ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ﺑﺴْﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮّﺣْﻤﻦ ﺍﻟﺮّﺣﻴْﻢ
ﺣﺎﻣﺪﺍ ﻭ ﻣﺼﻠﻴﺎ ﻭﻣﺴﻠﻤﺎ
ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﻻَ ﻋِﻠْﻢَ ﻟَﻨَﺎ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﻋَﻠَّﻤْﺘَﻨَﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢُ
আপনি পবিত্র! আমরা কোন কিছুই জানি না, তবে আপনি আমাদিগকে যা শিখিয়েছ (সেগুলো ব্যতীত) নিশ্চয় তুমিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা।
(২/৩২)
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ : ( ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟْﻤُﺘَﺸَﺒِّﻬِﻴﻦَ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺮِّﺟَﺎﻝِ ﺑِﺎﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ، ﻭَﺍﻟْﻤُﺘَﺸَﺒِّﻬَﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﺑِﺎﻟﺮِّﺟَﺎﻝِ ) .
তরজমাঃহযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ মহিলার সাদৃশ্য গ্রহণকারী পুরুষ ও পুরুষের সাদৃশ্য গ্রহণকারী মহিলার উপর লা'নত দিয়েছেন।সহীহ বুখারী-৫৪২৫।
মুবারকপুরী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যাখায় তুহফাতুল আহওয়াহি গ্রন্থে লিখেন,
" ﺃَﻱْ : ﺍﻟْﻤُﺘَﺸَﺒِّﻬِﻴﻦَ ﺑِﺎﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﻓِﻲ ﺍﻟﺰِّﻱِّ ﻭَﺍﻟﻠِّﺒَﺎﺱِ ﻭَﺍﻟْﺨِﻀَﺎﺏِ ﻭَﺍﻟﺼَّﻮْﺕِ ﻭَﺍﻟﺼُّﻮﺭَﺓِ ﻭَﺍﻟﺘَّﻜَﻠُّﻢِ ﻭَﺳَﺎﺋِﺮِ ﺍﻟْﺤَﺮَﻛَﺎﺕِ ﻭَﺍﻟﺴَّﻜَﻨَﺎﺕِ " ﺍﻧﺘﻬﻰ . ﻣﻦ " ﺗﺤﻔﺔ ﺍﻷﺣﻮﺫﻱ "
সুন্দর্য্যতা,পোশাকআশাক,খেযাব,আওয়াজ, আকৃতি,কথাবার্তা,সহ সমস্ত নড়াচড়া ও উঠাবসায় পুরুষের জন্য মহিলার সাদৃশ্য গ্রহণ হারাম ও নাজায়েয।এবং হাদীসে সাদৃশ্য দ্বারা এই সর্বপ্রকার সাদৃশ্যই ধর্তব্য।
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যাহ(১১/২৬৮) "এ বর্ণিত রয়েছে,
ﻻ ﺧﻼﻑ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻔﻘﻬﺎﺀ ﻓﻲ ﺃﻧﻪ ﻳﺤﺮﻡ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺮﺟﺎﻝ ﺃﻥ ﻳﺘﺸﺒﻬﻮﺍ ﺑﺎﻟﻨﺴﺎﺀ ﻓﻲ
ﺍﻟﺤﺮﻛﺎﺕ ﻭﻟﻴﻦ ﺍﻟﻜﻼﻡ ﻭﺍﻟﺰﻳﻨﺔ ﻭﺍﻟﻠﺒﺎﺱ ﻭﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻣﻦ ﺍﻷﻣﻮﺭ ﺍﻟﺨﺎﺻﺔ ﺑﻬﻦ ﻋﺎﺩﺓ ﺃﻭ ﻃﺒﻌﺎً
ভাবার্থঃ-পুরুষের জন্য মহিলার সাদৃশ্য গ্রহণ হারাম।চায় উক্ত সাদৃশ্য গ্রহণ উঠা-বসা ও নড়াচড়ায় হোক বা লাবণ্যময়ী কথাবার্তায় হোক বা সুন্দর্য্যতা কিংবা পোশাক-আশাকে হোক, মোটকথা অভ্যাগত বা জন্মগত মহিলাদের সাথে নির্দিষ্ট ও বিশেষিত কোন কিছু সাদৃশ্য গ্রহণ সবকিছুই হারাম ও নাজায়েযের অন্তর্ভূক্ত।আরো বর্ণিত রয়েছে,(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া,১৯/৩১৮)(দারুল ইফতা," জামেয়া ফারুক্বিয়া করাচী" কর্তৃক সত্যায়িত ও সংশোধিত এবং ২৫ ভলিউমে প্রকাশিত) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/3405
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
উপরোক্ত আলোচনা থেকে সুস্পষ্টরূপে প্রতিয়মান হলো যে,নারী-পুরুষ পরস্পর পরস্পরের সাদৃশ্য গ্রহণ হারাম।
যেমন,চুড়ি,ব্রেসলেট,ও চুলবেড়ী পরিধান করা পুরুষের জন্য নাজায়েয। চায় মহিলাদের হুবহু চুড়ি হোক বা পুরুষের জন্য পৃথক নির্মিত কোনো চুড়ি হওক। ফ্যাশনের জন্য নির্মিত সমস্ত চুড়িই হারাম।
তবে যদি কোনো কম্পানি বা প্রতিষ্টানের ইউনিফর্ম ব্রেসলেট থাকে, এবং ওয়ার্ক টাইমে তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক হয়, তাহলে এক্ষেত্রে কোনো কোনো ফুকাহায়ে কিরাম শিতিলতা প্রদর্শন করে থাকেন।যেহেতু তাতে মহিলার সাদৃশ্য মুখ্য উদ্দেশ্য নয়।তবে সর্বোপরি এত্তেকে বেছে থাকাই উত্তম।
সুতরাং
কোনো পুরুষের জন্য কি রূপার চেইন পড়া নাজায়েয তবে আংটি পরা নাজায়েয নয়।