ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কুরআনকে আস্তে আস্তে পড়তে হবে। প্রয়োজনে সূরা তারাবি পড়া যেতে পারে। তবে এভাবে হরফ সমূহকে অস্পষ্ট রেখে তেলাওয়াত করা কখনো উচিৎ হবে না। এ নিয়ে ঝগড়া ফাসাদ করা যাবে না। আপনি চাইলে অন্য কোথাও তারাবি পড়তে পারেন, যেখানে ধীরগতিতে তেলাওয়াত করা হয়।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " «لَمْ يَفْقَهْ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فِي أَقَلَّ مِنْ ثَلَاثٍ» " رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَأَبُو دَاوُدَ، وَالدَّارِمِيُّ.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি তিন দিনের কম সময়ে কোরআন পড়লো, সে কুরআন বুঝেনি।
(সুনানু তিরমিযি-২৯৪৯, সুনানু আবি-দাউদ-১৩৯০, সুনানু ইবনি মা'জা-১৩৪৭,মিশকাত-২২০১)
উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় মিশকাতের টিকায় আহমদ আলী সাহরানপুরী (হানাফি) রাহ লিখেন,জনসাধারণের জন্য তিন দিনের কম কুরআন খতম করা মাকরুহে তানযিহি ( অপছন্দনীয়) । এবং ৪০দিনের ভিতর কুরআন খতম না দেয়া মাকরুহে তানযিহি।(মিশকাতুল মাসাবিহ-হিন্দি নুসখা)
ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻭﺭﺩ ﺍﻟﻨﻬﻲ ﻋﻦ ﻗﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻓﻲ ﺃﻗﻞ ﻣﻦ ﺛﻼﺙ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻤﺪﺍﻭﻣﺔ ﻋﻠﻰ ﺫﻟﻚ ، ﻓﺄﻣﺎ ﻓﻲ ﺍﻷﻭﻗﺎﺕ ﺍﻟﻤﻔﻀﻠﺔ ﻛﺸﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺧﺼﻮﺻﺎً ﺍﻟﻠﻴﺎﻟﻲ ﺍﻟﺘﻲ ﻳﻄﻠﺐ ﻓﻴﻬﺎ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ ، ﺃﻭ ﻓﻲ ﺍﻷﻣﺎﻛﻦ ﺍﻟﻤﻔﻀﻠﺔ ﻛﻤﻜﺔ ﻟﻤﻦ ﺩﺧﻠﻬﺎ ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺃﻫﻠﻬﺎ ﻓﻴﺴﺘﺤﺐ ﺍﻹﻛﺜﺎﺭ ﻓﻴﻬﺎ ﻣﻦ ﺗﻼﻭﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺍﻏﺘﻨﺎﻣﺎً ﻟﻠﺰﻣﺎﻥ ﻭﺍﻟﻤﻜﺎﻥ ، ﻭﻫﻮ ﻗﻮﻝ ﺃﺣﻤﺪ ﻭﺇﺳﺤﺎﻕ ﻭﻏﻴﺮﻫﻤﺎ ﻣﻦ ﺍﻷﺋﻤﺔ ، ﻭﻋﻠﻴﻪ ﻳﺪﻝ ﻋﻤﻞ ﻏﻴﺮﻫﻢ ﻛﻤﺎ ﺳﺒﻖ ﺫﻛﺮﻩ .
" ﻟﻄﺎﺋﻒ ﺍﻟﻤﻌﺎﺭﻑ " ( ﺹ 171 ) .
মর্মার্থ- অনেক বুজুর্গানে কেরাম তিন দিনের কম সময়েও সারা কুরআনকে খতম দিয়েছেন বলে বর্ণনায় পাওয়া যায়, এটা মূলত বিশেষ বিশেষ দিনে বুজুর্গানে কেরাম করেছেন। অর্থাৎ এমন দিনে বা রাত্রে যখন বেশী বেশী ইবাদত করা মুস্তাহাব। সাধারণত তিনদিনের কম সময়ে কুরআন খতম না হওয়াই কাম্য । এবং চল্লিশ দিনের বেশী কুরআনে খতম ছাড়া অতিবাহিত করা মাকরুহ। এখানে বিধান হারাম নয়। হ্যা প্রয়োজনে চল্লিশ দিনের বেশী সময় ধরেও কুরআন খতম দেওয়া যাবে।জায়েয রয়েছে।