বিসমিহি তা'আলা
করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের নতুন এক পরিস্থিতি।সারা বিশ্বে একই যুগে এমন ভয়ঙ্কর মহামারির কোনো নজীর নেই।সুতরাং বর্তমান পরিস্থিতি এক করুণ মুশকিল জরুরী পরিস্থিতি।
হাদীসে এসেছে কু্ষ্ঠ রোগী থেকে তোমরা এভাবে পলায়ন করো যেভাবে হিংস্র প্রাণী থেকে লোকজন পলায়ন করে।
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة، يقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا عدوى ولا طيرة، ولا هامة ولا صفر، وفرمن المجذوم كما تفر من الأسد»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,আল্লাহর হুকুম ব্যতীত কোনো রোগ সংক্রামক হতে পারে না।কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই।পাখী উড়ানোতে সুলক্ষণ-কুলক্ষণের কোনো পরিচয় নেই।সফরের মাস অশোভিত বলতে কিছু নেই।তোমরা কুষ্ঠ রোগী থেকে ঠিক সেভাবে পলায়ন করো যেভাবে সিংহ থেকে পলায়ন করা হয়।(সহীহ বুখারী-৫৭০৭)
কুষ্ঠ রোগীকে পরিচয় করা যেত, কিন্তু করোনা আক্রান্ত রোগীকে পরিচয়ের কোনো আলামত নেই।আপনার পাশে যেই রয়েছে, আশঙ্কা রয়েছে তার কাছেও করোনা থাকতে পারে।এই করোনা আবার ছয় ফুট দূরে আক্রমণ করতে পারেনা।সুতরাং সর্বদা কারো কাছ থেকে ছয় ফুট দূরে থাকা মানে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ঐ হাদীসের উপর আ'মল করা যেখানে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কুষ্ঠ রোগী থেকে ঠিক ঐভাবে পলায়ন করো যেভাবে বাঘ থেকে পলায়ন করা হয়।কেননা আল্লাহর হুকুমেই কুষ্ঠ রোগ সংক্রামক হয়ে থাকে।যদি আল্লাহ তাকে নিষেধ করেন, তখন সে আর সংক্রামক হতে পারে না।যেমন আগুনকে অাল্লাহ জ্বালানোর নির্দেশ দিয়েছেন,সে সবকিছুকে জ্বালিয়ে ফেলে,কিন্তু যখন আল্লাহ তা'আলা ইবরাহিম আঃ সম্পর্কে আগুনকে ন জ্বালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন,তখন আগুন আর জ্বালায়নি।
তাছাড়া ফুকাহায়ে কেরাম কুষ্ঠ রোগীদের কে মসজিদে যেতে নিষেধ করেছেন।এখন তো সম্ভাবনাময় সকলই করোনা আক্রান্ত।তাই বলে তো সবাইকে আর মসজিদে যেতে নিষেধ করা যায় না।তাই বিকল্প রাস্তা হিসেবে ফুকাহায়ে কিরাম ডাক্তারদের স্বাস্থ্যবিধিকে অনুসরণ করে মহা গুরুত্বপূর্ণ বিধান নামাযকে জামাতের সাথে আদায় করার পরামর্শ দিয়েছেন।কেননা নতুবা মনজিদকেই সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ঘোষনা দিতে হতো।
এটা নিছক নিরুপায় হয়ে মসজিদের জামাতকে জারি রাখার একটি পায়তারা মাত্র।সুতরাং এমন অসহায় মূলক পরিস্থিতি দলীল প্রমাণ অন্বেষণের উপযোগী নয়।
আল্লাহু আ'লাম
অনুলিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.