আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
542 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (0 points)

আসসালামু আলাইকুম।

১. আবু দাউদ ৪১৩৫ নং হাদিসের ব্যাখ্যা কি? আমরা তো দাড়ায়ে স্যান্ডেল পরি। 

 

২. pic এ ছবিতে জা আছে তা কি সহিহ? এরকম কি কোন আমল আছে? 

 

৩. ফজরের সুন্নত সালাত বাসায় উচ্চসরে কেরাত দিয়ে পড়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
আবু দাউদ শরীফের ৪১৩৫ নং হাদিসটি হলোঃ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ أَبُو يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَنْتَعِلَ الرَّجُلُ قَائِمًا .

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদেরকে দাঁড়িয়ে জুতা পরতে নিষেধ করেছেন।

এরকম অন্য রাবী থেকে বর্ণিত হাদীসঃ

حَدَّثَنَا أَزْهَرُ بْنُ مَرْوَانَ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ نَبْهَانَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَنْتَعِلَ الرَّجُلُ وَهُوَ قَائِمٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, দাঁড়ানো অবস্থায় কাউকে জুতা পরতে ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন।
সহীহ, তিরমিজি ১৭৭৫.ইবনু মা-জাহ (৩৬১৮)
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা গারীব বলেছেন।

★এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ

‘আল্লামা খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে জুতা পড়তে নিষেধ করেছেন । এর কারণ হলো, বসে জুতা পরিধান করা অনেক সহজ। অন্যদিকে দাঁড়িয়ে জুতা পরিধান করা উল্টে পড়ে যাওয়ার কারণও হতে পারে এবং শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হবে। এজন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসে জুতা পরিধান করার নির্দেশ দিয়েছেন যাতে নিরাপদে তা পরিধানে হাতের সাহায্য গ্রহণ করা যায়। আল্লাহ অধিক জানেন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪১৩১)

حاشية السندي على ابن ماجه
قوله ( قائما ) قيل أي في الصلاة وقيل مخصوص بما إذا لحقه مشقة في لبسه قائما كالخف والنعال المحتاجة إلى شد شراكها .
সারমর্মঃ
এটা ঐ সময়ের সাথে নির্দিষ্ট যখন দাড়িয়ে পরিধানের ক্ষেত্রে কষ্ট হয়।
যেমন এমন মোজা, জুতা,যেটা ফিতার প্রয়োজন আছে।
(দাঁড়িয়ে তাহা বাধা কষ্টকর।)  

تحفة الأحوذي بشرح جامع الترمذي
( نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم أن ينتعل ) من باب الافتعال أي يلبس النعل ( وهو قائم ) جملة حالية قال الخطابي إنما نهى عن لبس النعل قائما لأن لبسها قاعدا أسهل عليه يزال له وربما كان ذلك سببا لانقلابه إذا لبسها قائما . فأمر بالقعود له والاستعانة باليد فيه ليأمن غائلته . وقال المظهر : هذا فيما يلحقه التعب في لبسه كالخف والنعال التي تحتاج إلى شد شراكها
সারমর্মঃ
 ইমাম মাজহার রহঃ বলেছেন 
এটা ঐ সময়, যখন দাড়িয়ে পরিধানের ক্ষেত্রে কষ্ট হয়।
যেমন এমন মোজা, জুতা,যেটা ফিতার প্রয়োজন আছে।
(দাঁড়িয়ে তাহা বাধা কষ্টকর।)  
,
★সুতরাং আমাদের জুতা যেহেতু সাধারণত ফিতা যুক্ত হয়না,এবং দাড়িয়ে পরিধান করতে কোনো সমস্যা হয়না,তাই দাঁড়িয়ে পরিধান করতে কোনো সমস্যা নেই।
আমাদের ফিতা বিহীন জুতা গুলো  হাদীসের নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত।

(০২)
সেহরির সময় পানির শেষ চুমুকে যদি আপনি সুব হান আল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ,আল্লাহু আকবার পড়েন।তাহলে আপনি তৃস্নার্ত হবেন না।
*এই বিষয়ে কোনো হাদীস পাইনি। 

ফজর আর মাগরিব নামাজের পর ৭ বার আল্লাহুম্মা আযিরনী মিনান্-নার পড়া সংক্রান্ত হাদিস শরিফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَبُو النَّضْرِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو سَعِيدٍ الْفِلَسْطِينِيُّ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَسَّانَ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ مُسْلِمٍ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ مُسْلِمِ بْنِ الْحَارِثِ التَّمِيمِيِّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ أَسَرَّ إِلَيْهِ فَقَالَ: إِذَا انْصَرَفْتَ مِنْ صَلَاةِ الْمَغْرِبِ فَقُلْ: اللَّهُمَّ أَجِرْنِي مِنَ النَّارِ سَبْعَ مَرَّاتٍ، فَإِنَّكَ إِذَا قُلْتَ ذَلِكَ ثُمَّ مِتَّ فِي لَيْلَتِكَ كُتِبَ لَكَ جِوَارٌ مِنْهَا، وَإِذَا صَلَّيْتَ الصُّبْحَ فَقُلْ كَذَلِكَ، فَإِنَّكَ إِنْ مِتَّ فِي يَوْمِكَ كُتِبَ لَكَ جِوَارٌ مِنْهَا أَخْبَرَنِي أَبُو سَعِيدٍ، عَنِ الْحَارِثِ، أَنَّهُ قَالَ: أَسَرَّهَا إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَنَحْنُ نَخُصُّ بِهَا إِخْوَانَنَا 

আল-হারিস ইবনু মুসলিম আত্-তামীমী থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চুপে চুপে বলেন, যখন তুমি মাগরিবের সালাত থেকে অবসর হয়ে সাতবার বলবেঃ (আল্লাহুম্মা আযিরনী মিনান্-নার) ‘‘হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করো। তুমি তা বলার পর ঐ রাতে মারা গেলে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তি লেখা হবে। আর যখন তুমি ফাজরের সালাত শেষ করবে তখনও অনুরূপ বলবে, অতঃপর তুমি যদি ঐ দিন মারা যাও তাহলে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তি লেখা হবে। মুহাম্মাদ ইবনু শু‘আইব (রহঃ) বলেন, আবূ সাঈদ (রহঃ) আমাকে আল-হারিস (রাঃ) সূত্রে জানিয়েছেন, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে তা চুপে চুপে বলেছেন, যাতে আমি আমার ভাইদের নিকট তা বিশেষভঅবে প্রচার করি।
(আবু দাউদ ৫০৭৯,৪৯৯৪. আহমাদ, ইবনু হিব্বান।)
,
(০৩)
হ্যাঁ, পুরুষেরা উচ্চস্বরে পড়তে পারবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...