আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
456 views
in সালাত(Prayer) by (60 points)


১।নামাযে কিরাআতের মধ্যে হাঁচি-কাশি বা এধরণের কোন কারনে যদি ৩ তাসবীহ এর চেয়ে বেশি সময় থেমে থাকা হয় তাহলে কি,নামায ভেঙে যাবে?

২।তাশাহুদের মধ্যে যদি  ৩ তাসবীহ এর চেয়ে বেশি সময় থেমে থাকা হয় তাহলে কি নামায ভেঙে যাবে?

৩।নামাযের মধ্যে মুখে মশা/মাছি ঢুকে গেলে কি নামায ভেঙে যাবে? 

৪।দাঁতের ফাঁকে ঢুকে থাকা খাবার যদি নামায পড়ার সময় বের হয়ে পেটে চলে যায় তখন কি নামায ভেঙে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
নামাযে তিন তাসবিহ পরিমাণ চুপ থাকার কারণে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়।(ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৩১; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১২২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৭৩; বাদায়েউস সানায়ে ১/৪০২; শরহুল মুনইয়াহ পৃ. ৪৬৫; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৩৩৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৭৪৭; আদ্দুররুল মুখতার ২/৯৩ ও ১/৪৫৬)

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5939

তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে সেজদায়ে  সাহু ওয়াজিব হবেনা।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারেন।      

দারুল উলুম দেওবন্দ এর 25662 নং ফতোয়ায় আছেঃ
নামাজে ওযর ছাড়া তিন বার সুবহানাল্লাহ বলা সমপরিমাণ সময় চুপ থাকলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

فلو منعہ تفسد إھ در مختار وفي شرحہ الفتاوی رد المحتار بأن سکت أو تلفظ بألفاظ لا تکون قرآنا إھ (۱/۴۳۱)
সারমর্মঃ
যদি এই পরিমান সময় চুপ থাকে বা এমন বাক্য বলে যেটা কুরআনের অংশ নয়,তাহলে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।   

★সুতরাং শরয়ী ওযর বশত তিন তাসবিহ  সমপরিমাণ চুপ থাকলে নামাজের কোনো  সমস্যা হবেনা।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।  

(০২)
সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। 

(০৩)
যদি অনিচ্ছায় এমনটি হয়,তাহলে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা। 
,
বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০৪)
যদি দাতের ভিতর কোনো খাদ্য আটকে গিয়ে থাকে,তা যদি বুট সমপরিমাণ হয়,তাহলে তা গিলে ফেলার দ্বারা নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে। 
,
আর যদি বুটের চেয়ে ছোট হয়,খুবই সামান্য হয়,দাত দ্বারা চিবানো ছাড়াই এমনিতেই গলার ভিতর চলে যায়, তাহলে তা গিলে ফেলার দ্বারা নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা। 
হ্যাঁ যদি তা এমন শক্ত হয়,যে তাকে দাত দ্বারা চিবাইতে হয়,তাহলে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।   
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/১০০)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
عن عطاء أنہ قال: لا یأکل ولا یشرب وہو یصلي، فإن فعل أعاد۔ (المصنف لعبد الرزاق، المکروہات / باب الکلا في الصلاۃ ۲؍۳۳۲ رقم: ۳۵۷۹، الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۲؍۲۳۵ رقم: ۲۲۷۱ زکریا)
নামাজ রত অবস্থায় কোনো কিছু খাবেনা,পান করবেনা।
যদি কেহ এমন করে,তাহলে পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করবে।  


বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...