ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, আপনার মধ্যে এক তালাক বায়েন পতিত হয়ে, বিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে । কেননা সহবাসের পূর্বে এক তালাকই পতিত হয়ে থাকে।
(২)
উক্ত স্বামীর সাথে পূনরায় ঘর সংসার করতে চাইলে, নতুন বিয়ে করতে হবে,
(৩)
রাগারাগির পরিবেশই যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।
(৪)
কথাটা স্বামী, তার স্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে,তার স্ত্রীকে ভালবেসে,তার স্ত্রীর প্রতি আস্থা প্রকাশ করতে বলেছে, সুতরাং এদ্ধারা স্ত্রী তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হবে না। এবং স্ত্রী তালাক প্রাপ্তও হবে না। তবে যদি স্বামী তালাকের নিয়তে এমনটা বলে থাকে, আর স্ত্রীও তালাক হিসেবে গ্রহণ করে নেয়, তাহলে তালাক পতিত হবে।
(৫)
এখানে স্বামী যদিও তোমাকে ছাইড়া দিলাম কথাটা ব্যবহার করেছে কিন্তু এখানে সে তার স্ত্রীকে মাফ করে দেওয়া অর্থে ব্যবহার করেছে। সুতরাং এই শব্দ দ্বারা এখানে তালাক পতিত হবে না।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية............... وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।
তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।
যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী)ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫