর করে তার মায়ের বদদোয়া নিয়ে আমরা কখনো ভালো থাকতে পারবোনা। আর আমার বাবা বলে ছেলে মুসলিম হলেও আবার বাবা-মা এর টানে হিন্দু হয়ে যাবে। আমার কথা আমি একটা উসিলা হলেও কেও একজন মন্দিরে না, মসজিদে আল্লাহ্‌র জন্য সেজদা করবে। আর আমার বিশ্বাস আল্লাহ আমার সাথে থাকলে সে আর কখনো বেধর্মী পথে চলবেননা।

এই অবস্থায় আমার কি করা উচিৎ দয়া করে জানাবেন। আর আমাকে বাসা থেকে বের করে দেয়ার পর আমার কি করা উচিৎ হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
 https://www.ifatwa.info/8567 নং প্রশ্নোত্তরে আমরা বলেছি যে,
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1524

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি/আপনারা মাতাপিতাকে বিয়ের জরুরত সম্পর্কে অবগত করুন।তাদেরকে আপনার বিয়ের প্রয়োজনিয়তা নিয়ে অবগত করুন।যদি নিজে আপনি আপনার মা বাবাকে বলতে না পারেন,তাহলে পরিচিতজন বা বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে অবগত করান।

মা বাবাকে বিয়ের জরুরত ও প্রয়োজনিয়তা সম্পর্কে অবগত করার পরও যদি মা বাবা বিয়ের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন,তাহলে আপনি বিয়ে করতে পারবেন।তবে এক্ষেত্রে দ্বীনদারিত্বকে প্রদাণ্য দেয়াই দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াবি অর্জনের উত্তম মাধ্যম হবে।
হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার মহিলাকে খুজতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18

আপনি যদি ছেলে হন,তাহলে মাতাপিতার অনুমতি ব্যতীত যে কোনো জায়গায় আপনি বিয়ে করতে পারবেন। তবে যদি আপনি মেয়ে হন,তাহলে আপনি মাতাপিতার অনুমতিহীন শুধুমাত্র কু'ফু সমপর্যায়ের যে কাউকে বিয়ে করতে পারবেন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার জন্য কল্যাণকর এটাই যে আপনি মা বাবার কথা শুনে তাদের দেখানো রাস্তা দিয়ে অতিক্রম করবেন। এবং এ হারাম রিলেশন পরিত্যাগ করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 247 views
0 votes
1 answer 135 views
...